Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

অণুগল্প।। স্বপ্নের রঙ ।। সুচন্দ্রা বসু

স্বপ্নের রঙ

সুচন্দ্রা বসু 



দেবুদা এসেই বলল শোন ডাক্তার, নববর্ষে কি করছো।
কি আর করব বল? 
ডাক্তারিটা পারি, তাই করছি। 

দেবুদা বলল বাঙালির বর্তমান ক্যান্সার আক্রান্ত। তুমি এর চিকিৎসা  জান? 
হঠাৎ তুমি এমন কথা বলছো কেন ? 
 না বলে আর কি করি বল ? 
 আচ্ছা, তুই ভেবে দেখ, বাঙালির নিজস্ব বলতে এখন আর আদৌ কিছু আছে? 

কেন বাংলার আচার আচরণ ও সংস্কৃতি তো আছেই। 

সে ছিল একসময়।আজ সে'সব হারিয়ে গেছে। আজ যেটা বাঙালির আছে সেটা অ-সদাচরণ অপ-সংস্কৃতি।   

 পঞ্জিকা মতে  বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ।

না এখন আর বারোমাসে তের পার্থবণ নয়। চোদ্দপার্বণ।

বাঙালি অন্যের সংস্কৃতি গ্রহণ করতে ওস্তাদ এখন।
দেখ না কোনকালে বাঙালি এমন ঘটা করে  গণেশ পুজো করত?  কিম্বা খ্রীস্টমাস ডে বা নিউইয়ার পালন করত? আমাদের ছিল সবেধন  নববর্ষ, পৌষসংক্রান্তিতে পিঠে-পুলি-পায়েস খাওয়া। 
সেসব কোথায় হারিয়ে গেল। আছে শুধুমাত্র দূর্গাপূজা কালীপূজা লক্ষ্মীপূজা। 

তা যা বলেছিস

ভেবে দেখ,শিক্ষিত বাঙালিরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে লজ্জা পায়।ক'জনে আর বলে । তারা আধুনিক হতে গিয়ে ইংরেজি ভাষার সমাদর করে। বাংলা মাধ্যম স্কুলে না পাঠিয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নিজেদের সন্তানদের পাঠায়। 

শুনে দেবুদা আফসোস করে বলল, জানি রে বাঙালির বাঁচার আশা নেই।

এইতো সেদিন  আমার চেম্বারে  আঠারো বছরের একজন তরুণী এসেছিল। তাকে আমি পরীক্ষা করতে করতে,কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলাম 'বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও ?'
মেয়েটি আমাকে আশ্চর্য করে বললো, "মানুষ হয়ে  বাঁচতে চাই"। আমি তার মুখের দিকে থমকে 
তাকালাম।সচরাচর কেউ তো এমন কথা বলে না। বুঝতে পারলাম মেয়েটির স্বপ্নে  রঙ ধরেছে।


বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে সে। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার করে গড়ে তুলবে তাকে।বাবা মায়ের ইচ্ছায় মেয়েটির কোন সায় ছিল না। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তো অনেকেই হয়। কিন্তু মানুষের মতো মানুষ ক'জন হয় এই সমাজে। মেয়েটি মানুষের মতো মানুষ হতে চেয়েছিল ।কিন্তু তার বাবা মা সে ইচ্ছের কোন মূল্য দেয়নি।আসলে  বুঝতে চায়নি মেয়েটির ইচ্ছের গভীরতা।


শুনে দেবুদা বলল সত্যি এটা বাঙালি-জীবনের বড় ট্রাজিডি। বাঙালিরা সন্তানের ভিতর দিয়ে তাদের নিজেদের ইচ্ছে পূরণ করতে চায়।কিন্তু সন্তানদের ইচ্ছে পূরণে কোন সহযোগিতা করে না।
অথচ দেখ পাশ্চাত্যদেশের লোকেরা তাদের সন্তানদের ইচ্ছেমতো মানুষ হতে দেয়। তারা তাদের সন্তানদের ভিতর দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে পূরণ করতে চায় না। বাঙালিদের মতো তারা তাদের সন্তানদের কিছু বানাতে চায় না। ইচ্ছেমতো মানুষ হতে দেয়।
শুনে ডাক্তার বলল বাঙালির এই রোগটা হৃদয়বিদারক, ক্যান্সার আক্রান্ত। 

================
সুচন্দ্রা বসু 






 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল