আমিই সে
শর্মিষ্ঠা মিত্র পাল চৌধুরী
অগ্নিকুণ্ডে সীতা হয়ে আমার প্রবেশ;
যজ্ঞাগ্নি থেকে যাজ্ঞসেনী রূপে আমারই উন্মেষ!
জানকী থেকে দ্রৌপদী সর্ব রূপেই আমি সংস্থিতা।
স্বয়ং রঘুপতি আমাকে সন্দেহ করার সাহস করেছিলেন!!
কুরুবংশের ধর্মাত্মা নীতিমান সদস্যগণ আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি!
তাঁরা পাণ্ডবভার্জা দ্রৌপদীর অপমানের নীরব দর্শক।
সখা কৃষ্ণ,তুমিও সেদিন মন্দবুদ্ধিদের পরাস্ত করতে পারতে !
কিন্তু তুমিও কালের হাতে সব ছেড়ে দিয়েছিলে ।
সর্ব যুগে আমি বারংবার অপমানিতা!!
আজও আমি লাঞ্ছিতা,ধর্ষিতা,বৈষম্যের শিকার!
আপনাদের ধর্মের সূক্ষ্ম অর্থ গুলো কি সবই আমার বিপক্ষে!!
ভুলে যাবেন না;আমি ব্রহ্মার সরস্বতী,বিষ্ণুর লক্ষ্মী,এবং মহেশ্বরের দুর্গা।
আমি শুধুই মাংস খণ্ড নই;পাঁজরের হাড়ের মধ্যে টর্পেডো ধারণ করি!
আমারই অশ্রুধারায় অলকানন্দার সৃষ্টি!
মানবতার হত্যাকারীকে নিধন করতে আমার এতটুকু সময় লাগে না!
আমি চিত্রাঙ্গদা -শুধু সুরূপ নয়;আমার কুরুপ কে সম্মান করতে শিখুন!
আমার লোহিত কণিকার মধ্যে আছে ফুটন্ত ম্যাগমা !
আমার ডানার উপর যে অদৃশ্য রজ্জুর বন্ধন দিয়েছেন তা খুলে দিন!!
নয়তো এই হত্যা বা আত্মহত্যার দায় আপনাদের।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন