Featured Post

ছড়া ।। বর্ষবরণ ।। দীনেশ সরকার

বর্ষবরণ দীনেশ সরকার   পুরানো দিনের কালিমা কলুষ থাক সব পিছে পড়ে মনের কোণেতে বেদনার ডালি রাখবো না আর ভ'রে।   দুঃখ-আঘাত যত জমা আছে আছে যত শোক-তাপ বর্ষ শেষের বিদায় লগ্নে ধুয়ে-মুছে হোক সাফ।   ধর্মের নামে হানাহানি যত রক্তের হোলি খেলা শেষ হয়ে যাক বর্ষশেষের   শেষ প্রহরের বেলায়।   এসো-এসো-এসো, নতুন বছর তোমারে বরণ করি নতুন ঊষার নবীন কিরণে জীবনের গান ধরি।   বন্ধুর পথ হোক মসৃণ বিচ্ছেদ যাক দূরে নতুন বছরে এসো সবে আজ গাই গান একসুরে।   নতুন বছর ক'রো না ক্ষমা দুর্নীতিবাজ যারা সুস্থ সমাজ দাও ফিরিয়ে সুস্থ জীবনধারা।   নতুন বছর সবার হৃদয়ে দাও ভরে ভালোবাসা নবীন আলোকে নবউচ্ছ্বাসে জাগাও নতুন আশা।   ************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। স্বাধীন হয়ে ও দেশ পরাধীন ।। সুনীপা শী

স্বাধীন হয়ে ও দেশ পরাধীন 

সুনীপা শী


এ দেশ ছিল এক দিন, ইংরেজ দের হাতে
                       ছিল পরাধীন হয়ে।
দেশে ছিল ইংরেজ দের শাসন। 
বিপ্লবীরা ১৯৪৭ সালে ১৫ আগষ্ট,-
এই দেশ কে করেছিল স্বাধীন। 
দেশের জন্য বিপ্লবীরা দিয়েছেন প্রাণ। 
হাসি মুখে গলায় পরেছেন ফাঁসির দড়ি।
শরীর থেকে ঝড়িয়েছে কত রক্ত। 
সয্য করেছেন, তারা চাবুকের আঘাত। 
তবুও মুখ খোলেনী তারা।
তাদের মুখে ছিল শুধু একটাই নাম- 
বন্দেমাতরাম, বন্দেমাতরাম, বন্দেমাতরাম। 
সত্যি, বিপ্লবীরা কত লড়াই করে ,
এ দেশ থেকে তাড়িয়ে ছে ইংরেজ দের কে।
দেশ আজ হয়েছে স্বাধীন। 
কিন্তু, সত্যিই কি দেশ......
আজ স্বাধীন হয়েছে ?.....না।
দেশ যে এখনও পরাধীন হয়ে আছে ।
পরাধীন হয়ে আছে ,দেশের মানুষ। 
ঐ রাজনীতির নেতা মন্ত্রীদের হাতে।
পরাধীন হয়ে আছে ,
একটা শিশু তার মায়ের কাছে।
আজ দেশের নেতা মন্ত্রী রা  -
সাধারণ মানুষের প্রতি করছে কত অন্যায়।
নেতা মন্ত্রীদের সব থেকে বড় অন্যায় হলো-
ভোটের সময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে,
তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া।
সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে ,
নেতা মন্ত্রীরা বলেন - 
নেই কি তোমাদের জীবন এর ভয়? 
ইচ্ছা কি নেই পরিবার কে বাঁচাবার? 
সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করে দেয় -
ভয় দেখিয়ে, অথবা কিছু টাকা দিয়ে।
তাই কষ্ট হয়  আমার ও অনেক মানুষের। 
আচ্ছা নেতা মন্ত্রীদের লোক কত জন 
দশ,বিশ,অথবা হাজার। 
আমরা সাধারণ মানুষের দল-
 হাজার হাজার কি তার ও বেশি।
এই হাজার হাজার মানুষ যদি এক হয়
তাহলে ,নেতা মন্ত্রীরা মুখ লুকবার জায়গা পাবে না ।
স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়ে জনসাধারণ- 
বিপ্লবীদের মতন অতো সাহসি নয় ।
সাধারণ মানুষ ভয় পায় মৃত্যুকে ।
তাই চোখ থেকেও, তারা আজ অন্ধ ।
শুনতে পেয়ে ও ,আজ তারা কালা ।
মুখের ভাষা থেকেও  তারা আজ বোবা।
অনেক মানুষের মনে হয়-
বেঁচে থেকে ও যেনো মরে আছি।
 বিপ্লবীরা এই দেশ কে করেছিল স্বাধীন।
তাড়িয়ে ছিল এদেশ থেকে ইংরেজদের কে।
কিন্ত,দেশের মানুষ এখনও পরাধীন হয়ে আছে।
ঐ রাজনীতি র নেতা মন্ত্রীদের কাছে।
দেশের মানুষ বাঁচতে পারেনি স্বাধীন ভাবে।
পায় নি তারা  এখনও  তাদের স্বাধীনতা।।

===================
সুনীপা শী, গ্রাম -মামুদপুর থানা- ফলতা 
পোষ্ট- রাজারামপুর জেলা -দক্ষিণ ২৪পরগনা পিন ৭৪৩৫০৪

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল