পিং পিং বল
ব্যধি সরে সরে আসে
দীর্ঘ হতে হতে
কবরে নেমে যায় রাস্তা
ব্যলট নেই বুলেট নেই
এক অশরীরী যুদ্ধ
যাবতীয় আয়োজনকে
পিং পিং বল ভেবে
মেরে যাচ্ছে ছক্কার পর ছক্কা
নানা বর্ণের
দামী রঙের
সামরিক সাজোঁয়া আজ খেলনা
খেলনানগরের নখ দাঁতহীন সম্রাট
শুকনো পাতার মতো গর্জায়
পাশ দিয়ে বয়ে যায় লাশনদী
°°°°°°°°
করোনা পরবর্তী কথা
গ্রীবা তুলে দেখো
বুকের অলিতে গলিতে
জমে থাকা দুঃখ
সুযোগ পেয়ে হয়ে গেছে
ঘন সাদা কাশবন
স্মৃতিতে
কচি-কাচা গাছের
নানা অভিযোগ
তুমি অভিযোগের কর্কশ শরীরে
মাখিয়ে দিচ্ছো ভালোবাসার মাখন
নীলের মাঠে
নেমে এসেছে চৈত্রজাতক
তুমি তাদের খেতে দিচ্ছো
নকুলদানা আর শীতল পানীয়
পিছন ফিরে দেখো
করোনা পার করে
কতদূর হেঁটে এসেছি আমরা
আমাদের পাপ
বয়স হয়েছে বলে
সবুজ থেকে ক্রমশঃ হলুদ হতে হতে
ঘাটে নিয়ে এসেছে জীবন
******
মানুষ মারার কল
অসুখের কোনো দেশ হয়না সাগরী
খিদে মানেনা কোনো সীমান্ত
এক অসুস্থ বাতাস
মুখে সময় নিয়ে
উড়ে বেড়ায়
আলোর আগে আগে
ভালোর আগে আগে
অসুখের ইশারায়
আজ বন্ধ ধর্মের সমস্ত দরোজা
কবরে তিল ধারনের জায়গা নেই
চোখ থেকে উধাও
আনন্দের দিনগুলি রাতগুলি
অসুখ আজ গর্ভে
অসুখ আজ অসুর ও ভগবানের
একহাতে দিন আরেক হাতে রাত নিয়ে
ঘরে বসে মানুষ
পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে উৎসব
মাথার উপর দিয়ে
চলে যাচ্ছে সুখ রঙের ঘোড়া
ঘোড়ার মুখের খবর নিয়ে
অসুখ বয়ে যাচ্ছে
দেশের পর দেশ
অসুখের মুখে আজ
মানুষ মারার কল।
°°°°°°°°°
শোধ-প্রতিশোধ
মৃত শিশুর হাতে বাতিল খেলনা
খেলনা নগরীর শেষ কান্না
ধাক্কা খাচ্ছে গম্বুজে গম্বুজে
তুমি সংশোধন করতে চায়ছো
জীবনের প্রথম ও প্রধান ভুল
যে বদলে দিয়েছে
তোমার ভুগোল ইতিহাস
মার খেতে খেতে
ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতি
শোধ প্রতিশোধের খেলা
তোমাকে বন্দী করে
রাস্তায় নেমেছে বিপন্নতা
সমস্ত অস্ত্র আজ ভোঁতা
অসংখ্য নিরুপায় দৃষ্টিপাত
নিস্পলক দাঁড়িয়ে থাকে
শুধু একটি অন্ধ প্রজাপতি
সবার অলক্ষ্যে
এক মুঠো রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছে
আমাদের অসহায় জীবনের খাতায়।
******
অসুখ
অসুখের ভিতর
যাতায়াত করে অন্ধকার
লালারস রক্ত-আমাশা
শাপ লেগে গেছে হাড়ে
দূরে দূরে সরে যায়
প্রিয় ছাদ
বোগেনভোলিয়াকে জড়িয়ে জড়িয়ে
সূর্যস্নান করে শালিখ দম্পতি
পড়ে থাকে আত্মাহীন খোলস
এই অবসরে
খোলসে খেলা করে প্রিয় ঈশ্বর
তুমি খোলস সাজিয়ে তুলছো
কান্নার অলংকারে
গোপনে পাচার করে দিচ্ছো অসুখ
অসুখের গভীরে
নামহীন গোত্রহীন এক সুখ
যাতায়াত করে জন্মের পর জন্ম।
*********