সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
নিরাসক্ত বাদ
পরিত্যক্ত ছবিগুলোই সাজাই ঝাঁ চকচকে নতুন সেলফিতে। অসংযত কাব্য কথায় ভাবনার পরিসর আরও কমে আসে।
নববর্ষের উন্মাদনায় নিজস্ব আকাশে উড়ে আসে একঝাঁক নিঃসঙ্গ সারস।
স্মৃতি পথ ধরে অবার মহাশূন্যে লীন হয়ে যায়
সময়ের অগোচরে।
আমি নদীপথ ধরে পুরনো সেতুর কাছে ফিরে আসি। পিকনিকের বিপুল আয়োজন।সেই পুরোনো পৃথিবীর অবসন্ন ছায়া - ধূসর প্রকৃতির বর্ণ বিভ্রম।
জড়োয়াদের উদ্দাম নগ্ন নৃত্য - অসহবর্ণ স্বরলিপি।মিশরীয় তান। এ এক প্রত্নপরাভব ফিরে আসে শ্বাসপ্রশ্বাসে।
শান্তির শ্বেত পারাবত উড়েছিল যে প্রাচীন কথামালায় সেখান থেকেই ফিরে আসে অভিনব প্রণয় সংকেত এই মুঠোফোনে। সূচনা হয় নতুন দৃশ্য কাব্যের।
এক প্রাণহীন নৈঃশব্দের প্রবাল দ্বীপে ছোঁ মেরে মরা ডালে উড়ে বসে মাছরাঙা পাখি।অনেক উঁচুতে তার উড়ে যায় শিকারী সিগাল। প্রতিবিম্ব ভাসে তার নীল অশ্রুজলে।
বলতে পারি
বলতে পারি- তাও বলবো কেন কথা
চোখের উপর চোখ রেখে লাল করে
শিখিয়েছো তো মমির নীরবতা ।
বলতে পারি- তাও বলবো কেন কথা
হাতের উপর হাত রেখে আহ্লাদে
শিখিয়েছো তো অন্ধের সখ্যতা ।
বলতে পারি- তাও বলবো কেন কথা
হাসির উপর অট্টহাস্য করে
ঢেকেছো তো কান্নার স্বচ্ছতা ।
বলতে অনেক পারি -শুনবে নাকি আরও
এই বুকে যদি আগুন ছুঁড়ে মারো
বিস্ফোরনে কাঁপবে তলার মাটি
কাঁপতে পারে সোনার কাঁটায় বারো।
মৃত কন্ঠের আওয়াজ কিন্তু প্রবল তীব্রতর।
----------০০০০-----------
Sudip Kumar Chakraborty. Joyanti Gazipur Howrah.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন