google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re নিবন্ধ ।। নারী ও সমাজ ।। দীপঙ্কর চৌধুরী ৩ - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২

নিবন্ধ ।। নারী ও সমাজ ।। দীপঙ্কর চৌধুরী ৩



নারী ও সমাজ

দীপঙ্কর চৌধুরী



সমগ্র সমাজের বক্ষজুড়ে এই বিশ্বব্যাপী ধরাতে, নারীর গুরুত্ব হল অপরিসীম, অনন্ত ও অমর। সমাজে নারীরা হল এক অপরিহার্য ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ বিশ্বসমাজে নারী ও পুরুষ দুইটি জাতির দুটি লিঙ্গ ভিত্তিক বিভাজন অনুযায়ী বিভক্ত। নারী ও পুরুষ উভয়ে মিলিত হয়ে এই বিশ্বসমাজ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যুগ, যুগান্তর হতে নারীরা বিভিন্নপ্রকারে ভিন্নরকমে অবহেলিতার শিকার হয়ে আসছে। এবং নারীদেরকে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সমগ্র সমাজের সার্বিক উন্নতির জন্য নারীর অধিকার একান্তই কাম্য।

                সমাজে প্রকৃত উন্নতির জন্য নারীর নির্যাতন যথাযথ ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ নারী ব্যতীত সৃষ্টি অস্তিত্ব কখনোই কল্পনা করা যায় না। এক প্রকারে নারীরা হল সমগ্র সৃষ্টির এক ভিন্ন প্রতীক। কারণ এই বিশ্বসমাজে নারী দেহ থেকেই নবীন তথা নব প্রাণের জন্ম হয়। এককথায়, নারীই হল সর্ব সৃষ্টির উৎসস্থল। যার উৎস হতে নব প্রাণের জাগরণ হয়। নারী বিনা সমাজ কখনোই কোনোরূপে পূর্ণতা লাভ করতে পারবে না। অথচ, সেই নারীদের আজ সমাজ অবহেলিত করছে। সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় স্থাপনা, নিপীড়নতা, ও বৈষম্যের অন্ধকারাচ্ছন্নতায় নারীরা তাদের অধিকার সর্বতর ভাবে বিসর্জন দিয়ে আসছে। নারীরা তাদের অন্তঃপ্রতিভা বিকাশের সবরূপ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দৈনন্দিন দিবসে নারীসমাজ সর্ব দেশের অগ্রগতি ও ভবিষ্যত নাগরিক তৈরিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু, আজকের সমাজ নারী-পুরুষের অব্যাহত বৈষম্যকে এটাই প্রমাণিত করে যে:- "নারীর প্রাপ্ত অধিকার কেবলমাত্র কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ।" 

                   তাই কেবল, প্রতিবছর ৮ই মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পালিত করা হয়। কেননা, এইটি হল একটি বিশেষ দিন। কিন্তু, আমাদের অর্থাৎ সমগ্র সমাজের উচিৎ কেবল ৮ই মার্চ নয়, প্রতিবছরের প্রতিটি দিন আমাদের এই নারীদিবস পালন করা। এবং সামাজিক কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে সকলের বোধ-বুদ্ধি, মানসিক চেতনা ফিরিয়ে আনা। তাই সমাজে নারীশক্তি উপলব্ধি কিংবা নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে বর্তমানে বঞ্চিত নারীশক্তি কে সমাজের অগ্রভাগে ফিরিয়ে আনা একান্তই প্রয়োজন। কারণ "নারীরা হল সর্বশক্তিমান"। সমাজের বুকে যেমনই বাধা বিপত্তি আসুক না কেন সর্বপ্রথম সর্বের সন্মুখে নারীরা সেক্ষেত্রে তাদের পদধ্বনি ফেলে। এছাড়া রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনায় নারীরা বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। "প্রকৃতপক্ষে সমাজ হল এক বৃহদাকৃতি পরিবার"। আর সেই পরিবারে একজন নারী গৃহকত্রী হিসেবে তার ঘরকে সুসংহতভাবে পরিচালনা করে। এবং একজন প্রকৃত সমাজ নেত্রী পদের নেতৃত্ব দিতে পারেন।।

নারীর প্রসঙ্গে:-

"ধন্য তুমি নারী ওহে, ধন্য তব নারীত্ব,
বহুরূপী মহামায়া, বৃহৎ তোমার মহত্ব!
কখনো তুমি পত্নীরুপে, কখনো বা ভক্তরুপে;
কখনারে মাতৃস্নেহে, সন্তানের জননীরূপে।
সুন্দর এই সৃষ্টিমাঝে, অমর রহিবে বিরাজে!
মহাকাল ধরিয়া সমগ্র মহাবিশ্বের মনোমাঝে"।।


========================
 
 
       
            দীপঙ্কর চৌধুরী
            গ্রাম:- বড়ামারা,
            পোষ্ট:- বারিদা,
            থানা:- কেশিয়াড়ি 
            জেলা:- পশ্চিম মেদিনীপুর,
            পিন:- ৭২১১৩৫
      


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন