google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re কবিতা -- সোমনাথ বেনিয়া - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

কবিতা -- সোমনাথ বেনিয়া

 

হিমপর্ব

দূরত্ব বাড়লে শীত করে! হৃদয়ের উষ্ণতা ডানা মেলে একছুটে পেরিয়ে যায় বোঝা, না-বোঝার পঙ্‌ক্তিমালা, অগোছালো অক্ষরসংবাদ আশ্রয় হয়ে ওঠে পতঙ্গের, এক সংসার সমীপেষুতে থেকে অপর সংসার পুনশ্চে অক্ষয়বৃক্ষ। যে নাম মিলিত হ‌ওয়ার প্রবণতায় মাদকের বিভোর নিয়ে বুকের উপর রাখতে চেয়েছিল সান্ধ‍্যকালীন হিমপর্ব, সন্ধ‍্যামালতীর রঙে দিশেহারা, কৌতূহলী গলির ভাঙা বাল্‌বের শোকে প্রান্তিক নিঝুম। উত্তর পাওয়া কঠিন বলে কাট অব মার্ক যতটা কমে, তার কাছে সমস্ত বিবৃতি শীতকাতুরে জৈবিক পর্যায়সারণি। কোন ঘর থেকে কোন ঘরে গেলে বালিশের ভিতর থেকে বেরোবে মৃত স্বপ্নেরা। শব মাত্র‌ই শীতল অনুভব! তাই হয়ত নিষ্প্রাণ শিশিরের স্পর্শে শিহরিত হয়ে থাকে ঘাষের শীর্ষ, যেখানে পায়ের স্পন্দনের ধূসর অব‍্যক্ত লেগে থাকে। সহজ ভাবে শিরশির, আকাশের গা থেকে মেঘের ক্রিম তুলে আনে সংগম তৃপ্ত চোখ। কল্পনায় হাঁটাপথ বাড়ির উঠোন! হিমেল সোঁদা গন্ধে নাকের পাটাতনে গজিয়ে ওঠে প্রাচীন উষ্ণ চুম্বন, মনে পড়ে পেজ মার্কের উপর লিখে রাখা ভুল ঠিকানার অংশবিশেষ। তাই তো রহস‍্য সার্বজনীন হয়, রোমকূপে নেমে আসে পাতকুয়োর স‍্যাঁৎসেঁতে নৈঃশব্দ‍্য। এখন কাছে আসলে শীত করে! তখন হাতের তালুর সমস্ত রেখা শীতলরেখা। চামড়া কুঁচকে গেলে অহংকারে ধমনী স্ফীত হয়! বোঝে কি সে প্রিয়ার স্পর্শে ম্রিয়মাণের সংজ্ঞা? অভিধান থেকে নেমে আসে হাতছানির সম্পর্ক, হাসি হয়ে ফোটে ঠোঁটের নরমে। এরপর একটাই ঋতু বছরের শেষে লেপের ভিতরে শতচেষ্টায় উঁকির চন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ...

 ==================
সোমনাথ বেনিয়া,
 ১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন
ডাক + থানা - নিমতা
জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা
কলকাতা - ৭০০ ০৪৯
ফোন - 8697668875.