নীলিমার আত্মজাগরণ
পরেশ চন্দ্র মাহাত
নীলিমা মাহাত, বয়স পঁচিশ প্লাস —তার বাবা মায়ের পঞ্চম তথা শেষ সন্তান। দুই দাদা —বড়দাদা শঙ্কর ও ছোটদাদা বিজয়। বড় দাদা শঙ্কর আর দুই দিদি তাদের কিন্তু বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র নীলিমা আপাতত স্বামীর কোমল হাতের স্পর্শ ও সহানুভূতি থেকে বঞ্চিত এবং আদৌ কবে অথবা সেই সৌভাগ্য আসবে সেটা ঈশ্বরের নিকটই একমাত্র জ্ঞাত। সেই সঙ্গে দুবছরের সিনিয়র ছোটদাদা বিজয়েরও নীলিমার মতো অবস্থা। তারও জীবনসঙ্গিনী জুটেনি। মোট সাতজন সদস্য নিয়ে গঠিত সংসার নীলিমাদের পরিবার। মধ্যবিত্ত পরিবার —মধ্যবিত্ত পরিবার না বলে যদি নিম্নবিত্ত বলা হয় তবুও কোনো অত্যুক্তি করা হয় না। বাবার প্রত্যেকদিনের আয়ের উপর ভিত্তি করেই চলে সংসার। এই কঠোর এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও নীলিমার মা শ্রীমতী মেনকা‚ সংসার সামলে তার ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার প্রতি যথেষ্ট তৎপর ও সহানুভূতিশীল। তাদের পড়াশুনায় কোনো খামতি রাখেননি। যথা সময়ে তাদেরকে বিদ্যালয়ের মুখ দেখিয়েছে – টিউশনের বন্দোবস্ত করেছে। তাদের জীবন যাতে সুখকর হয় সেটাই প্রতিদিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছে। পাঁচ-পাঁচটি ছেলেমেয়ের মধ্যে সবাইকে উচ্চশিক্ষিত করে তোলা একপ্রকার অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে মা মেনকা বড়ছেলে আর দুই মেয়ের— বিয়ে দিতে ইচ্ছে না থাকলেও তাদের বিয়ে দিয়েছে। দুই মেয়ে স্বামীর সঙ্গে তাদের সুখের সংসার করছে। আর এদিকে বড় বৌমাকে সঙ্গে নিয়ে মেনকা দেবীর পরিবারও খুব হাইলি স্ট্যান্ডার্ডভাবে না চললেও মোটামুটি সুখের সংসার চলছে। এই হল নীলিমার পরিবারের সংক্ষিপ্ত অথচ সুন্দর ইতিহাস।
নীলিমা বর্তমানে শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সঙ্গে প্রফেশনাল ডিগ্রি বি. এড পাস করে পুরুলিয়া টাউনের দুলমিতে একটা মেসে সরকারি চাকরির খোঁজে প্রিপারেশন নিচ্ছে। নীলিমা প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্রী। নিজের গ্রামের বিদ্যালয় — দামড়াবাদ আঞ্চলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অভাবনীয় বেশি নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে পাস করে। তারপরে দামড়াবাদ থেকে সতেরো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত বিদ্যালয় — নপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। সেখানে দুই বছর আবাসিক থেকে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয় পুরুলিয়া টাউনের মধ্যে অবস্থিত একমাত্র মহিলা কলেজ —-নিস্তারিনী কলেজে। সেই থেকেই জীবনের প্রথম পুরুলিয়াতে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে নীলিমার। নিস্তারিনী কলেজে আবাসিক ছাত্রী হিসাবে পড়াশুনা করে। অন্যান্য আবাসিক মেয়েদের থেকে তার বিশেষত্ব হল, সে নিয়মিতভাবে পড়াশুনা করেছে — অন্যান্য মেয়েদের মতো প্রেমের দিকে না ঝুঁকে পড়াশুনায় মন দিয়েছে। অবশ্য একথা বলে রাখা ভালো যে, তারও প্রেম করতে ইচ্ছা করেনি একথা একেবারে সত্য নয়। সদ্য যৌবনে পদার্পিত তার শরীরে ক্ষরিত হরমোনের প্রভাব লক্ষ করা গেছে। তার মনেও অন্য বান্ধবীর দেখে মনে মনে তারও ইচ্ছা ছিল প্রেম করার। রাত জেগে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলা আর ঘুরতে যাওয়া। তবে কিনা মনের মধ্যে উত্থিত এই আশাকে পরিবারের ভয়ে সেই ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেছিল। তারপরে তিন বছর অতিক্রান্ত করে নিয়তির বিধানের মতোই কলেজ পাস করে জেলার মধ্যে অবস্থিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় — সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে। নীলিমার ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল শিক্ষিকা হওয়ার — বিদ্যালয়ে পড়ানোর। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দরকার আরেকটা ডিগ্রি। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা হতে গেলে বি.এড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। ফলে তাকে বাড়িতে বুঝিয়ে সেই সঙ্গে বিজয়দার সুপরামর্শে ভর্তি হয় বর্ধমানের এক প্রাইভেট বি.এড কলেজে। শেষ অবধি সেই প্রফেশনাল ডিগ্রিও তার হস্তগত হল। এখন সে শিক্ষিকা হওয়ার সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। কেবল বাকি রইল সেই শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষায় পাস করে বিদ্যালয়ে যোগদান।
বি.এড ডিগ্রি তথা অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ারের শেষ মার্কশিট হাতে পাওয়া আজ একবছর অতিক্রম হয়েছে। বর্তমান রাজ্যসরকারের শিক্ষাবিভাগে নিয়োগের অবহেলায় এখন পর্যন্ত তার একবারও সেই শিক্ষিকা হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। আপাতত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি সরকারের তরফে জারি না হওয়ায় অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় বসেছে। এই একবছর ধরে সে নিজেকে প্রস্তুত করেছে মেসে থেকে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নিজেকে উত্তীর্ণ হওয়ার যথেষ্ট পরিমাণে চেষ্টা করেছে। চেষ্টায় কোনো ধরনের ত্রুটি করেনি। অন্যান্য মেয়েদের মতো প্রেমে ব্যস্ত না করে জীবনকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার লক্ষে নিজেকে সমর্পিত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সে এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। সব বারই আপাতত অসফল। অসফলতার ধারা অব্যাহত। এই সময়ের মধ্যে সে দুটো পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পরীক্ষা, তিনটে ইউজিসি নেট, দুটো পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত সেট পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু সেগুলোতে অসফল – নট কোয়ালিফায়েড। গত ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের পয়লা মার্চ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত সেট পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে এই খবর পাওয়া মাত্রই সে দ্রুত নিজের রোল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে চেক করেই মোবাইলের স্ক্রীনে ভেসে উঠল – নট কোয়ালিফায়েড।
পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত সেট পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার পর তার কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট প্রতিভাত, চোখে মুখে মলিনতার ভাঁজ দৃষ্যায়িত। তার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে একটা বিষয় বার বার— কিছু না করলে জীবনকে সুখী, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও আনন্দময় করে তোলা প্রায় অসম্ভব! জীবনে সুখী হতে হলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত জরুরী। নিজের উপার্জন করে কোনো কিছু করতে পারলেই জীবন সার্থক এবং তার স্বাদও আলাদা। স্বামী যদি চাকরি করে ভালো কথা। কিন্তু এটাও সত্যি কথা যে নিজে না করলে স্বাধীনতা নেই। নিজের আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই সঙ্গে জন্মদাতা জন্মদাত্রীর মুখে হাসি ফোটানো মুস্কিল। তাই সে মনে মনে চিন্তা করে —
"কি যে করি ? কিছু একটা করতেই হবে‚ পারতেই হবে? তাছাড়া উপায় নেই?"
তার বান্ধবী সুজাতা নার্সের চাকরি করছে। এতে আরও কষ্ট বেশি হয় তার। অন্যের চাকরি হলে কষ্ট একটু কম হয় কিন্তু যখন বান্ধবীদের চাকরি হয় তখন একদিকে ক্ষণিকের জন্য আনন্দ দিলেও ব্যথার পরিমাণ কিন্তু বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই জটিল এবং দুঃখজনক অবস্থার শোচনীয় পরিণাম একমাত্র তারায় অনুভব করতে পারে, যারা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেয়। হিন্দীতে একটা ডায়লগ রয়েছে —
"দোস্ত ফেল হো যায়ে তো দুখ হোতা হে,
লেকিন দোস্ত পাস হো যায়ে তো ওর যাদা দুখ হোতা হে।"
"বান্ধবী সুজাতা নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে নিয়েছে, বিন্দাস লাইফ কাটাচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটা বান্ধবী সুখের সংসার করছে। কিন্তু আমি এত ভালো রেজাল্ট করেও কিছু করতে পারছি নাই। না পারলাম সুখে সংসার করতে, না পারলাম একটা চাকরি তো দূরের কথা
– একটা কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় পাস করতে! খুব কষ্ট হচ্ছে!"
এইসব চিন্তা করতে করতে তার বাবা মায়ের সেই মলিন মুখমণ্ডল মনের মধ্যে ভেসে উঠল। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবে -
"আমি কি বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারব নাই? আমার পরিবারও কি অন্যের কাছে গর্ব করে বলতে পারবে নাই কিছু?"
ওদিকে তার বাড়ির লোক ভাবছে –
"আমাদের নীলিমা কবে যে একটা চাকরি করবে? কবে যে আমাদেরকে কিছু টাকা দেবে? কত আশা করে নীলিকে আজ পড়ালাম — আমাদের কি সেই আশা পূরণ করবে নাই!"
তার বাবা মার মনে এখন একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে, সেটা হল —
"নীলিও যেন একটা চাকরি করে। ছোটছেলে রাহুলকে যেমন এত কষ্ট করে পড়াশুনা করালাম, এখন সে সরকারি টাকা পাচ্ছে, সেই মতো নীলিও যেন সরকারের টাকা পায়। আর নিজের এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।"
এই সমস্ত চিন্তা ভাবনার করতে করতে নীলিমার হটাৎ আরও একটা কথা এই সময় খুব মনে পড়ছে — তার দাদা বিজয় একদিন ফোনালাপে বলেছিল –
"এই…. বুঝলি রে তোকে এক জায়গা বেড়াতে নিয়ে যাব।"
প্রিয় এবং ফ্রেন্ড ফিলোজফার গাইড বিজয়দার এই কথা শুনতেই নীলি অত্যন্ত আহ্লাদের সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠে –
"কবে? কবে? বল রে?"
"নিয়ে যাব তবে একটা শর্ত আছে?"
"কি শর্ত?"
"তোকে একটা কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় পাস করতে হবে।"
এই কথা শোনার পর নিমেষেই তার আহ্লাদিত ভাব মুছে গেল। কিছুক্ষণ পরে বলে উঠে —
"হমম, ঠিক আছে।"
কিন্তু এই ঠিক আছে বলার মধ্যে একটা সতেজ প্রাণবন্ত ভাব নেই। মনে কোথাও একটা শূন্যস্থান রয়ে গেছে। একপ্রকার বাধ্য নিরুপায় হয়ে দাদাকে বলেছে — "হ্যাঁ ঠিক আছে"।
তার পরে দুই ভাই বোনের মধ্যে আরো কথা হয়েছে। কিন্তু নীলিমার সেই আবেগতাড়িত ফোনালাপ করা সম্ভব হচ্ছিল নাই। তাই সে বলে —
"ঠিক আছে রে আমি রাখছি।"
ওদিকে থেকে বিজয়দাও বলে —
"হ্যাঁ…"।
আজ সেটের রেজাল্ট দেখার পর আবার সেই ভুলে যাওয়া ছোটদাদার কথাটা খুব খুব মনে পড়ে গেল। সে যদি আজ কোয়ালিফাই করত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রেজাল্ট চেক করে বিজয়দাকে ফোন করে জানিয়ে দিত সুসন্দেশ এবং তার দেওয়া পূর্ব প্রতিশ্রুতি পালন করার জন্য তাড়া দিত। দাদার কর্মস্থল অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানাত। সূর্যোদয়ের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখার জন্য তার কাছে আবদার করত। সৌভাগ্য ঘটত সেখানকার মনোরম ও মনোমুগ্ধ পরিবেশ দেখার। জীবন আরো রঙিন থেকে রঙিনতম হতে পারত। কিন্তু বিধাতা তার প্রতি অনুকূল না হওয়ায়,সে আশা আপাতত স্থগিত রইল। বিধাতা কবে তার পক্ষে দাড়াবে সেটা একমাত্র বিধাতায় জানে। ফলে নীলিমা আজ না পারছে দাদাকে ফোন করতে, না পারছে নিজেকে স্থির রাখতে। আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রতিবিম্বিত তার সর্বশরীরে। একমাত্র ভগবানের বিরুদ্ধে তার আক্ষেপ উক্তি । এই রকম দোলাচল, অস্থির মানসিক পরিস্থিতির সম্মুখীন এর আগে হয়েছে কিন্তু আজ আরো একটু বেশি হতাশাগ্রস্থ ও দ্বিধান্বিত। কারণও অবশ্য রয়েছে। তখন হয়তো বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে একটু হলেও কম ওয়াকিবহাল ছিল।
এই সব চিন্তা করতে করতে ঘড়ির কাঁটায় রাত্রি সোয়া নটা বেজে গেছে। ডিনার করতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে গোটা চারেক রুটি সেঁকে নিয়ে দিনের বেলার তরকারি দিয়ে খাবার খেয়ে বেডে বসল। বসে বসে আবার সেই কথায় চিন্তা করতে শুরু করল। কারণ কোনো কিছুই এখন করতে মন করছে নাই।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছে — জীবনের পরবর্তী পরিকল্পনা কি? অথবা কি করবে? কিভাবে জীবনযাপন করবে? স্বামীর বাধ্য সুযোগ্য স্ত্রী হয়ে তার কথা মতো সন্তান উৎপাদন করায় একমাত্র এবং পরম লক্ষ নাকি স্বামী সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে নিজেও একটা চাকরি করবে? যার মাধ্যমে পৃথিবীর বিচিত্র স্বাদ নিতে তার কোনো অসুবিধা না হয়। ফলে মনের সঙ্গে নিভৃতে নীরবে কথোপকথনে ব্যস্ত । সে বলে উঠে—
"….আর নাই !"
"কি আর নাই?" —-মন জানতে চায়।
"আর নাই মানে হচ্ছে, আর পড়াশুনায় ফাঁকি দেব নাই — পুরো সিরিয়াস হলাম। আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করছি জীবনে কোনো না কোনো একটা চাকরি করতেই হবে, করবই।"
মন বলল — "সত্যি বলছো তো?"
"হ্যাঁ সত্যি বলছি, আজ থেকে আমি পুরো চেঞ্জ হব এবং আমার এই শস্য শ্যামলা পৃথিবীকেও নতুন ভাবে আবিষ্কার করব।" — নীলিমা মনকে উত্তরে জানায়।
================
নাম - পরেশ চন্দ্র মাহাত
গ্রাম – বড়কিটাঁড়
ডাকঘর – কর্মাটাঁড়
থানা – জয়পুর
জেলা – পুরুলিয়া
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন