সংকল্প
বিশ্বনাথ পাল
হ্যাঁ। কপালই বটে। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে আহ্লাদি নিজের কপালকেই ধ্যেয়ালে। পোল বিয়ানী জার্সি গাই শ্যামলীটা গোয়ালে পাহাড়ের মতো মরে পড়ে আছে।
গলার দড়িটা তাড়াতাড়ি খুলে পাশের বাড়ির পেঙলা বলে বাদল বাঁড়ুয্যের প্রাচ্ছিত্তির হাত থেকে তো ---কত আশা ছিল এই শ্যামলীকে ঘিরে। সারাদিন ধরে মাঠে খুঁটে খু্ঁটে ঘাস এনে সেবা দিয়ে এসেছে। শ্যামলীর গর্ভাবস্থায় চিকন রূপ চোখ ঝলসে সব কষ্ট ভুলে যেত সে! পেটটা বিস্তর ডাগর হয়েছিল। মাঝরাতে কাল লন্ঠন হাতে শেষবার যখন বার উঠে শ্যামলীকে দেখেছিল তখনও শ্যামলী তার হাড় হা ভাতে মালকিনকে হাম্বা রবে ডেকে বোঝাতে চেয়েছিল, সব ঠিক আছে। আহ্লাদি শ্যামলীর ডাগর পেটে হাত বুলিয়ে পেটের বাচ্চাটার চনমনে ভাবটা পরখ করে তবে শুতে যায়। রাতে শুয়ে মনে হয়েছিল শ্যামলীর পাহাড় পারা পেটে দুটো বাচ্চা নাই তো? যদি হয় তবে সংসারের হাল শিঘ্রী ফিরবে। অনেক বয়স, অব্দি শ্যামলী কুমারী ছিল বলে ঘাটে ষষ্ঠীর দিন একটুকরো সাদা সুতো তেল হলুদে মাখিয়ে সিঙে বাঁধার ফল যে এভাবে বিফলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবে নাই।
আহ্লাদি ঝরো মুচির মেয়ে। বালবিধবা। তিন কুলে কেউ নাই। সন্তান বিয়ানোর মর্ম ,জানার সুযোগ, অনুভব না করার অভাবী মনটাতে আশার পুলক জাগিয়ে পলকেই পালাল ওর শ্যামলী। পালিয়ে কাজটা আদৌ ভাল করে নাই।
যারা মুনিষ মাইন্দার খাটতে পারে না। কন্ট্রোলের চাল গমে ভরসা তারাও যেচে এগিয়ে এসেছে আজ আহ্লাদীর ঘরে। ওদের মুখে সান্ত্বনার বাণী অথচ হাতে চকচকে ছুরি দেখে একছুটে ঘরে ঢুকে হুড়কো দেয়।
চিরুনীর মুখে উঠে যাওয়া চুলের গোলা দিয়ে কাল দুধ দোয়ানোর জন্য যে সস্তার জামবাটীটা কিনেছিল সেটাকে চোখের জলে ভরাট করার সংকল্প নিয়ে পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে।
গলার দড়িটা তাড়াতাড়ি খুলে পাশের বাড়ির পেঙলা বলে বাদল বাঁড়ুয্যের প্রাচ্ছিত্তির হাত থেকে তো ---কত আশা ছিল এই শ্যামলীকে ঘিরে। সারাদিন ধরে মাঠে খুঁটে খু্ঁটে ঘাস এনে সেবা দিয়ে এসেছে। শ্যামলীর গর্ভাবস্থায় চিকন রূপ চোখ ঝলসে সব কষ্ট ভুলে যেত সে! পেটটা বিস্তর ডাগর হয়েছিল। মাঝরাতে কাল লন্ঠন হাতে শেষবার যখন বার উঠে শ্যামলীকে দেখেছিল তখনও শ্যামলী তার হাড় হা ভাতে মালকিনকে হাম্বা রবে ডেকে বোঝাতে চেয়েছিল, সব ঠিক আছে। আহ্লাদি শ্যামলীর ডাগর পেটে হাত বুলিয়ে পেটের বাচ্চাটার চনমনে ভাবটা পরখ করে তবে শুতে যায়। রাতে শুয়ে মনে হয়েছিল শ্যামলীর পাহাড় পারা পেটে দুটো বাচ্চা নাই তো? যদি হয় তবে সংসারের হাল শিঘ্রী ফিরবে। অনেক বয়স, অব্দি শ্যামলী কুমারী ছিল বলে ঘাটে ষষ্ঠীর দিন একটুকরো সাদা সুতো তেল হলুদে মাখিয়ে সিঙে বাঁধার ফল যে এভাবে বিফলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবে নাই।
আহ্লাদি ঝরো মুচির মেয়ে। বালবিধবা। তিন কুলে কেউ নাই। সন্তান বিয়ানোর মর্ম ,জানার সুযোগ, অনুভব না করার অভাবী মনটাতে আশার পুলক জাগিয়ে পলকেই পালাল ওর শ্যামলী। পালিয়ে কাজটা আদৌ ভাল করে নাই।
যারা মুনিষ মাইন্দার খাটতে পারে না। কন্ট্রোলের চাল গমে ভরসা তারাও যেচে এগিয়ে এসেছে আজ আহ্লাদীর ঘরে। ওদের মুখে সান্ত্বনার বাণী অথচ হাতে চকচকে ছুরি দেখে একছুটে ঘরে ঢুকে হুড়কো দেয়।
চিরুনীর মুখে উঠে যাওয়া চুলের গোলা দিয়ে কাল দুধ দোয়ানোর জন্য যে সস্তার জামবাটীটা কিনেছিল সেটাকে চোখের জলে ভরাট করার সংকল্প নিয়ে পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে।
============
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন