Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

অণুগল্প ।। সন্ধিক্ষণে ।। প্রদীপ বিশ্বাস

সন্ধিক্ষণে

প্রদীপ বিশ্বাস


-এই দাদা, আটটা বাজে - - - কলেজ যাবি না! বোন সুমিতা মাথায় একটা ঝাকুনি দিয়ে, চুলটা একটু টেনে দিয়ে চলে গেল। অন্য দিন হলে অমিত ছুটে গিয়ে সুমির বেণীটা ধরে টেনে দিত, না হয় পিঠে দুম করে একটা কিল বসিয়ে দিত। পিঠোপিঠি ভাই বোনে যা হয় আর কি! কিন্তু অমিত যেন আজ অন্য জগতের মানুষ। কিছুতেই তার আজ মন নেই। বিছানা ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছে করছে না। লেপের নীচে মুখ লুকিয়ে যেন সবকিছু থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতে চায়।
  মা একবার এসে উঁকি দিয়ে দেখেও গেল। কপালে হাত রেখে বোঝার চেষ্টা করল জ্বর টর এসেছে কি না! হাঁক পাড়ল একবার - - - কলেজ টলেজ বন্ধ নাকি রে!
  কোন কিছুই আজ কানে যাচ্ছে না অমিতের। গতকাল ঘটনাটা ঘটে যাবার পর থেকে তার সব কিছুই যেন ওলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে। গতানুগতিক জীবন যেন তার কাছে সম্পূর্ণ অচেনা হয়ে যাচ্ছে।
  সুনীতারা তাদের বাড়ির ভাড়াটে। একতলায় থাকে। সুনীতির বাবার বদলীর চাকরি। দুর্গাপুর থেকে বদলী হয়ে কোলকাতায় এসেছে। সুনীতি সুমিতার সমবয়সী ।সখ্যতা গড়ে উঠতে দেরী হয়নি তাদের। সুমিতার দাদা হিসেবে অমিত বাইরে বাইরে রয়ে গেছে।
  সুনীতির এ বাড়িতে নিত্য আসা যাওয়া অমিতের মনে দাগ কেটেছে। অবচেতনে ভালবাসার বীজ রোপিত হয়েছে। কালক্রমে পত্রপুষ্পে সুশোভিত হয়েছে, সংগোপনে বেড়ে উঠেছে। প্রকাশ ঘটেনি। অমিতও জানতে পারেনি সুনীতির মনের কথা।
পাশাপাশি থাকলে যা হয় সেটুকু কথাবার্তা তাদের মধ্যে হয়েছে বটে, কিন্তু তাতে বোঝা যায় না কারও মনের কথা।
  অবরুদ্ধ মনের কথা চিঠিতে লিখে রেখেছিল অমিত। সুযোগ পেলে সুনীতিকে চিঠিটা দেবে। কিন্তু সংকোচের গন্ডি পেরতে পারেনি অমিত।
   সুযোগ হঠাৎ এসে গেল। ট্যুইশানি থেকে ঘরে ফিরছিল অমিত। সুনীতি সিঁড়ির গোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল একা। অমিত জিজ্ঞেস করে - - তুমি এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে কেন?
---এমনি, বাবা-মা বন্ধুর বাড়িতে গেছে। দাদাও বাড়িতে নেই। তাই----।
-ও!
এইতো উপযুক্ত সময়! সুযোগ হাতছাড়া করেনি অমিত। চিঠিটা কাছেই ছিল। কোনো কিছু বোঝার আগেই সুনীতির হাতে ওটা গুজে দিল। কোনো মতে বলল, এটা তোমার!
তারপর দ্রুত উঠে এসেছিল নিজের ঘরে ধপাস করে শুয়ে পড়েছিল। ধড়ফড় করছিল বুকটা। ঢকঢক করে জল খেল। তবুও ধড়ফড়ানি কমলো না। হাত-পা অবশ অবশ মনে হতে লাগলো।
পড়াতে মন বসলো না। শুয়ে পড়লো। এপাশ ওপাশ করলো কিছুক্ষন। অস্বস্তি কিছুতেই কাটলো না। মনে হতে লাগলো, এই বুঝি কলিং বেলটা বেজে উঠলো। সুনীতির বাবা আর দাদা বুঝি উপরে উঠে এলো। বাবা-মাকে সব বলে দিল। 
রাত দশটা পর্যন্ত এমনই কাটল অমিতের। ভাবল, বাবা যখন এখনও তলব করেনি তখন মনে হয় আজকের মত বিপদটা কেটে গেল। মনটা একটু হল। কিন্তু কাল কি হবে? যদি ওরা সব বলে দেয়! 
খাবার টেবিলে অমিতের মনে হল সবাই যেন তাকে আড়চোখে দেখছে, সন্দেহ করছে। বোন সুমিতা রোজকার মত খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে না। বাবা পড়াশোনার খোঁজ খবর জানতে চাইছে না, মাও খাবার নিয়ে পীড়াপীড়ি করছে না। মনটা আবার ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। মাথাটা থালার সাথে যেন মিশে যাচ্ছে। কিছুতেই সোজা করে রাখতে পারছে না। কোনো রকমে নাকে মুখে খাবার গুজে উঠে পড়ল অমিত।
শিউরে ওঠে অমিত, তার এতদিনের সুনাম মিশে যেতে বসেছে। কিছুতেই সে এটা হতে দিতে পারে না। 
মনস্থির করল অমিত। ব্যাগটা গুছিয়ে নিল। 
রাত থাকতেই উঠে পড়ল অমিত। ব্যাগটা নিয়ে নেমে এলো সিঁড়ি দিয়ে। 
চমকে উঠল। সামনে দাঁড়িয়ে সুনীতি। 
-জানতাম এমনটাই হতে পারে। তাই আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছি। ভয় নেই। ঘরে যাও।
মুচকি হেসে সুনীতি ঘরের দিকে গেল। 
বুকের পাথরখানা নেমে গেল অমিতের। 
           



মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল