দরাদরি
সেখ মেহেবুব রহমান
সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম সুমনের। সকালবেলায় আধ কাপ চা আর একটি বিস্কুট খেয়েই বেরিয়ে পড়েছে। এখন মধ্য দুপুর। পেটে এক ফোঁটা জলও পরেনি। দুর্বল শরীরে তিনতলা থেকে নামার সময় একবার নীচে তাকাতেই চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। বাস্তব জীবনেও অন্ধকার ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে।
সুমন সবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। সাইন্স নিয়ে পড়েছে। ভালো মার্কসও পেয়েছে। আজকাল মুড়ি-মুরকির মতো নম্বর পাওয়ার ধারা চললেও, সুমনের কৃতিত্বকে খাটো করা যায় না। প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে। সাইন্স পড়বে বলে সাত কিমি দূরের স্কুলে ভর্তি হয়। অভাবের সংসারে পড়াশোনার বিপুল খরচের সাথে অতিরিক্ত হিসাবে এই দৈহিক পরিশ্রম।
কয়েকদিন আগেই স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে এসে ওকে সম্বর্ধনা দিয়ে যায়। বিরোধী দলও এসে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গেছে। আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ও ক্ষণিক স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু পরের ঘটনাক্রম মনের ভিতর শুধুই নিরাশা সৃষ্টি করেছে।
আগামীদিনে ওর অঙ্ক নিয়ে পড়ার ইচ্ছা। এবার এক্সামেও পুরো নম্বরই পেয়েছে। যদিও এই স্বপ্ন মনের বাগানে চারা অবস্থায় ছিঁড়ে খেয়েছে একদল পশু। প্রত্যেকের দাবী অঙ্ক নিয়ে কী হবে? এই বিষয়ের তো কোনো ভবিষ্যত নেই।
কাজের সুযোগ আজকের দিনে মাইক্রোস্কোপিক হলেও, ওর মনের ইচ্ছাকে কেউ বোঝার চেষ্টা করল না। বাধ্য হয়ে অঙ্ক নিয়ে পড়ার দিবাস্বপ্ন ছেড়ে অন্য কিছু পড়ার কথা ভাবতে শুরু করে সুমন। কিন্তু কী নিয়ে পড়লে আজকের দিনে টিকে থাকা যায়। মনের অন্দরে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকের পরামর্শ নিতে শুরু করে ও। মূলত দুটি উত্তর প্রকট হয়।বর্তমান দিনের গতানুগতিক পথ। নিট অথবা জয়েন্ট এন্ট্রান্স। ওর তো বায়োলজি ছিল না। তাই প্রথম অপশন বন্ধ। দ্বিতীয় পথ নিয়ে এতদিন জোর দিয়ে কেউ বলেনি। এবারের এক্সামেও বসেনি। এখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পথ বেছে নিলে তো শূন্য থেকে শুরু করতে হবে! চিন্তার মেঘ ঘনীভূত হয়।
বাড়িতে আলোচনা করে সুমন। মা বাবা ওর পড়াশোনার ব্যাপারে সেভাবে কোনো মতামত দেয়নি কোনোদিন। ওরা এসব বোঝে না। দিনমজুর মানুষগুলোর কাছে ছেলের ইচ্ছায় সব। একাকী সিদ্ধান্ত নিতে হয় সুমনকে। বিকল্প পথ ওর অজানা। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়না, কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন। উত্তর নেই।
জয়েন্ট এর জন্য আলাদা প্রস্তুতি। প্রশ্নের মান ও ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভিতরের জ্ঞান প্রকাশের জায়গা নেই এখানে। শুধু শর্টকাট ট্রিকসগুলো জেনে নিয়ে সময়ের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ন হতে হবে। শর্ট প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সুমন সিদ্ধহস্ত হলেও এই ভিন্ন ধারায় ও নতুন। এক বছরের প্রস্তুতি কী যথেষ্ট। আশঙ্কিত সুমন।
শুনেছে, শহর বর্ধমানে জয়েন্টের ভালো কোচিং সেন্টার আছে। আধ কাপ চা পেটে ঢেলে আজ ও বর্ধমান এসেছে। বাসে ঘণ্টা দুয়ের পথ বাড়ি থেকে। এই অসহ্য গরমে শরীরের সাথে যুদ্ধ করে যখন বাস স্ট্যান্ডে নামে, ক্লান্ত হয়ে পড়ে সুমন। তবুও মনের জোরে একাকী স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞ।
জিটি রোডের পাশেই এক বহুতল। এটাই সুমনের গন্তব্য। আগেই খোঁজ নিয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি চমকপ্রদ নামও দিয়েছে নিজেদের। বাহারি নামের সাথেই সামঞ্জস্য রেখে চলছে ব্যবসা। ভিতরে ঢুকতেই প্রাক্তন কৃতিদের বড়ো বড়ো ছবি দেওয়া একটি হোডিং আছে। প্রত্যেকের ছবির নীচে রেঙ্ক বেশ উজ্জ্বল করে লেখা। চোখ জুড়িয়ে যায়।
পাঁচতলা বিল্ডিং। পুরোটা এসিতে মোড়া। বাইরের দাবদাহ ভিতরে বোঝার উপায় নেই। দরজার ফাঁক দিয়ে ক্লাস রুমগুলো দেখা যায়। ভিতরে ডিজিটাল বোর্ড, সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রজেক্টের। অ্যানিমেশনের মাধ্যমে একজন ক্লাস নিচ্ছেন। সুমন উঁকি দেয়। পঠিত পড়ুয়াদের দিকে তাকায়। তারপর একবার নিজের কথা ভাবে। পড়িহিত পোশাকটি দেখে লজ্জা লাগে সুমনের।
তিন তলায় মেইন অফিস রুম। বড়ো বড়ো সরকারি অফিসের মতো এখানেও ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! দরজার সামনে গার্ড বসে। সুমন হিসাব করল; এনাকে নিয়ে এখনো অবধি জনা সাতেক গার্ডের সামনা-সামনি হয়েছে। ওর পোশাক দেখে অফিসের ভিতরে ঢুকতে বাধা দিয়ে বলল, তোকে ভিতরে ঢুকতে দিল কে! ভিতরে বড়ো বাবু আছেন। এখন যা। কোনো টাকা-ফাকা পাবি না।
সুমন হতভম্ব হয়ে গেল। শেষে ওকে ভিখারী ভাবছে! বিস্মিত হয়েও স্বাভাবিক হয়। পরিহিত পোশাক তো সেই তথ্যের ইঙ্গিত দেয়। নিজেকে সামলে সুমন বলে, আমি ওসব নিতে আসিনি। ভর্তি হবো বলে এসেছি।
গার্ড বলে, তুই ভর্তি হবি! আমায় বোকা ভাবছিস। এর আগেও এমন শুনেছি। যা ভাগ।
সুমন অবাক হয়। এরকম ব্যাবহারের কারণ হয়তো ওর বাহ্যিক রূপ। কিংবা বড়ো গাড়ি চড়ে না আসা। আধুনিক মা বাবা না থাকা। চোখে সানগ্লাস, কথায় কথায় ইংরেজী না বলা। সুমনের অভিমান হয়। গার্ডের প্রতি এই অভিযোগ অহেতুক। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সেইসব বাবুদের আমন্ত্রণ করতে করতে, সেও হয়তো এটাই সিস্টেম ভেবে নিয়েছে।
সুমন দূরের চেয়ারের সামনে মিনিট এক চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। এখন বাড়ি ফিরে গেলে মা বাবাকে কি বলবে। ওরা তো ভিতরেই ঢুকতে দেয় না।
এবার গার্ড বলল, একটা নতুন ব্যাচ শুরু হয়েছে। এখন আর হবে না। এক মাস পর আসিস।
সুমন নড়ে ওঠে। গার্ডের খুব সামনে এসে অনুরোধের ভঙ্গিতে বলল, একটু দেখুন না। যদি সম্ভব হয়। এক মাসে অনেকটা পিছিয়ে পড়বো।
বারবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে থাকে সুমন।
ওদের কথোপকথন চলাকালীন একজন স্টাফ হঠাৎ বাইরে এলো। হয়তো সে ক্লাস নিতে যাচ্ছে। হাতে দুটো বইও আছে। মাইক্রোফোন মুখের সামনে সেট করতে করতে তার আবির্ভাব। সুমনকে দেখে বলল, কি ব্যাপার নাড়ু দা, ও কি বলছে?
গার্ড বলল, দেখুন না স্যার ও ভর্তি হতে চাইছে। বলছি পরের মাসে আসতে। শুনছেই না।
সুমন ভর্তি হতে এসেছে শুনে, স্টাফ ওকে আর একবার ভালো করে পর্যবেক্ষণ করল। বোধহয় গার্ডের মতো তার ধারণাও এক। এটাই তো সমাজের নিয়ম। সবাই একটা সিস্টেমে থাকতে গিয়ে ঠিক অভিযোজিত হয়ে যায়।
সুমন ওদের কথা শুনছে। গার্ড একই কথা বারবার বলায় একটু বিরক্ত মনে হলো। স্টাফটি সুমনের দিকে তাকিয়ে ওকে কাছে ডাকল। সুমন অদূরেই ছিল। দু-পা সামনে এগিয়ে গিয়ে বলল, স্যার আমি ভর্তি হতে চাই। এই মাসে আর ভর্তি নেবেন না? এক মাসও দেরি করতে চাইছি না স্যার।
সুমনের মনের ইচ্ছায় স্টাফ সন্তুষ্ট হলেও, ওর বহিরাভাবে ততোধিক সন্দেহ প্রকাশ করল। হয়তো ওকে দেখে মনে হয়না ওখানে পড়ার উপযুক্ত। ছেঁড়া ব্যাগ, অপরিষ্কার জামা-প্যান্ট, অগোছালো চুল। এভাবে আজ অবধি কাউকে ইনস্টিটিউটে আসতে দেখেনি। শত নেতিবাচক ভাবনার আবহে বলল, তুমি ভিতরে যাও। ওরা ফর্ম দেবে ওটা ফিল আপ করে জমা দিও। হতে পারে।
এটুকু শুনে সুমন আনন্দিত হলো। যদিও বিষাদ আসতে মুহূর্ত নিল না। অভাগার কপালে সুখ সয় না যে।
স্টাফ বলল, একটু বেশি টাকা লাগবে।
সুমন আঁতকে উঠলো। কতো বেশি? নিজের মনকে প্রশ্ন করলো। যদিও মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বেরোলো না।
স্টাফ বলল, দেখো এমনিতে এক বছরের কোর্সে আমরা এক লাখ কুড়ি নিই। তুমি পরে ভর্তি হচ্ছো। তিন চারটা সিট শুধু ফাঁকা আছে, বুঝলে তো। অনেকেই তোমার মতো বলছে। তাই এক-পঞ্চাশ দিলে তোমার ভর্তি কনফার্ম।
শেষের কথাগুলো সুমনের মাথায় ঢুকলো না। বিপুল অঙ্কের অর্থ প্রখর রোদে বজ্রাঘাত আনলো। সুমন কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত। চারিদিকে শুধুই শূন্যতা। এতো নম্বর, ভালো ছাত্র হওয়ার সেই আনন্দ-গর্ব যেন মিথ্যা মনে হতে লাগলো। এর চাইতে না হয় একটু কম নম্বর পেত। পড়াগুলো কম বুঝতো। প্রত্যাশার পারদ খানিক কম উঠতো। কোনো ক্ষতি ছিল না। শান্তিতে বাঁচতে পারতো।
সুমনের নিস্তব্ধতায়, স্টাফ বলল, সব ডকুমেন্টস এনেছ তো। জেরক্স করে এনে ফর্ম ফিল আপ করে আজই জমা দিয়ে দাও। কোথায় জমা দেবে জানো? এরপর কাঁচের দরজার ওপারে বসে থাকা একজন মহিলা স্টাফের দিকে আঙুল দেখাল।
সুমন কাতর অনুরোধ জানিয়ে বলল, ডকুমেন্টস তো সব আছে স্যার। কিন্তু এতো টাকা তো নেই।
স্টাফ বলল, ঠিক আছে। সব একবারে কেনো দেবে। তুমি এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিও।
সুমন নিরুত্তর রইলো। কিভাবে বোঝাবে, এই বিপুল অঙ্কের অর্থ বারো মাসেও মেটাতে পারবে না। দিনমজুর বাড়ির ছেলের পক্ষে হাজার টাকাও কোটি টাকার সমান। সেখানে এতো বিশাল অঙ্কের অর্থ! অঙ্কে ওর মাথা বিশাল। স্কুল স্যার থেকে পাড়ার বন্ধুরা সবাই সেই নিয়ে গর্ব করতো। ও নিজেও অনুভব করতো। কিন্তু এই প্রথম অঙ্কের সহজ হিসাবও গুলিয়ে ফেলল সুমন।
এতক্ষণ চুপ থেকে গার্ড বলল, কি হলো? ভর্তি হতে চাইলে দেরি করিস না। ওই বেলায় কিন্তু এসব কাজ হয়না।
সুমন নিশ্চুপ। ও জানেনা এখন কি বলা উচিত। ও কি অনুরোধ করবে; একটু যদি টাকা কমানো যায়। শুনবে কি এরা? দুশ্চিন্তা, উত্তরহীন প্রশ্ন সুমনকে জড় পদার্থে রূপান্তরিত করেছে। স্টাফ এবার একটু উচুঁ স্বরে বলল, তুমি ভর্তি হবে? সরাসরি বলো।
সুমন আর কোনো উপায় না দেখে মনের ভিতরের কথাগুলো প্রকাশ করে ফেলল। বলল, স্যার একটু কম হবে না। ওতো টাকা বাড়ি থেকে দিতে পারবে না। পঞ্চাশ ষাট হাজার মতো বাবা দিতে পারবে।
নির্ধারিত অঙ্কের অর্ধেকের নীচে টাকার কথা শুনে স্টাফ সুমনকে ধমক দিয়ে বলল, আমাদের সাথে ছেলেখেলা হচ্ছে। তুমি জানো না এখানের খরচ। কে খোঁজ দিয়েছে তোমায়? সব কিছুর একটা নিয়ম আছে। অযথা আর সময় নষ্ট করো না। যাও তুমি।
সুমন ভয়ে গুটিয়ে গেছে। এমনিতে ও সাহসী। কিন্তু এই পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। কখনো এসবের সম্মুখীন হয়নি। উচ্চবৃত্ত মানুষজন। উন্নত চিন্তাধারা। আধুনিক জীবনযাপন। ওকে বড়োই অসহায় করে তুলেছে। তবুও আরও একবার জিঞ্জাসা করল, স্যার যদি একটু কম হয়। বাড়িতে ওতো টাকা দিতে পারবে না।
আরও কিছু বলার আগেই গার্ড ওকে থামিয়ে দিল। স্টাফটি আর কোনো কথা না বলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল। গার্ড এবার একেবারে ওর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলল, এখানে পড়ার এত খরচ জানিস না? এভাবে না জেনে কেনো এসেছিস! তোর কথা কেউ শুনবে না। দাড়িয়ে থেকে লাভ হবে না রে।
সুমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। কি বলবে ভেবে উঠতে পারলো না। আরও একবার গার্ডকে বলল, একটু দেখুন না। যদি হয়।
এই অসহায় কিশোরের দিকে চেয়ে সেও কষ্ট পেল। কিন্তু উপায় যে তার কাছেও নেই। শিক্ষা আজ ব্যাবসায় রূপান্তরিত। পুঁজিবাদী মতাদর্শে শিক্ষার মূল লক্ষ্য গৌণ হয়েছে। সবাই যে প্রতিযোগীতায় অবতীর্ণ। গার্ড সুমনের কাঁধে হাত রাখল। এই প্রথম সহনাভূতির সুরে বলল, তুই বাড়ি যা। এরা টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। অন্য কিছু ব্যাবস্থা কর। বাড়ি যা...
ভিতর থেকে গার্ডকে কে যেন ডেকে পাঠালো। ও সুমনের দিকে আর একবার তাকিয়ে অফিসে ঢুকে গেল। কাচের ভিতর ব্যাস্ত জীবন। টাকার কাঙাল। শিক্ষাকে কিভাবে নিপুণ দক্ষতায় ব্যাবসায় রূপান্তরিত করা যায় সেটা এদের দেখে শেখা উচিত।
সুমন ' অন্য ' আর কি ব্যাবস্থা করবে। প্রত্যেকের মৌখিক সহযোগিতাটুকুই তো জুটেছে এতদিনে। প্রকৃত পাশে থাকার মানুষ তো নিশ্চিহ্ন।
সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করল সুমন। পেটের খিদেয় শারীরিক ভাবে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। যদিও মনের বেদনা সেই ব্যাথা ভুলিয়ে দিয়েছে। বরং এতক্ষণের এক বিফল প্রচেষ্টায় ও জর্জরিত। পূর্বের কঠোর পরিশ্রমের কথা ভেবে নিজের প্রতি ঘৃণার জন্ম নিল। এই সমাজের প্রতি খেদ জমতে শুরু করল। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েও কেউ একটু ভরসার হাত বাড়িয়ে দিল না।
নাম- সেখ মেহেবুব রহমান
গ্রাম- বড়মশাগড়িয়া
ডাকঘর- রসুলপুর
থানা- মেমারী
জেলা- পূর্ব বর্ধমান
রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ
ডাকঘর সংখ্যা- ৭১৩১৫১
চলভাষ নমর- ৮০১৬২৮৮৮৭৩
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন