শীলা সোম
সকালবেলায় কিচিরমিচির বসেছে যে সভা,
কত কথাই হয় সেথায়, পাখির প্রগলভা।
দূর দেশেতে থাকে কেউ, পরিযায়ী তাদের বলে,
সংখ্যা তাদের নয় যে কম, দুলকি চালে চলে।
শীতেই আসে সে সব পাখি, বসে ঝিলের ধার,
শীত পেরোলেই তারা কোথায় হয় পগারপার।
ময়না, টিয়া, বুলবুলি যে বলেই চলে কথা,
ফিঙে নাচে পাতায় পাতায়, ভুলে মনের ব্যথা।
উঁচুতে ওড়ে বাজ, চিল, শিকার ধরার তরে,
নজর তাদের নীচের দিকে, ভাগাড়ের পরে।
শালিখ কেমন ঝগড়া করে, শুধুই খুনসুটি,
টূনটুনি যে বাসা বানায়, কেমন পরিপাটি।
তালগাছের মাথাতেই বাবুই বানায় বাসা,
কোকিলের ডিম কাকের ঘরে, বাচ্চা হয় খাসা।
টুপ্ করে ঐ মাছ ধরে খায়, মাছরাঙা তার নাম,
বৌ কথা কও ডেকেই চলে, দেয় না কেউ দাম।
কাঠ ঠোকরা ঠুকে ঠুকে করে গাছের কোটর,
ময়ূর কেমন পেখম ধরে, অতীব সুন্দর।
জাতীয় পাখি বলে যে তার গর্বের নেই শেষ,
চন্দনা বড় ই অভিমানী, মনেতে তার ক্লেশ।
কাক কেমন নোংরা খেয়ে, সব করে পরিষ্কার,
বক চেয়ে রয় মাছের আশে, জলার ই ধার।
হাঁস, মুরগী, পাড়ে ডিম, খাদ্য যে মানুষের,
ধনীরা পায়রা ওড়ায়, পয়সা যাদের ঢের।
চড়াই কোথায় হারিয়ে গেছে, ফাঁকা অট্টালিকা,
রাতের বেলায় পেঁচা ডাকে, বাড়ায় বিভীষিকা।
কাকাতুয়ার মাথায় ঝুঁটি, দোয়েল গায় গান,
সকাল থেকেই হয় যে শুরু পাখির কলতান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন