তিনটি কবিতা ।। মেশকাতুন নাহার
ইচ্ছে ভুবন
ইচ্ছে বাসায়
কিছু আশায়
নিত্য আঁকি কতো ছবি!
মনের দোরে
প্রতি ভোরে
কড়া নাড়ে ঐ যে রবি।
ভাবছি বসে
মনের হর্ষে
যদি হতাম প্রজাপতি!
বুনো ফুলে
পাখা খুলে
মেলে দিতেম অনুভূতি।
অচিন দেশে
হাওয়ায় ভেসে
মেঘের সাথে করি সন্ধি!
পর্বত চূড়ায়
তৃষ্ণা জুড়ায়
যখন প্রণয় হয় যে বন্দী।
ভাবনা রাজ্যে
কারুকার্যে
গাঁথি বিনে সুতোয় মালা,
এলোমেলো
স্বপ্নগুলো
জীবন যাত্রার ডালপালা।
আকাশ নীলে
চোখের ঝিলে
খুঁজে কতো কিছু চেতন,
আশয় তীরে
উমেদ ঘিরে
রশ্মি ভরা আমার ভুবন।
রাঙাবধূর হাসি
বধূ সাজে মাঝে মাঝে
মুখটি লাজে ভরে,
দেখি তাঁরে বারেবারে
হৃদয় দ্বারে ধরে।
দিঘল চুলে বেলি ফুলে
হেলে দুলে চলে,
রাঙা বেশে ভালোবেসে
মিষ্টি হেসে বলে।
রূপে ভরা অঙ্গ গড়া
অগ্নিঝরা মূর্তি,
কর্ম ছেড়ে আসি তেড়ে
যায় যে বেড়ে ফুর্তি।
মিঠা স্বরে হাতে ধরে
প্রণয় করে বলে,
চলো দূরে আসি ঘুরে
ঐ ফুরফুরে জলে।
স্বপ্ন ঘেরা ছোট্ট ডেরা
বধূ সেরা সাধন,
তেড়েমেরে গেলে ছেড়ে
যাবে হেরে বাঁধন।
নৌ ভ্রমণে চলো
কোথায় তোমরা বন্ধু বান্ধব
একত্র হই সবে,
বনভোজনে চলো যাবো
দারুণ মজা হবে।
মেঘনার বুকে চর জেগেছে
খুব মনোহর চিত্র,
পাখি দেখে মন জুড়াবে
চলো সকল মিত্র।
নদীর গর্ভে সোনালী রোদ
ঝিকিমিকি হাসে,
ছোট ছোট ডিঙি নৌকা
জলের উপর ভাসে।
নৌ ভ্রমণে গল্প,আড্ডা
গাইবো পল্লী গীতি,
ফুর্তি করবো সারাটাদিন
ছড়িয়ে বেশ প্রীতি।
ইলিশ ভাজা তাজা তাজা
খাবো মজা করে,
মন মাঝারে এমন স্মৃতি
রাখবো ছবি ধরে।
মেশকাতুন নাহার
প্রভাষক সমাজকর্ম
কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ,
কচুয়া, চাঁদপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন