নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা
শূন্য স্বার্থপরতা পিষে যায় ট্রেনের নিম্নাঙ্গে,
দু'মুঠো হিংসা মাটি খোঁড়ে ভাতের দাবানলে।
মূর্ত মৌনতা বুঝি শীতল প্রতীক চেনে!
স্নিগ্ধ কায়াও গল্প লেখে বুকের আগুনে।
কয়েকটা দুরাশা পদচিহ্ন মোছে আকস্মিক!
স্তব্ধ এক বিরাট শ্রান্ত চিৎকার দলছুট।
ব্যর্থ বিকেলের টানে প্রেমিক দলাপাকা শরীর।
মৃত্যু তবু চুপিসারে হাঁটে জমা চিন্তার গায়ে।
পরিস্কার চাঁদের গহ্বরে জমা কোটি ইতিহাস,
কবরে হাঁটে প্রতিনিয়ত অবাধ্যের ফাঁকা শোকে।
ধূর্ত দেওয়ালে অপ্রিয় অরণ্য চেঁচায়—
হারানো শঙ্খচিলের উত্তাল আকর্ষণে।
ভাঙা কাঁচের মতো গুঁড়ো গুঁড়ো অপ্রাপ্তি,
ছিঁড়ে দেয় নিমেষে সাদাকালো অহংকার।
অসহায় নাবিক ঢেউয়ে ভাসে পুনরাবৃত্তির,
জাহাজ ভুলে যায় চেনা যন্ত্রণার ওঠা-পড়া।
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা কত সহজ আত্মদর্শন—
গোধূলির প্রেমে ভোলে তৃষ্ণার্তের করুণ শোক।
অবক্ষয়িত ঘুণ ধরে একাকী ক্ষীণ জীবনে,
অবিন্যস্ত অশ্রুজল কেনে টুকরো দুর্দশা।
আক্ষরিক গভীরতা, মেঘ গাঢ় চাঁদের মাঝে,
ভঙ্গুর প্রলাপকথা অনাদরের পর্দা টানে।
উদাসীন প্রয়োজন জাপটে ধরে ক্ষয়িষ্ণুকে।
আলো গোঙরায়, মূর্ছিত কুয়াশার অভ্যাসে।
পরাজিত স্রষ্টা, বিতাড়িত জনহীন যানজটে,
বিষাদ বিশেষ স্বাদে দুঃসময় ডাকে।
আস্থার নক্ষত্রে উষ্ণতার চাপা অভিসন্ধি,
এলোমেলো আদর, বাড়ন্ত শরীর-কাপড়ে।
===============
প্রিয়াঙ্কা কুণ্ডু,
দিলীপ কুণ্ডু,
গ্রাম—ছোটডোঙ্গল,
পোস্ট অফিস—বালীদেওয়ানগঞ্জ,
থানা—গোঘাট,
জেলা—হুগলি।