Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

সন্তু চ্যাটার্জির অণুগল্প

**টোটোওয়ালা**


বৃষ্টিটা বেশ জোড়েই নামলো। রাস্তার পাশের  চা-এর দোকানের টিনের শেডের নিচে  খানিক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে অলোক বুঝলো, না, আজ তার আর স্কুলে যাওয়া হল না। যা শুরু হয়েছে, সাথে একটা ছাতা ও নেই যে কিছুটা পথ এগিয়ে যায়, অগত্যা বাড়ি ফিরে যাওয়াই ভালো। আলোক যখন প্রায় মনস্থির করে ফেলেছে, ঠিক সেই সময় কোথা থেকে দেবদূতের মতো একটা ফাঁকা টোটো এসে হাজির। চালক হাঁক দেয়,"বাবু যাবেন নাকি" ? অলোক এক মুহূর্ত সময় না নিয়ে দৌড়ে এসে টোটোতে উঠে পরে, "চলো ভাই, নবপল্লী বিদ্যা মন্দির"। টোটো চলতে শুরু করে।হঠাৎ  যেন আলোকের  ভীষণ জরুরি কথাটা মনে পরে-"ভাই ভাড়া কত গো"? টোটোওয়ালা একগাল হেসে বলে, "বাবু ২০ টাকা দিয়েন,বুজতেই তো পারছেন জলঝড়ের বাজার"। কথাটা শুনে অলোক কেমন যেন রেগে যায়, খানিক গলা চড়িয়েই বলে, "দেখো ভাই ভাঁড়া তো ১০টাকা,আমি তাই দেব, যাবে তো বল,নাহলে থাক"। টোটোওয়ালা তার আধখাওয়া বিড়িটা ফেলে গাড়ির গতি বাড়ায়, রাস্তার গর্তে জমে থাকা জল বাঁচিয়ে এগিয়ে চলে।

 টোটোটা খানিকটা পথ এগিয়েছে, ওমনি কালো কোট ধারী দুই উকিল হাত উঠিয়ে টোটোটা কে দার করায়, সটান চেপে বলে,  "এই যে আমাদের একটু কোর্টে ছেড়ে দাও দেখি। তাড়া আছে"। টোটোওয়ালা অলোক কে দেখিয়ে বলে, "আজ্ঞে ওই বাবুকে ইস্কুলে নামিয়ে দিয়েই আপনাদের পৌঁছে দেব,এক মিনিট ও দেরি হবে না"। কথাটা উকিল বাবুদের পছন্দ হলো না, প্রায় রে রে করে, টোটো থেকে নেমে,চালককে ঘিরে ধরে, বেশ কিছু হম্বিতম্বী করেও যখন কাজ হল না,  তখন নিচু গলায় বলতে থাকে, "আরে ভাই আমরা তো দুজন, তোর ডবল ভাড়া, ওনাকে বল না নেমে যেতে"। অলোকের বুকটা ছ্যাৎ করে ওঠে। টোটোওয়ালা কোনো কথা না বলে, একটা তীক্ষ্ণ হর্ন দিয়ে, গাড়িটা সজোরে চালিয়ে বেরিয়ে আসে। অলোক স্পষ্ট শুনতে পায় টোটোওয়ালার স্বগতোক্তি "শালা হারামি"।

************************************














সন্তু চ্যাটার্জি,  আসানসোল

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল