শীতকাল বেশ ভালোই লাগে
রতন বসাক
হেমন্তকাল যাবার পরেই ধীরে ধীরে আমাদের দেশে শীতকালের প্রবেশ হয়। বাংলা মাসের পৌষ ও মাঘ এই দুটো মাসে শীতকাল অবস্থান করে। শীত অর্থাৎ ঠান্ডা আমরা শারীরিকভাবে অনুভব করতে পারি। শীতকালে বাতাসে জলের পরিমাণ কম থাকে, তাই শরীর শুষ্ক হয়ে ওঠে। অনেকের আবার এর কারণে ঠোঁটে ও শরীরের চামড়ায় ফাটল ধরে। উত্তরে হাওয়া বইতে থাকে, যার কারণে শরীরে কাঁপন ধরায়।
শীতকালে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। তবে যদি বৃষ্টি কোনদিন হয়, তখন শীতের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এই বৃষ্টি ফসলেরও আবার অনেক ক্ষতি করে দেয়। এই সময় দিনের পরিমাণ অনেকটা কম হয় আর রাতের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। শীতকালের ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের শরীরে গরম কাপড়ের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। যথেষ্ট পরিমাণে গরম কাপড় না পরলে, ঠান্ডায় কষ্ট পেতে হয় আর শরীর অসুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে।
বাজার কিংবা হাটে গেলে এই সময় দেখা যায় বিভিন্ন রকমের শাক ও সবজি খুব অল্প দামেই পাওয়া যায়। বছরের বাকি ঋতুতে যে পরিমাণ দাম সবজির হয়, সেই দামটা এই সময় খুবই কম থাকে। শীতকালে আমাদের খাবার ইচ্ছাটা অনেকটাই বেড়ে যায়। অন্যান্য সময় তেমন বেশি আমরা খেতে পারি না। তবে শীতকালে একটু বেশি খেয়ে নিলেও কোন অসুবিধা হয় না। সত্যি কথা বলতে কি, শীতকালে খেয়ে পরে থাকার জন্য খুবই ভালো সময়।
তবে যাঁরা পথের ধারে থাকে কিংবা ভাঙ্গা ঘরে থাকে গরিব মানুষ। তাঁদের এই শীতকালে সত্যিই ভীষণ কষ্টে সময় কাটে। শীতের হাত থেকে বাঁচার মতো পরিমাণে গরম জামা, কাপড়, লেপ, কম্বল, তোষক, চাদর ইত্যাদি এদের থাকে না; বলেই এরা শীতকালকে অভিশাপ রূপেই মানে। আমরা যাঁদের সামর্থ্য আছে, নতুন কিংবা ঘরের অব্যবহৃত গরম জমা কাপড় এদের যদি দান করে দিই, তাহলে এরা শীতের কষ্ট থেকে অনেকটাই বাঁচতে পারে।
ঠান্ডার জন্য শীতকালে শীতকালীন ছুটি বিদ্যালয়ে ঘোষণা করা হয়। পাড়ার মাঠে মেলা, সার্কাস, নাটক, যাত্রা ও সিনেমার অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। রবি ও ছুটির দিনে অনেকজন মিলে আবার বনভোজন করতে দূরে কোথাও চলে যায়। ভীষণ মজা করে খাওয়া-দাওয়া ও নাচ-গান করে সারাটাদিন কাটায়। মোটামুটি ভাবে বলা যায় শীতকালে শরীর সুস্থই থাকে, অসুস্থতার পরিমাণ অনেকটাই কম হয়।
========================
Ratan Basak,
No. 2, Bankimnagar,
P. O. - Authpur,
Dist. North 24 Parganas,
West Bengal - 743128
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন