তোমার ছোঁয়া প্রথম বর্ষা
(বিষয়: "শাওন রাতের স্মরন ভিজিয়ে দিক পান্ডুলিপির পাতা।")
প্রথম পর্ব:
অনাবিল বর্ষণের স্রোত বইয়ে দেয় অনাদেয় সদুত্তরনির্বাক চাহনি বারিকণার
শব্দহীন মিছিলমুখচোরা গড্ডালিকা প্রবাহ নাকি প্রচ্ছদ নুড়ির টানরৌদ্রদগ্ধ
প্রদাহে অবসন্নের নিম্নচাপ উচ্ছ্বলিত স্রোতস্বিনী ঝর্ণাকান পেতে শুনতে
থেকে পাইনা খুঁজে অস্তিত্ব।যেন ধোয়া তরঙ্গায়িত সাদা ধবধবেদুগ্ধফেনিল
মৈথুন শেষে এক সুগন্ধী সাবানে আত্মগোপন।ইতরের উগ্র অযাচিত গন্ধ
লুকায়কোটরে কোটরে বহ্ণিধারায়সহস্রকাল পরে বানভাসি বন্যা।
আমার একরত্তি চিলেকোঠাবৃষ্টি চুপিসারে দেওয়ালের কোল ঘেঁষে লুকায়নিঃসঙ্গ
সহবাসে মুখচোরা মাটিতে গড়ায়।যৌবন প্রেমের গভীর মূলোচ্ছেদ ব্যতিরেকে আরো
খানিকটা পুষ্টিরসে জবুথুবু হয়েনরম মাটির গভীরে প্রোথিত হয়।আরো খানিকটা
জড়িয়ে ধরতে চায় এলোপাথারিরন্ধ্রে তোলে সোহাগের ঝড়।চোখের কোণে বালির
কামড়তপ্ত গাল বেয়ে অশ্রুবিন্দু গড়িয়েচলে অতল সাগরের তলে সেথা
বর্ণবিভেদে উদাসীন।
কুলকুল বর্ষণ টিনের মাথার ছাদে ছিদ্রসকল পূর্ণতা যতি চিহ্ণে অচিরেই
গুছানো পরিপাটী সংসার।গুঞ্জনে সরব অজুহাতের চশমায় ঝাপসা জলের ঝাপটাদোষ
গুন এক বিরাট রঙমিলান্তি কার্পেটেরজৌলুসে উচ্ছ্বসিত ফোয়ারা এক বিশাল
সমুদ্র।ছোট নদী অপাংক্তেয় তাই অবুঝ শিশুদেরস্কুলের পাতায় শিলেবাসের
প্রচ্ছদ নেয়।"আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে।"স্কুল বন্ধের শামিয়ানা
গুরুগম্ভীর বজ্রপাতে বর্ষণ কিংবা বানভাসি গ্রামের নিরাপদ আশ্রয় স্কুলের
চাতাল মাথার উপর নিঃস্বার্থ দান ছাদ।গর্ভবতী কুকুরের সন্তান প্রসব
দেওয়ালের কোল ঘেঁষেজারজ অঙ্কুরোদগম মহীরুহের বোঁটায়।বানভাসি আশঙ্কিতে
এঁটো করেতুলে রাখে মুখগহ্বরে পাছে স্রোতের জোয়ারে পশ্চাদটানে সদ্যোজাতের
মায়ের কুল হারায়।
দৈহিক অভিকর্ষের মূলোচ্ছেদেসংস্পর্শের চুম্বনে জরায়ু সিক্ত টইটুম্বুরকোন
প্রচ্ছন্ন আগামীর হাত পা ছুঁড়ে গর্ভের মাটিতে জলকেলিআস্পর্ধা সোহাগ
স্বামীর ঐকান্তিক অকপট অনুরনন।উচ্চৈস্বরে সানাইয়ের বেহাগ সুরমাতাল নেশার
ঘোরে চীৎকার এসো,,,,,,,, গৃহস্থ হিসেবী কোলাব্যাঙ সহধর্মিনী কে কাছে পাবে
বলে।তাদের শব্দে গমগম মধ্যবিত্ত হিসেবীচাদরের তলায় পা ছড়িয়ে গাঢ়
নিদ্রায় অভিভূত প্যাঁচালো সাপের দুঃশ্চিন্তার সাতকাহন ছেঁড়া
কাঁথা।শব্দহীন গা ছমছম অস্তরীভূত শিলাবৃষ্টির নিঃসার ঝরঝর বহন দুূঃসাধ্য
জগদ্দল চোখের পাতায় গুমড়ে মরা প্রাক্তন।ছন্দপতন অঝোর বর্ষণ অস্তিত্ব
খড়ের গুঁজোনিরুদ্দেশ তিলোত্তমা সলিল সমাধি নেই ফেরার কোন
কানাঘুষো।জীবাশ্ম পরজীবি ঘুমের নিঃশ্বাস ঘনঘন উর্দ্ধগতি চরৈবেতি নৈব নৈব
চ তোমার শারীরিক স্পর্শের অপকর্ষ টান।আমার শরীর লাশ কাটা স্বপ্ন তোমাকে
কাছে পাওয়া গুলতি মেরে দূরের আম হেঁচকা টান।হামাগুড়ি শিশুর স্তনের
বোঁটায় কামড় অমোঘ দুগ্ধের ফেনিল বর্ষণ মুখের লালায় স্নিগ্ধ সুধা ঋন
মাতৃত্বের টান।
অন্যদিকে আয়েশে নবাব বাহাদুর উষ্ণ ওষ্ঠে ক্লাসিক শ্যুট কফি মাগে মনের
মাধুরী চিনির গুড়োতে স্মৃতির ফ্ল্যাশব্যাক পুরানো ক্রাশ তাই যন্ত্রনা
লুকিয়ে হিপ হিপ হুররে । আপডেট।ফিনফিনে ব্র্যান্ডেড শার্টে গতিশীল
মার্সিডিজের বিক্ষিপ্ত কাদার ছিটা হেলাচ্ছ্যেদাকৃষ্ণা অপেক্ষমান
স্যাঁতসেতে প্রেমিকের অবগাহন নতুন প্রেম প্রথম দেখা।যন্ত্রনাক্লিষ্ট
হাভাতে ভনভন অভিযোগের সাত সাতেরো নেই ওর জীবনে কোন সুখের আশ্রয়।তাই ঘর
দোর ছেড়ে ছুটেছি ওর কাছে ফোনে ঝরঝর বৃষ্টি আমার মনে কাকের অশুভ কালোর
অনাসৃষ্টি এঁচোড় পেকে কাঁঠাল।
জামের বীজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গাছের গুড়িতে শেকড়ের উপরে উঠে আসা
ম্যানগ্রোভের শ্বাসমূল ধুঁকে ধুঁকে নিঃশ্বাসে পরকীয়া অক্সিজেনের অধিগ্রহন
সুন্দরী অরণ্য।লবনাক্ত প্রশ্বাসে জড়িয়ে হাম্বা তোমার স্বরূপে মাকে
পরিব্যপ্তি আঙ্গিকে গ্রহন ফেনিল দুগ্ধ চোষন।মৈথুন স্রোতে দলিয়ে এক পায়ে
তালগাছ কুট্টুনী কামড়ে কাঁকড়া বৈরাগী সন্ন্যাস।
বর্ষাতির ফিনফিনে উড়ো চুলের ঝামট কৃষ্ণা তোমার চকমকি কুচকুচে কালো
বক্ষের খন্ডচিত্রে মেঘরাজের স্নেহের আর্দ্রতা।
ছপাৎ ছপাৎ জল কাদায় ওয়াশিং মেশিনের বিজ্ঞপ্তি দাগ ভালো।ডিটেরজেন্টের
বুদবুদ স্বপ্নিল আশার চালচুলোহীন দুলা বাগদীর ন্যাংটা ছেলে হাত তুলে
এলোপাথারি ভিজছে তার সর্বাঙ্গ ।
তবুও নেই কোন গৃহস্থের আধমরা শুকনো কালো ছাতার পিছুটান। পিচ্ছিল অঙ্গে
নীলকন্ঠের গঙ্গার স্রোত নেই ডুবে সলিলসমাধির ভয় শুধু দু হাত ধরে মাখো
কালো মেঘের সাওয়ার।কচুপাতায় টলটলে চোখের কোনে শ্রাবন মিলে মিশে সান্দ্র
সংসারের শ্যাওলা পাঁকে পা দুঃসাহসী কৃষ্ণার।
ঝাপসা উইন্ডস্ক্রীনে দেদার বেগে সমৃদ্ধ অট্টালিকার গুমোট বাস্প অঙ্গুলীর
স্পর্ধা আঁকে উল্কি তোমার নামে।খরস্রোতার বেগ ফুঁসলিয়ে অতলে বানের আছাড়
আমাদের বৈতরিনী টালমাটাল আশঙ্কা ঘূর্নিপাকে অতন্দ্র প্রহরায় রাত জাগা
আঁখি।
কুলুঙ্গি আমার অনিশ্চিত কুলকুল কানাগলি পেরিয়ে সমুদ্র ঘরে বাইরে আমার
সোনা কুকুর হয়েছে পোয়াতী বছর ঘুরে নিরাশ্রয় বাচ্ছা কাচ্ছা নিয়ে পাড়ে উঠে
ছল ছল চোখে প্রকৃতি মা তোমায় খোঁজে তোমার ঔদাসিন্যতার করালগ্রাসে জগৎ
সংসারে কি হাহাকার।
খন্ডচিত্রে মেঘরাজের বুকে কৃষ্ণার উনুনের ধোঁয়ার কালির গুমোট চিত্র চাপ
চাপ হতে চাইছি কি আমি অন্য কারোর পরকীয়া।ঔদাসিন্য কর্ণপাতশেষভোরে সবকিছু
সাঙ্গ হলে তাদের নতুন করে শুরুয়াত।প্রদাহে ক্ষত অভিমানী মেঘবালিকা
দিবারাত্রি স্নাত।অনুরননে ঝমঝম বৃষ্টি স্বস্তির চোরাবালিপথে সমুদ্র
স্তব্ধ।অভিযোগের উত্তাপ।
জলে ভেসে যেতে থাকে অনর্গল বিদ্বেষ গরলসমাধিস্থ বল্কল ঋষির উচ্চারিত ওঁমে
তৃষ্ণার্ত দূর্বায় বৃষ্টির চুম্বন অরুন্ধুতীর স্বামীর উষ্ণ আঁচে মেঘরাজের
বুকে খন্ডনাভির অকালবর্ষনপাহাড়প্রতিম উঁচু স্তনযুগলে অনর্গল ঝর্ণার
নাব্যতার খরস্রোতে সহজিয়া দূর্গম কান্তার।
কান ধরে ক্ষমা অশ্রুজলে মেঘদূত উড়ো চিঠি প্রতিশ্রুতির পরের বার অতি
শীঘ্র আসবো প্রিয়া।আমাদের আলাপনে একঘেঁয়েমির শ্যাওলা যতিচিহ্ণের ছেদ
আত্মগোপন তোমাতেই আমার মিশ্রিত মার্জার তবুও মাখনি দুগ্ধে পিচ্ছিল।আমার
বক্ষকোটরে তোমার প্রতীক্ষায় অখিল বর্ষণ শক্তপোক্ত পুরুষত্বের চাতাল
নিষ্প্রান।আজ এই খরায় বৃষ্টি তুমি সব মলিনতা ধুইয়ে দাও যতিচিহ্ণের
নিঃশ্চুপ মান অভিযোগ।
বর্ষণের অর্ধেক পুকুরে দাঁড়িয়ে অনিশ্চয়তার ঘাম কপালে চাষিবাসির নষ্ট হবে
জরায়ুর ক্ষিধের যোগান হাভাতে হবে শুকিয়ে কাঠ বর্ষণ হলো চিতাভস্মের কাঠ না
ডালে না ঝোলেশুধু নির্বাক অপদার্থ তার অস্তিত্ব।একহাত সিঁদুরে টকটকে
রাঙানো দীর্ঘায়িত সিঁথি কামরাঙার আঁচল ঝনঝন বাসনকোষন গৃহস্থালীর দৈনন্দিন
কর্মে যোগিনী।মাথা তুলে ঔদাসিন্য দৃষ্টিপাত রোম্যান্টিকতা নিছক এখন
বাক্সবন্দী ঘুন সংসারবর্ষণ এখন শুধু গুরুচন্ডালী ভোগ নয় দূর্ভোগ কাজকর্ম
বানচাল।হারিয়ে গেছে কিশোরীর শত ব্যস্ততার মাঝে কুসুম কাকলি।বৃষ্টি শুধু
বক্ষের নীরস আত্মরক্ষা ছাটে বর্ষাতির আড়াল সজীবতা ক্রোশখানেক দূরে।
স্কুলফেরত পড়ুয়ার বস্তাবন্দী চিত্রনাট্য থেকে আজ উধাও আমিস্কুলকেসে
ছাপোষা গুমোট অগ্রগতিআজ ধোয়া বানে জলে থৈ থৈ আগামী দুঃশ্চিন্তার মেঘ।আজ
আমার অজ্ঞাতবাস অরণ্যের গহীনে অকাল বর্ষণ নিষ্প্রান ছোঁয়াচে ঘুম সঙ্গম।এই
বয়সে অবৈধ সময়ের মাপনযোগ্যতায় আমার বিয়োগ অস্তিত্বকথারা পেতে চায় সংযোগ
কিশোরীর রিহার্সালে হলে ক্ষতি নেইকতিপয় দিনের জন্য ভেজা প্রেমিক ধরাধরি
তোমার আঁচল।সিকোয়েন্সে অভিভাবকত্বের শ্লেষাত্মক মুখঝামটা পেট টিপলে দুধ
বেরোয় ছোরাএখন থেকেই তোমার ছ্যাবলামো হিরোগিরি।আবহসঙ্গীতে মোক্ষম
মূর্চ্ছনায় ঘূর্নায়মান নৃত্যে আমিই হতে চাই আজীবন তোমার শেহেজাদা।
মেঘের চোখরাঙানি পরবাসে বিদ্যুতের ঝলকানিউচাটন গুরুগম্ভীর আওয়াজ মানতে
একান্তই নারাজচলছে শ্যামরাধার মানভঞ্জন হে হরি।অমৃতসুধা অক্লান্ত
পরিশ্রমে আদ্যোপ্রান্ত গড়ায়ে নাভি স্তন কন্ঠশীষে অনর্গল চুম্বনসকল
প্রস্ফুটিত কুসুম বোঁটায় সংক্রমন তোমার ছোঁয়াচসুমিষ্ট আধোভেজা মনন আগামী
আমার গর্ভের প্রজনন।ওদিকে নাক সিটকানো সাবধানী ছাপোষাএড়িয়ে চলা দু পায়ের
জন্তু এসব মানে দিনশেষে ঝক্কি ঝামেলাজল ঠেলে অফিস কাছাড়ি না হলে জুটাবো
কি করে শুষ্ক জীবন আটপৌরে ভাত।অভিযোগের নোংরা পুটুলী কর্দমাক্তের সুর
অপছন্দের সকলে মিলেই তো নিরাকার যতিচিহ্ণ সাময়িক বিরাম স্তব্ধ জীবন
বিরাজ।হামলে পড়ে যে যা পারে সঞ্চিত মালকোঁচে ভাগ বসায়।তারপরেই তো
ক্ষনিকের আরাম শেষে রুদ্ধ জীবনপ্রপাত।হিসেবে কষা মাজা পরিমার্জন ভারী
কালো কুচকুচ অফিসের ব্যাগবৃষ্টি উপেক্ষা শুধু চায় গলগলে পচা ঘাম রুদ্ধ
বাতাসে গুটিয়ে থাকা সংক্রমক ছারপোকা।শরীরের স্পর্শে চাকদা ঘা নিরুত্তর
স্পর্শ সতেজতা।বৃষ্টি তোমার এখানে পোড়া কপাল কপোলে তার চেয়ে ভালো
রাত্রিশেষে স্বামী সোহাগের বর্ষার জলে ঘ্যাঁটা সিঁদুরের টিপ
এয়োস্ত্রীরদেখো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।তোমার শরীরে শরীর আজো ভেজে।
দুমড়ে মুচড়ে কাঙাল সোহাগী অপটকা হাড়গোড়ে প্রেমিকবুকে আছড়ে স্নিগ্ধ
সুলোচনা সোহাগে পড়িমরি ঝাপটে মৈথুন স্রোতে একলা ভেজে কুমারীনতুন সংলাপে
ঠায় দাঁড়িয়ে একপায়ে তালগাছগুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নিম্নগামী পিচ্ছিল কুচকুচে
অরন্য ঠায় দশা অকালবোধন১০৮ পদ্মে তিলোত্তমার আহ্বান নবকুমারের উদগ্র তেজে
স্বেচ্ছায় আঁখি বিসর্জনতোমার কালবৈশাখীর উত্তাল আলুথালু কেশে হারিয়ে আমার
অন্ধত্বেতোমার সলিলে নিশ্চুপ আম্রমাধুরীর রাতকৌমার্য্যে অবগাহন।সোহাগশেষে
বধূর চুলের ঘ্রাণ স্নিগ্ধ সোঁদা গন্ধ।এঁটো করতে থাকে নিঃশব্দে
অঙ্গুরীমালসন্তর্পনে অগ্রসর মননে একচিন্তাছিটেফোঁটা জলের তুলনায় ইঁদোরার
তোলা হিসেবী জল বরং অনেক মিষ্টি।ওদিকে দ য়ের মধ্যভাগ কামড়ে কামড়ে
অযাচকের অনর্গল ক্ষুধা মিটানোর ব্যর্থ প্রয়াসেঝুপ ঝাপ পাড় ভেঙে নিশ্চিত
আশ্রয় গর্ভগৃহে গর্হিত অপরাধ অন্ধকার গহ্বরে অবিশ্রান্ত ধারাকুল মান
বিসর্জনে আটপৌরে আঁচল।এক ছাতার আড়ালে সুখী নিশ্চিত চুম্বন বিনিময়ে
দ্রাব্য ও দ্রাবকের সম্মোহনী দ্রবনের তেজস্ক্রিয়তায় একপশলা মহার্ঘ্য মিলন
বর্ষন।।অসাবধানী ঈষৎ সরন বস্ত্র বিচ্ছেদেকাল মেঘের ঘ্যাঁনর ঘ্যাঁনর
অভিকর্ষীয় বর্গীয় জ এর মধ্যদেশ স্পর্শক।দৃষ্টিনিবন্ধ শূন্য সরন নির্বাক
জগদ্দল আমিতোমার রূপ হেরি নিহারুলুঅজন্তার সাক্ষাত ভেজা নগ্ন চিত্রপট
দর্শন।
দ্বিতীয় পর্ব:
কবিতা: "বৃষ্টিধৌত পরকীয়া,,,,, পুরানো আশ্রয়।"
মেঘরাজের দরজা হাট করে খোলা বৃষ্টির প্রতি তার অক্লান্ত
সোহাগ। দুঃশ্চরিত্রার বক্ষে প্রস্ফুটিত ঋণ প্রনয় রক্তজবা।প্রবেশ নিষিদ্ধ
ভূপতিত নচ্ছাড়ে অধঃপতন।বর্ষাতির গা ঘেঁষে আলতো কামড় অন্ধকারে হাতড়ায়
ভিজে কাক চুলএবড়ো খেবড়ো খানা খন্দ নরকে তোমার গৃহত্যাগঅতলে মাথা ঠুকে
তোমার শেষ চিঠি।নিকানো উঠানে অনাদরে শ্যাওলায় তোমার গৃহছাড়া বিলুপ্তির
শোকাশ্রু জমা নির্বাসন স্বামীরপূর্বনির্ধারন স্বামীর কাছাকাছি এখন অতীতের
অপভ্রংশ গোড়ায় গলদপ্রতারনের কালো জমাটি মেঘের ব্যভিচার বজ্রপাতের
ধিক্কারে দীর্ঘমেয়াদী ঘ্যাঁনর ঘ্যাঁনর দিয়েছে জুড়ে।বৃষ্টি কন্যার টুপটুপ
ফোঁটার অগ্রে জেগে উঠে জেহাদি দৃষ্টিনিরাশ্রয় চুঁইয়ে পড়ে দগ্ধ ওষ্ঠের
কোমল পত্রে।হোক তবে আজ শুদ্ধ পরকীয়া।সশব্দে আহ্বান রাজমিস্ত্রীর নব
ছাঁচের নির্মান কৌশলে দাও হে রাজকন্যা পাকাপোক্ত সরস ভিতটি।প্রেমিকের
ঠোঁটে প্রত্যাখান হোক অলস জমাটি ঘুমপরিশ্রমের ঘাম হয়ে ঝরে পড়ো অপমৃত্যু
থেকে হয়ে উঠো সঞ্জীবনী মাইলেজ।প্রেমিকার শরীরে প্রোথিত নায়কের দৃষ্টির
প্রেম ফুটিয়ে তুলতে চায় তার কায়াকল্পে অমোঘ স্থাপত্য।আটপৌরে
বৃষ্টিকুমারীর খুব কষ্ট মুখে চোখে পরিত্যক্ত বোধে লজ্জায় আশ্রয় ধরিত্রীর
বুকে শিকড়ে স্মরন বুড়ো একাকী তালগাছহাড়ে হাড়ে রস স্মৃতিতে জমা ধূলো
অসারের বাইরে থেকে উঁচুতে অট্টকেলি তর্জন গর্জন।অসহায় তোমার বৃষ্টিভেজা
আঁচল ফিরে যেতে চায় পুনর্জন্মে মেঘের বুকে সহবাসে পুরানো ঠাঁই পুরানো
আশ্রয়।বিবসনা তুমি আত্মবীক্ষনে জটাজুট শৈবালে স্বামীহিনা দহন।আঁতুড়ঘরে
নিঃস্ব বৃষ্টির ছাট জারজের শোক বন্ধ্যার চিরপ্রশান্তির ঘুমে।এফোঁড়
ওফোঁড় দীন দুঃখীর চাল সার্মথ্যের মগ্নচৈতন্য বৃষ্টি।হার্ডকোর কাটছাঁট
নিরক্ষর হাভাতে চোখের কোনে সহজাত বৃষ্টি দূর্বিষহ পাপ।।অন্তিম দশায়
রূপমতীর আঙ্গিক ছলাকলায় বৃষ্টির ব্যাখান নব সংলাপকাটা ঘায়ে নুনের
ছিটাদুশ্চরিত্রা।ঝাঁকুনি ডাব খোলাহাঁড়িতে জমা জলে প্রজনন কিংশুক মশাদের
বসতি।।মশারীর বিলাসিতায় রুদ্ধ একফালি আকাশে দমবন্ধ নিঃশ্বাসে পাশ ফিরে
নিষ্ঠুর সহাবস্থান।স্বভাবদোষ।শীতলতার প্রতিশ্রুতির ম্যালফাংশনে মিয়ানো
মচমচে বিস্কুট অনিচ্ছুক সায় আমুল ফ্রেশ ঘন জমাটি দুধের চায়েওষ্ঠের চুমুক
বৃষ্টিধৌত পরকীয়া।
খুব সুন্দর লেখা তোমার
উত্তরমুছুন