স্বপ্নের ক্যানভাস থেকে
কোনো
স্কুলের
বাচ্চাদের
প্রশ্ন
করুন, তোমার
স্বপ্ন
কি? প্রতিটি
বাচ্চাই
গড়
গড়
করে
সুর
তুলে
ডাক্তার - ইঞ্জিনিয়ার
- মাস্টার বলবে। বিশ্বাস করুন আমার স্কুলের এই রকম প্রশ্নের উত্তরে আমিও অনেকবার সুর তুলে এইসব বলেছি। বাচ্চাদের দোষ নেই। সেই বয়সে মানুষের মনে কিছু থাকেনা। থাকে একখান সাদা ক্যানভাস। রং তুলির টান তখনও পোক্ত নয়। সব রঙ চিনতেও অনেক দেরি। স্বপ্ন ঘিরে কত গল্প। যেই দু পা এগিয়ে স্বপ্ন পাখার প্রজাপতির পেছনে গেছি অমনি বিজ্ঞান নামের নাক উঁচু লোক বলে,
'ওই
সব
কিছু
না, সবই
ওই
আনকনসাস
মাইন্ডটার
ভেলকিবাজী।'
তবুও
মনে
হবে, হোক
না।
বড্ড
মজা।
কত
রং।
তাই
দিয়েই
ভরে
তুলি
ক্যানভাস।
স্বপ্ন
ক্যানভাসের
আনাচে
কানাচে
ঘুরে
বেড়ায়
কত
না
স্বপ্নের
আমি।
কোথাও
হয়তো
ডাক্তার
হয়ে
সারিয়ে
তুলছি
রোগীদের, কোথাও
বা
পড়াচ্ছি
ছাত্রদের, কোথাও
দেখি
গাছের
তলায়
বসে
আনমনে
লিখছি
কবিতার
ছন্দ, কোথাও
আবার
তুলির
টানে
প্রাণ
দিচ্ছি
কোনো
এক
মোনালিশাকে.....
কত
রূপে
আমি..... স্বপ্নের
বাগানে
ওড়ে
কত
না
রঙের
প্রজাপতিরা।
তাদের
ডানা
ছুঁয়ে
ছুঁয়ে
দেখি, রঙ
আলতো
হয়ে
ছাপ
ছেড়ে
যায়
আঙুলের
ভাঁজে।
তারপর
সকাল
আসে, জীবনের
কঠিন
দণ্ড
মাথায়
ছুঁয়ে
বলে, চল
বাস্তবের
পথে।
যার
ছোটো
বেলার
স্বপ্ন
ছিল, ডাক্তার
হবে, হয়তো
আজ
তার
কেরানীর
জীবন
যাপন।
আমার
এক
মাস্টারমশাই
ক্লাসের
ফাঁকে
একদিন
বলেছিলেন, 'স্বপ্ন
দেখা
বড়
ব্যাপার, সত্যি
অনেক
কিছুই
হয়না, তাই
বলে
কি
স্বপ্ন
দেখব
না
তা
বললে
তো
হয়না'। হয়তো আজ
সেই
লাখ
টাকার
স্বপ্ন
আজ
পূরণ
হয়নি, কিন্তু
সে
কি
স্বপ্ন
দেখা
ছেড়ে
দিয়েছে! একদম
না।
সে
আজ
স্বপ্ন
দেখে
তার
জীবন
ঘিরে, বাস্তবের
বাইরে।
রূপ
পাল্টেছে
স্বপ্নেরা।
তবুও
স্বপ্নের
অলিতে
গলিতে
তার
রোজ
আনাগোনা।
************************
অণুগল্প
দিক বদল
আনমনে
দেয়ালে
লিখেই
চলেছে
অশোক।
ছোট, আধভাঙ্গা
খড়িটা
কেউ
একটা
এনে
দিয়েছিল।
সেটুকুই
সম্বল।
ধীরে
ধীরে
সাবধানে
লিখেছিল
লাইনগুলো।
এখন
সে
অনেকটাই
শান্ত।
কাল
রাত্রে
করা
তান্ডবের
লেশমাত্র
নেই
চোখে
মুখে।
মাথাটা
একটু
ঠোকা
খেয়েছে
বোধহয়, কেমন
যেন
একটু
নীলচে
রক্ত
জমা
দাগ।
--আগেই
বলেছিলাম
মিস্টার
দাস।
অশোক
যেকোনো
মুহূর্তে
বিপজ্জনক
হয়ে
যেতে
পারে
।
যে
কোনো
সময়
সামলানো
মুশকিল
হয়ে
যাবে।
আফটার
অল
আপনাকে
তো
মেনে
নিতেই
হবে
অশোক
একজন
মানসিক
রোগী।
--কিন্তু
ও কিন্তু
সব
সময়
এরকমটা
করে না।
কালই....
--
না।
এইরকম
পেসেন্ট
মাঝে
মাঝেই....
--তাহলে
কি
অশোক
ভালো
হবে
না
আর?
--হয়তো
আপনার
আমার
কাছে
যেটা
ভালো
হওয়া
সেটা
হয়তো
অশোক
হতেই
চায়নি
কোনোদিন।
--মানে?
--দেখুন।
একমাত্র
ছেলের
এই
অবস্থায়
আপনিও
কিন্তু
দায়ী।
আর
আমার
মনে
হয়
আপনি
সেটা
জানেন।
--কবিতার
ভূত
চেপেছিল
মাথায়।
শান
দেয়া
মাথা
ছিল
আমার
ছেলের।
কি
করতাম
বলুন! ভবিষ্যত
ভেবেই
চাপ
দিতাম
পড়ার
জন্য। স্বপ্ন
ছিল
ওর
কবিতার
বই
বেরোবে
একদিন।
অনেক
কবিতা
লিখবে
সে।
কোনো
স্বপ্নই
পূর্ণ
হলো
না।
না
ওর, না
আমার!
--আমার
তো
মনে
হয়
ওর
স্বপ্নেরা
নতুন
দিক
বদল
করে
অন্য
দিকে
খুঁজে
নিয়েছে
তাদের
আস্তানা।
দেখুন...
অশোকের
আশেপাশে
তখনও
মন
নেই।
ও এক
মনে
তখনও
লিখেই
যাচ্ছে
দেয়ালে.....
'তুই আমার আকাশের সূর্য্যি হবি,
আমি
হব
তোর
ধ্রুব
তারা....'
************************
Moumita Ghoshal
M. G. Road,
Thakurpukur
Kolkata
মোটামুটি ভালো লেগেছে দুটিই।
উত্তরমুছুন