দেওয়াল
একটি আকাশ নেমে এসেছে মাটিতে
পিঠ ঠেকিয়ে বিকলাঙ্গ আমি।
ঝরে পড়ছেন রামধনুর লাল রঙ
বারুদের মতো
শিশুদিবসের আঙুলগুলো মেঘ জমে অবিকল উড়োজাহাজের মতো।
নখর, আঁকড়ে একটি একটি অক্ষর
একা দেওয়ালে ব্লাকবোর্ড
বোর্ডের উপরে শিশুরদের আঙুল
চকের মতো।
কুয়াশা
সকাল বেলায় আঁধার নামে
বৃষ্টি ভেজা ঘাস
সোনামণি সোনামণি
রোদ বেরুলে যাস!
গাছগুলো সব কাঁপছে শীতে
গোমড়া মুখে আকাশ
জানালা ধরে মেঘমামাদের
মুখের দিকে তাকাশ
গাছগুলো আজ মুখশুকিয়ে
কেমন করে দেখে
সোনামণি ওবন্ধুদের
একটু খবর রাখে।
মা বলেছে রোদ বেরুলে
দোলনাতে দুলবি
পারলে দুটো ফলট্যমাটো
বেতের পেছেয় তুলবি।
সেই ফাঁকাতে গাছ মাসিদের
একটি ছড়া বলবি
ঢেকির পাড়ে ধান ভানছে
ও সোনাবৌ দাঁড়া
মাটির উনুন
তুষের আগুন
উসকাটিটা বাড়া।
কুয়াশা আজ চাদর হলো
সবজি খেতে বিয়ে
রঙ বে রঙের ফুলে ফলে
সোনার মণির পায়ে।
শিশির হবে মাখন খুকুর
ঘাস যদি হবে নূপুর
সূর্যি দাদু আয়না নেমে
এনে দে না দূপুর।
মেঘ
মেঘ করেছে আকাশ জুড়ে
আঁকিবুকি সব
ব্যবসা এসে বন্ধ হলো শিশুর কলরব।
ঝরছে পানি, পানির দানী
নক্সাআঁকা বাসন
মেঘ জুড়ে আজ রুপোর থালা
কল্পলোকের ভাষণ।
চলছি চড়ে রামধনুটার পিঠজূড়ে গিরগিটি
বন্ধ সময়। অন্ধ কোমায়
দগ্ধ ফুলের কুঁড়ি।
আতসবাজী থমকে দিলো
ঐ শিশোদের হাসি
মেঘজুড়ে আজ খারাপ খবর
জীবন হলো বাসি।
--------------
মুস্তারী বেগম
বড়পলাশন
মেমারী
পূর্ব বর্ধমান
৭১৩৪২৬
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন