google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re অমিত পালের নিবন্ধ - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

অমিত পালের নিবন্ধ

মে দিবসের তাৎপর্য




মে মাসের প্রথম তারিখে বিশ্বব্যাপী পালিত ঐতিহাসিক দিবসটি 'মে দিবস' নামে
পরিচিত৷ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দুর্বার আন্দোলনের রক্তস্রোত স্মৃতি
বিজড়িত এই মে দিবস৷ শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিকদের
প্রতি অবিচারের অবসান ঘটাবার 'সুতিকাগার' বলা হয় মে দিবসকে। শ্রমিকদের
মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় শ্রমজীবী মানুষের বিজয়ের ধারা। সেই
বিজয়ের ধারায় উদ্ভাসিত বর্তমান বিশ্বের সকল প্রান্তের প্রতিটি শ্রমজীবী
মানুষ। তাই প্রতি বছর হয়ে আসছে উদযাপিত সমগ্র বিশ্বে এই মহান মে দিবস।
এই মে দিবসের পর থেকেই পেতে শুরু করে শ্রমজীবীরা ধীরে ধীরে তাদের শ্রমের
মর্যাদা৷ এই মে দিবস হল গোটা শ্রমজীবী সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনা
করার দিন। শ্রেণিবৈষম্যের বেঁড়াজালে যখন বন্দি ছিল তাদের জীবন,
তখন মে দিবসের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে গেল তাদের শৃঙ্খল। আস্তে আস্তে
পেল লোপ সমাজের এই
শ্রেণিবৈষম্যের৷ পুঁজিবাদীদের আগ্রাসী দংশন হতে পেল রেহাই হাজার হাজার
শ্রমিক। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ গোটা বিশ্বকে দিল উপহার এই মে
দিবস৷ সারা বিশ্বজুড়ে শ্রমিক আন্দোলন ও মুক্তির সংগ্রামের মহান ঐতিহ্যে
সমৃদ্ধ মে দিবস। সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী অমানবিকতার বিরুদ্ধে তীব্র
প্রতিবাদ করার মন্ত্র বিশ্ববাসীকে এই দিবস দিয়েছে শিখিয়ে । শ্রমিক
শ্রেণির সামনে হয়েছে উন্মোচিত এক নতুন দিগন্ত। শ্রমিক সংহতি ও ঐক্য
হয়েছে আরো বেশি দৃঢ় ও মজবুত। এই মে দিবসই সমাজ থেকে দূর করতে, হয়েছে
সক্ষম কলুষিত ও বিভীষিকাময় অন্ধকার৷ এরাই হল 'সভ্যতার পিলসুজ'৷ হ্যাঁ,
এদের জন্যই সমাজ, সভ্যতা আজও চলেছে দন্ডায়মানভাবে আপন ছন্দে ও তালে
এগিয়ে৷ সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমুখী কর্মসূচীর জন্য আজ বিভিন্ন জায়গায় জায়গায়
আয়োজিত মে দিবস৷ এই শ্রমিক শ্রেণী মানুষের জন্য আজও হয় গর্ব, হ্যাঁ এদের
জন্যই আমি গর্বিত৷ ইতিহাসে তাই মে দিবসের তাৎপর্য আজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত।

=======০০০======



অমিত পাল
শঙ্করপু্‌র, ঠেঙ্গাপাড়া
মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন