ঘাট
মেঘের পাহাড়ের বড় গর্ত দিয়ে রোদ্দুর
নদীর জলে এসে পড়ছে I কাঁচা সোনা !
তার মধ্যেই চলছে কিছু নৌকা-স্টীমার I
পশ্চিমের কারখানাগুলোর ধোঁয়া
ওই পাহাড়ের সাথেই মিশে যাচ্ছে I
খুব একটা পার্থক্যও নেই রঙের I
জলযানেরটা ঠিক খেয়াল করিনি I
ইঞ্জিনের শব্দ মিলিয়ে যাচ্ছে আস্তে-আস্তে I
এখন ঘাটে এসে লাগা জলের যে আওয়াজ ,
আর হাওয়ার একটা শব্দ- এই দুটোই প্রধান I
ওই যেখানে সোপানে পিক লেগে আছে ,
তার পাশের ফাটলে কয়েকটা বুনো ফুল I
শেষ বেলার সূর্যে রংটাও বেশ খুলেছে !
এখানে যে ক'বার এসেছি বিকেলেই ;
না, সেবার বোধহয়...! থাক সে-কথা !
অন্য সময়ে কেমন লাগবে কি জানি !
শশব্যস্ত ব্রিজটা দূরে ধোঁয়াশার মধ্যে দাঁড়িয়ে ! তাতে
ডাইনোসর-এর কঙ্কালের ফাঁকে ফাঁকে চরে বেড়ানো
পোকা-মাকড়ের মতো চলছে মানুষ আর মোটরগাড়ী !
কয়েকজন তেলেভাজাও খাচ্ছে I
ভালো বানায় দোকানটা! কিনবো ?
উমমম, থাকI অন্য কোনদিন হবে I
লোকে বলে সন্ধ্যায় জায়গাটা ভালো না !
আকাশটাও...! আজ ঝড় আসবে নাকি ?
====================
নাম: আলাপন রায় চৌধুরী ।
ঠিকানা: এন্ডারলী, হ্যামিলটন ৩২১৪, নিউ জিল্যান্ড ।
চলভাষ নম্বর: +৬৪ ০২২ ৩১৮ ৪১১৪ ।
হোয়াটস এপ: +৯১ ৮৪৮১ ৯৩৫৯৪৯