কবি বনাম কুচুটে
- এই যে দাদা ব্যস্ত নাকি?
- হ্যাঁ ভাই আমি ব্যস্ত থাকি।
- এত কিসের ব্যস্ততা?
- তোমায় কেন বলব তা!
- আচ্ছা নাহয় না বললেন
সেজেগুজে যে চললেন
আছে কোথাও নিমন্ত্রণ?
- জানার খুবই প্রয়োজন?
- পাঞ্জাবি তে লাগছে বেশ!
- গায়ে মাখি না এমন শ্লেষ।
- দেখতে যেন লাগছে কবি!
- কবিতা লেখাই আমার হবি
লিখছি আমি হাজার হাজার।
- বাহ্ তবেতো দারুণ বাজার!
ছাপা হয়েছে কোনও কেতাব?
পেলেন কিছু খেতাব টেতাব?
- ওসব আমি দেদার পাই
মেডেল স্মারক ঘর বোঝাই।
- শুনেই মাথা হচ্ছে হেঁট,
কবিতা লিখেই চালান পেট?
মাল কড়ি তো ভালই জোটে!
- তেমন বিষয় নয় মোটেই।
- তবে খেটে লাভ টা কী?
ভস্মে কেন ঢালেন ঘী?
- কবিতা মেটায় মনের খিদে,
লাভ কী তোমার আমায় বিঁধে?
- ওহ্ দাদা রেগেই গেলেন!
একটু যদি বুঝিয়ে বলেন।
- বুঝতে গেলে বিদ্যে লাগে
বুদ্ধি টা চাই তারও আগে,
সেসব তো নেই তোমার ঘটে!
- এই কথা টা সঠিক বটে।
তবুও বলুন দোহাই দাদা
কবিতা লেখেন গাদাগাদা
কারণ টা তার জানতে চাই।
- আচ্ছা শোন বলছি ভাই
কথায় আছে - যেখানে রবি
পারে না যেতে, সেখানে কবি
যায় চলে তার ভাবনাতে!
হঠাৎই এক মাঝরাতে
অভিধান ঘেঁটে শব্দ নিয়ে
কবিতা লিখে বেশ গুছিয়ে
আগল খুলে ভাবের ঘরে
ফেসবুকেতে দিলাম ছেড়ে।
- অত রাতে পড়ল কেউ?
- ফেসবুকেতে উঠল ঢেউ
যেতে না যেতেই কয়েক মোমেন্ট
ঝড়ের বেগে লাইক ও কমেন্ট!
সে কথা ভাই বলব কী আর।
- বাহ্ দাদা দারুণ ব্যাপার!
- তখন থেকে যাত্রা শুরু।
- পায়ের ধূলো দিন না গুরু।
- সেদিন থেকে আজ অবধি
চলছে লেখা নিরবধি,
লিখতে লিখতে কয়েক মণ,
এখন আমি বিদ্বজ্জন।
- উফফ তবে তো পড়তে হয়!
একটা কেতাব দিন নাহয়,
পড়ে আমি হই শিক্ষিত।
- বই নেই ভাই, দুঃখিত।
- শোনান তবে, নিই টুকে।
- সার্চ করে নাও ফেসবুকে।
================
অঞ্জন ভট্টাচার্য
৪/৩৫, রানি রাসমনি গার্ডেন লেন, কলকাতা - ৭০০০১৫। পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ।
ফোন নং : ৯৮৩০১৩৩৯০৮
ইমেইল : anjan.shobdochasi@gmail.com