মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান
সংঘমিত্রা মাইতি
শততম বর্ষে তোমাকে প্রণাম বঙ্গবন্ধু, তোমাকে ও তোমার আন্দোলনকে ভুলতে দেয়নি "আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি"- পৃথিবীতে ভাষা দিবস হিসেবে সম্মানিত বাংলাদেশের এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে বলি, মুক্তিযুদ্ধ কোনো কিংবদন্তি নয়, ৩০ লক্ষ মানুষের স্বাধিকার বোধের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম; জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
৭০ দশকে আওয়ামী লিগের অভূতপূর্ব জয় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের মাথা ঘুরিয়ে দেয় আর তার ফলশ্রুতিতে ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালি জাতিকে গণহত্যার মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা, মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা-কে স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র।
মুজিবের নেতৃত্বে শুরু হলো দীর্ঘ ৯ মাসের কঠিন লড়াই। যে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল আপামর সাধারণ জনগণ। এই লড়াইয়ে দশ বছরের শিশুর অবদান দেখে কেঁপে উঠেছিল সারা বিশ্ববাসী। "মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো"- মুজিবের এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছাত্র যুব কৃষক শ্রমিক ঝাপিয়ে পড়েছিল এই যুদ্ধে। যে হাতে লাঙল চলে , যে হাত হাতুড়ি চালায় সেই হাতগুলোই দেশের প্রয়োজনে রাইফেল তুলে নিতে পিছপা হয়নি। রাজাকারদের শাস্তি দিতে তাদের হাত কাঁপেনি।
সাল ১৯৭১, স্বাধীনতা এসেছে। কবিগুরুর লেখা "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি" জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে কিন্তু আমরা হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুকে তাঁরই বাড়িতে কিছু বিশ্বাসঘাতকের প্ররোচনায় নিষ্ঠুর ভাবে পাকিস্তানি সৈন্যের হাতে।
গণপ্রজাতন্ত্রী স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের বছরে প্রতিবেশী দেশের সকলস্তরের সব মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই, নামী-অনামী সেই সমস্ত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা, যাদের জীবন বলিদানে আজ ভাষা দিবস উদযাপন, সবার উদাত্ত কণ্ঠে ধ্বনিত "আমরা বাংলায় গান গাই, আমরা বাংলার গান গাই, আমি আমার আমি কে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই"।।
-------------------------------------------------
🙏 সংঘমিত্রা মাইতি, বরাহনগর, কোলকাতা ৩৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন