সে এখনও নিভৃত আড়ালে একলা
ডুকরে ডুকরে কাঁদে আমারই জন্য।
বাড়ি ফিরতে দেরি হলেই মিনিটে মিনিটে ফোন করে
বলে, "আর কতক্ষণ লাগবে?"
জানতে চায় কেন ফোন করে জানাইনি?
ভাতের থালা নিয়ে বসে থাকে রাতের পর রাত
সে তো আমারই জন্য।
'মা' নামক নারীর অংশ চরিত্র আমারই দামি গয়না।
ক্লান্ত শরীরে যাঁকে জড়িয়ে একটু স্বস্তি পাই
আর নরম কোলে তুলোর মত ফুরফুরে স্নিগ্ধতা।
ছোট থেকে আমৃত্যু শিখতে শিখতে কেটে যায়
ভাষার বহরে আঁকা সেই মায়ের মুখ।
যে দূরে গিয়েও এখনও মঙ্গল কামনা করে,
স্বামী-সন্তান-সংসার সামলে
প্রতিদিন সন্ধ্যে হলেই ফোন করে জিজ্ঞেস করে
"দাদা, ভালো আছিস?"
"তোর চাকরির পরীক্ষা কেমন হলো?"
কিংবা যখন বলে,
"দাদা, তোর এবারে চাকরিটা হবেই হবে"
তখন বেকার ছেলের চোখের কোনে জল এলেও
হাল্কা আনন্দের সুবাস মনকে শিহরিত করে।
সেও তো একজন নারী, আমারই বোন!
আমার অজান্তে যে মনের গোপনে সুখের বাসা বাঁধে
দরজার পর্দা আঁকড়ে পথ চেয়ে অপেক্ষা করে কোনো সুদূরে নৌকা ভাসানোর।
এমনকি ভালোবাসার ফুল ফোটায় বসন্তের আহ্বানে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে।
হোলীর আবেশ ছড়াতে চায় আঁচল জুড়ে।
সেও তো নারী- আমারই মনের রানী
পরমপত্নী, জায়া ভিন্ন নামে স্ত্রী।
সকলেই প্রিয় আমার,
প্রিয় আমি সকলের।
সমাজে ছড়িয়ে থাকা নারীরাও আমারই মতো অযোগ্য কোনো পুরুষের মা,
কেউ বোন, কেউ বা ধর্মপত্নী।
তারাও জন্মে ধন্য ধরিত্রীর বুকে!
নারীকে ভালোবাসতে শেখো,
ভালোবাসাময় গন্ধরাজে
ভরে যাক নারী-পুরুষ সম্পর্ক!
কখনোই শুধু নারী দিবস নয়,
'নারী দি বস'
কখনোই 'নারী- নয় অরি'।
------------------
সুনন্দ মন্ডল
কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম