তখন দেখি আমার হাতে অনেকগুলো ধ্বংস
নিয়তির মতো সেঁটে বসে আছে
হাজার হাজার শূন্যতায় হাজার হাজার মৃত্যুভয়
তাছাড়া আমার শুধু নয়
মনে হয় সংক্রমিত হচ্ছে
অবিরাম সুস্হ মানুষের মগজে
এর থেকে মুক্তি নেই, কিন্তু কেন ?
তবে তুমি যে বলেছিলে
ভালবেসে আগে মেনে নাও পরে তর্ক কোরো ...
শূন্য ফলাফল
যুবকটি রোষে বলল সেদিন,আমার কথা
কে ভাবছে বলুন,আমাদের কথা
শুধু অসহায় জেনে একটা জাতি নষ্ট হয়ে যায়
আলপনার গন্ডিটানা স্তিমিত রাতে ঠান্ডা ঘরে
তবে ওরা কারা ?__ যাও তোমারা শুধু যুদ্ধ করো
এ খেলা গোলের খেলা,সর্বস্বের ...
খুবলে নাও চোখ,উপড়ে নাও দাঁত
লুট করো যেখানে যা কিছু
আইন তামাসা মাত্র শূন্য ফলাফল
শুধু পড়ে থাকে ছাই,ধূসর আকূতি
পড়ে থাকে অবলোকিত যৌবন...
একে একে খেলা শেষে ফিরে যায় শল্য ধৃতরাষ্ট্র
কৃপাচার্য দ্রোণের সহচর ..
ভাড়াটে আত্মা
জ্যোৎস্নায় পাখিরা কোথায় যায়. ?ফেরে কি ঘরে
অনিশ্চয়তার জীবিকায়
ফোন বেজে যায় ক্রিং ক্রিং ...শুধু শব্দে নক্ষত্ররাজির
মতো...যেখানে এখনো নিঃসঙ্গ মরুভুমি
এখন এখানে কিছু স্তম্ভের মতো গাছ,ঠিকানাবিহীন মন্দির মসজিদ গীর্জা...এখনও এখানে অব্যয় সময়ে
ঠিকানাবিহীন গোরস্তান ...শ্মশান ,অন্ধকারে ভেসে যায় শহর ও শহরতলির টান ...
পুকুর ডোবা ঝোপঝাড় যেখানে চাঁদ জাহাজে করে
যেতে যেতে থমকে দাঁড়ায়, আর ভাবে একদিন সেও ... অনন্তকাল ...ভাড়াটে শরীর নিয়ে ভাড়াটে
আত্মার কাছে যেতে হবে ...
বাতিস্তম্ভে অনন্তকাল
বাতিস্তম্ভে অনন্তকাল
একটি অমাবস্যার কাছে আমরা চিরকাল ঋণী
একটি গোধূলী সন্ধ্যা আমাদের
পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছে বহুদিন..
পিছনে যতদূর দেখা যায়
ফিকে হয়ে আসছে আলো
জানিনা কীভাবে আমরা ফিরে পাবো
আমাদের হারানো ঠিকানা দুঃখ এবং সুখ
একাকার হয়ে যাচ্ছে যেখানে
হিংসা থাকছে না কোথাও
শুধুই ক্ষমার পৃথিবী
অপ্রতিহত শুধু ভালবাসা
বাতিস্তম্ভে অনন্তকাল
যেখানে একটি অমাবস্যার কাছে আমাদের
চিরকাল ঋণী থেকে যেতে হয় ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন