Featured Post

ছড়া ।। বর্ষবরণ ।। দীনেশ সরকার

বর্ষবরণ দীনেশ সরকার   পুরানো দিনের কালিমা কলুষ থাক সব পিছে পড়ে মনের কোণেতে বেদনার ডালি রাখবো না আর ভ'রে।   দুঃখ-আঘাত যত জমা আছে আছে যত শোক-তাপ বর্ষ শেষের বিদায় লগ্নে ধুয়ে-মুছে হোক সাফ।   ধর্মের নামে হানাহানি যত রক্তের হোলি খেলা শেষ হয়ে যাক বর্ষশেষের   শেষ প্রহরের বেলায়।   এসো-এসো-এসো, নতুন বছর তোমারে বরণ করি নতুন ঊষার নবীন কিরণে জীবনের গান ধরি।   বন্ধুর পথ হোক মসৃণ বিচ্ছেদ যাক দূরে নতুন বছরে এসো সবে আজ গাই গান একসুরে।   নতুন বছর ক'রো না ক্ষমা দুর্নীতিবাজ যারা সুস্থ সমাজ দাও ফিরিয়ে সুস্থ জীবনধারা।   নতুন বছর সবার হৃদয়ে দাও ভরে ভালোবাসা নবীন আলোকে নবউচ্ছ্বাসে জাগাও নতুন আশা।   ************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। অপেক্ষারত ।। মধুসূদন দাস


 অপেক্ষারত

মধুসূদন দাস


পশ্চিমের আকাশ থেকে এক ঝাঁক পাখি
উড়ে যায় ক্লান্ত দেহে, দূর সীমান্তের দিকে।
ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসে তাদের উপস্থিতি।
বাতাসে ভেসে আসে শঙ্খ ও আজানের ধ্বনি।
বিষন্ন দৃষ্টিতে আকাশের দিকে চেয়ে,
কেবলই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে প্রেমিক পুরুষ।
সন্ধ্যে নামে প্রেমিকের দু'চোখে,
 প্রিয় মানুষটিকে ছুঁতে না পারার যন্ত্রণা
তাঁকে হতাশ করে তোলে ।। 

নতুন বসন্তের আগমনের সাথে সাথে
সদ্য ফোটা পলাশ ও শিমুলের মধ্যে
যে ছেলেটা সারাদিন কবিত্ব খুঁজে বেড়াতো।
সেও আজ নিস্তব্ধ- নিঝুম।
কেবলই অপেক্ষারত আরো এক
নতুন বসন্তের ছায়া ভরা বিকেলের।।

প্রতিদিন কলেজ শেষে প্রিয় মানুষটির
স্পর্শ না পেলে যে মেয়েটা অভিমান করে থাকতো।
তারপর সে অভিমান ভাঙানোর জন্য
চলতো, প্রেমিকের কতো নিরাপরাধ পাগলামি ,
কতো ছেলেমানুষি।
অবশেষে অভিমান ভেঙে একসাথে হাত ধরাধরি করে পথ চলা।
 বাসের শেষ সিটে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে চলতো জীবনানন্দের কবিতা আবৃত্তি
 কিংবা স্বর্ণালী যুগের সুমধুর গান ।
সে মেয়েটাও আজ স্পর্শহীন ভাবে দিব্যি আছে গৃহবন্দি হয়ে।
 কেবল অভিমানগুলো জমিয়ে রেখেছে কোনো এক নতুন সকালের আশায়।
না না আজ প্রেমিকের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই,
নেই কোন অভিমান।
আছে কেবল একগুচ্ছ ভালোবাসা।।

সদ্য বিবাহিত যে ছেলেটা অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য আকুল হয়ে থাকতো,
শুধুমাত্র তার প্রিয়তমাকে একটুখানি
জড়িয়ে ধরার আকাঙ্ক্ষায়।
সেও এখন সারাদিন বাড়িতে থাকে
শুধু অকারণে স্পর্শকাতরতা যেন নিমেষে বিলীন হয়েছে।।

 এখন শুধুই তাঁরা সেই দিনের 
অপেক্ষায় আছে । 
যেদিন এই মৃত্যুভয় ,মহামারীর আকাল ফুরিয়ে গেলে 
কোনো এক নতুন ভোরে প্রেমিক তাঁর মনের মানুষটিকে ছুঁতে পারবে।
আবারও কেউ একজন নতুন বসন্তে শিমুল, পলাশ ছাড়াও 
কোকিলের কুঞ্জনের মধ্যে তাঁর না পাওয়া কবিত্বকে  খুঁজে পাবে।
 বাসের শেষ সিটগুলো আবারও পরিপূর্ণ হবে প্রেমিক-প্রেমিকার কোলাহলে।
হাসি ফুটবে আবারও নব্য বিবাহিত দম্পতির মুখে।
 প্রেমিকার ভালবাসার বারান্দায় আবারও রোদ এসে নামবে।
সময় আবারও এগিয়ে চলবে তাঁর নির্দিষ্ট গতিতে........
 ---------------------------------- 


          
                       
মধুসূদন দাস
গ্রাম- বহড়ু কামদেব নগর।
পোষ্ট-বহড়ু
থানা- জয়নগর
জেলা -দক্ষিণ 2৪ পরগনা।
মোবাইল-9641569090


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল