লেখাপড়া
অবশেষ দাস
চাঁদ নগরের চাঁদের আলো কে দেখেছে ? জানিস তো
সবার আগে লেখাপড়া এই কথাটা মানিস তো ?
চাঁদ তো আছে সব পাড়াতে , আলো ছড়ায় ঝলমলে
কিন্তু যারা বই পড়ে না, তাদের আলো টলমলে।
বিষয়টা তো খুবই সহজ, এমন কি আর কঠিন বল ?
লেখাপড়া যে করেছে, চাঁদের মতো সে উজ্জ্বল !
এসব আলো পয়সা দিয়ে বাজার থেকে কেনার নয়
দূর আকাশে চাঁদ দেখা যায়, জ্যোৎস্না ভেজা সে বিস্ময়!
চাঁদ মানে তো সোনার ছেলে,বিদ্যে-বুদ্ধি চমৎকার
হয়নি কেন লেখাপড়া, খুঁজতে হবে গলদ কার ?
চাঁদ নগরের আর একটা নাম,আমার মতে পাঠশালা
ভাঙাচোরা নড়বড়ে বা হোক না যতই আটচালা।
ভাষা, গণিত, ভূগোল কিংবা ইতিহাসের চর্চাতে
পাঠশালা তো মনোযোগী বিদ্যা-বুদ্ধি খরচাতে।
পড়াশোনা করলে জানি, চাঁদ তো ওঠে তক্ষুনি
ছড়ায় আলো দিগ্বিদিকে পান্না-হীরে আর চুনি।
চাঁদ নগরের চাঁদের আলো চাঁদ তো কোনো গল্প নয়
লেখাপড়া বিষয়টি নয় সহজসাধ্য কল্প জয়।
চাঁদ নগরের তালিকাতে কাদের যেন নাম আছে ?
অজস্র নাম, তাঁদের নিয়ে মস্ত শহর,গ্রাম আছে।
তাঁরাই তো সেই চাঁদের আলো , তাঁদের কত দাম মানি
বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ আরও অনেক নাম জানি।
নতুন করে চাঁদের আলো তোমরা কি আর দেখতে চাও
আর কথা নয়, এবার থেকে মন দিয়ে সব স্কুলেই যাও।
তোমরা হবে, চাঁদ নগরের চোখ ধাঁধানো সদস্য
দেখতে পাচ্ছি, ঝড়ের বেগে আসছে ছুটে সে অশ্ব।
আশার আলো জ্বলতে থাকে, সলতে পাকাই এক মনে
দেশের যত ফাঁকিবাজি, ফন্দিফিকির যাক বনে।
পড়লাম । চমৎকার আলোক-উৎসারী ছড়া ।
উত্তরমুছুন