Featured Post

ছড়া ।। বর্ষবরণ ।। দীনেশ সরকার

বর্ষবরণ দীনেশ সরকার   পুরানো দিনের কালিমা কলুষ থাক সব পিছে পড়ে মনের কোণেতে বেদনার ডালি রাখবো না আর ভ'রে।   দুঃখ-আঘাত যত জমা আছে আছে যত শোক-তাপ বর্ষ শেষের বিদায় লগ্নে ধুয়ে-মুছে হোক সাফ।   ধর্মের নামে হানাহানি যত রক্তের হোলি খেলা শেষ হয়ে যাক বর্ষশেষের   শেষ প্রহরের বেলায়।   এসো-এসো-এসো, নতুন বছর তোমারে বরণ করি নতুন ঊষার নবীন কিরণে জীবনের গান ধরি।   বন্ধুর পথ হোক মসৃণ বিচ্ছেদ যাক দূরে নতুন বছরে এসো সবে আজ গাই গান একসুরে।   নতুন বছর ক'রো না ক্ষমা দুর্নীতিবাজ যারা সুস্থ সমাজ দাও ফিরিয়ে সুস্থ জীবনধারা।   নতুন বছর সবার হৃদয়ে দাও ভরে ভালোবাসা নবীন আলোকে নবউচ্ছ্বাসে জাগাও নতুন আশা।   ************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। মেয়ে ডাক্তার খুঁজিস না আর ।। প্রবীর বারিক

মেয়ে ডাক্তার খুঁজিস না আর 

প্রবীর বারিক 


"মা মাগো আমি দেশসেবা করব বীর দেশপ্রেমিকের মতো 
দরিদ্র আর্তের জন্য উৎসর্গ করব ঘুচিয়ে দেব সকল জ্বালা ক্ষত।"
ছোট্ট মেয়ের জীবনাদর্শে মা আপ্লুত "তোর স্বপ্ন সার্থক হোক মামি"
মা একগাল হেসে বুকে টেনে নেয় "মৌ তুই আমাদের জীবনে সবচেয়ে দামি"।

বইয়ের পাতায় বুঁদ হয়ে কঠোর সংগ্রাম  জীবনে এমন কিছু করতে হবে
যা মানুষকে ভগবানতুল্য করে দেয় মেয়ে হয়েও টেক্কা দেবে সবে।

দিনরাত এক করে ঈশ্বর হওয়ার সাধনায় 
সর্বপ্রকার স্বাধীনতা ছিল তার
পিতা কখনও আক্ষেপ করে না "মেয়ে হয়েছে আমার"।
বরং আদর যত্ন ত্যাগ তিতিক্ষা বহুগুণে বাড়িয়ে দেন
মানব সেবক ডাক্তার হতে হবে আপোষহীন স্বপ্নের লেনদেন।

নারী পুরুষ সমানাধিকার এক বিংশের বাণী
তিলোত্তমাও টের পেয়েছে কত সম্মানহানি।
ভগবানরূপে সেবা করে যায়  বিনিদ্র রাত্রি
সেমিনার হলে চোখ ঢলে যায় মৃত্যুপথের যাত্রী।
নর পিশাচ পাষণ্ড ধর্ষক মদ্যপ ক্ষুধার্ত হায়না 
চুল থেকে নখ সর্বাঙ্গ রক্তস্নাত আয়না।

সমাজ বিরোধী অমানুষেরা আজ দাপায় যত্রতত্র
ওরা হল এক দানব নেই তাদের কোন গোত্র।
সভ্য সমাজ বুদ্ধিজীবী বিক্রি হয়েছে টাকায়।
সম্মাননা ও মেডেল লোভে  পিষ্ট শাসন চাকায়।
মনিপুর হাতরাস হলে এদের রাজপথে নামে মিছিল
উচ্ছিষ্টভোজী ধিক শতাধিক অবাঞ্ছিত আঁচিল।

দুদিন বাদে ওদের ঘরে প্রসব তরে উঠলে ব্যথা
মেয়ে ডাক্তার খুঁজবে পথে মুখে বলবে নীতির কথা।
যে ক্রীতদাস পদলেহন করে বাঁচিয়ে রাখে গান-প্রাণ
সে কি করে সুরক্ষা দেবে নারী জাতির সম্মান?
পিতামাতা আজ ক্রন্দনরত ভূমিতে করে গড়াগড়ি 
চোখের সামনে মেয়ে ভাসে বিক্ষত দেহ ছড়াছড়ি।


" মেয়ে তুমি তো ভোগের বস্তু ডাক্তার হতে যাও কেন?
তোমার শরীরই আসল দায়ী নরক যাতনা তাই যেন।"
সমাজ মাথার বিজ্ঞকথায় প্রশ্ন জাগে মনে
তোরা কি এমন বলতে পারবি যদি ঘটে তোর মাতা ভগ্নীর সনে।
মেয়ে ডাক্তার খুঁজিসনা আর বুনো গণ্ডার বেশে
মনুষ্যত্ব বিবেকহীন দ্বিচারিতার দেশে।
============
 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল