Featured Post

কবিতা ।। ঘরে ফেরা ।। বিপ্লব নসিপুরী

ঘরে ফেরা বিপ্লব নসিপুরী  বাতাসের গায়ে তাপের ছোঁয়া  রঙের তুলি শাখে বিষাদ মনে বিবাগী ঢেউ আছড়ে পড়ে ক্ষোভে।  নয়ন তীরে অশ্রুনদী  দুকূল ভাঙে স্রোতে ভিটে মাটি দোর কেড়েছে গোটা পরিবার কাঁধে। আকাশটা আজ ছাদ হয়েছে মাটির স্নেহ ঘর পরিচয়হীন মানুষের দল সবার একই স্বর। বছর শেষে নতুন বছর দিচ্ছে হাতছানি  ক্ষোভের বাষ্প বিষাদ কষ্ট  উবে যাবে কী জানি? অসম্মানের বিষফলা তীর বিঁধেছে ওদের বুকে এমন মলম কোথায় আছে স্বস্তি দেবে প্রাণে। হারিয়ে সবই খড়কুটো দেহ বইছে সময় নীরে নতুন বছর নতুন বাতাস আনুক ফিরে তীরে।  ************* বিপ্লব নসিপুরী  গ্রাম পোস্ট শীতলগ্রাম জেলা বীরভূম  পিন-৭৩১২৩৭ 

স্মৃতিকথা ।। বড় ঠাকুমা ।। সুশান্ত সেন


বড় ঠাকুমা 

সুশান্ত সেন


 এই প্রথম স্মৃতিকথা লেখার চেষ্টা করছি। সত্যি কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে আমি কিছু কিছু কবিতা লেখার চেষ্টা করলেও ,গদ্য লেখার চেষ্টা সে রকম করিনি। যাক শুরু করা যাক।

ছোটবেলায় দেখতাম আমার ঠাকুমার সাথে তাঁর এক বিধবা দিদি আমাদের বাড়িতে থাকতেন, তাঁকে আমরা বড় ঠাকুমা বলে ডাকতাম।
তিনি ছিলেন শুচিবাই , সর্বক্ষণ " ছুস নি ছুস নি" বলতেন আর বার বার গঙ্গা জল ছিটোতেন। আমরা তাঁকে ছুয়ে দেবার ভয় দেখাতাম।
আমাদের তিন তলা বাড়ির ছাদে ছিল একটা ছোট ঘর, সবাই সেই ঘরটাকে  চিলেকোঠা বলতো ,সেই ঘরটা ছিল বড় ঠাকুমার ঠাকুর ঘর, অনেক ঠাকুর সেখানে শোভা পেত আর আমাদের সেই ঘরে ঢোকার মানা ছিল। বড় ঠাকুমা চান করে গামছা পরেই পুজো করতে বসতেন।

বড় ঠাকুমার ছিল এক মেয়ে , তিনি ও বিধবা, মাঝে মাঝে তিনি এসে বড় ঠাকুমার সাথে নানা কথা নানা গল্প করে যেতেন।
এক সময় গোটা বাংলা দেশ জুড়ে বিধবা মেয়েরা , বিশেষ করে একটু বয়স্কা যাঁরা , কাশী আর বৃদাবন মথুরা তে তাদের শেষ জীবন কাটাতেন,  ধর্মীয় কারণে অথবা আত্মীয় স্বজনের চেপে বাধ্য হয়ে।

আমাদের বড় ঠাকুমা ও এক সময় জিদ ধরে বসলেন তিনিও কাশীতে জীবনের বাকি সময়টা কাটাবেন।
দাদু কি করে কি ব্যবস্থা করে ছিলেন সে ত আর আমরা জানতে পারিনি , আমরা ত সব ছোট ছোট , খালি দেখলাম আমাদের বড় ঠাকুমাকে নিয়ে দাদু এক দিন কাশী চলে গেলেন।
এর পর থেকে বড় ঠাকুমার মেয়ে আমাদের বাড়িতে বড় ঠাকুমার খবর নিয়ে আসতেন, আরো বছর চার পাঁচ। আর দেখতাম দাদু মানি-অর্ডার করে প্রতি মাসে বড় ঠাকুমার কাছে টাকা পাঠাতেন। মানি-অর্ডার এর স্লিপ ফিরে এলে আমরা পোস্ট - বাক্স থেকে নিয়ে দাদুকে দিতাম।

বড় ঠাকুমা কাশীতেই দেহত্যাগ করেছিলেন ।


সুশান্ত সেন
৩২বি, শরৎ বসু রোড
কলিকাতা ৭০০০২০
৯৮৩০২৪২১৩৪


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল