Featured Post

কবিতা ।। ঘরে ফেরা ।। বিপ্লব নসিপুরী

ঘরে ফেরা বিপ্লব নসিপুরী  বাতাসের গায়ে তাপের ছোঁয়া  রঙের তুলি শাখে বিষাদ মনে বিবাগী ঢেউ আছড়ে পড়ে ক্ষোভে।  নয়ন তীরে অশ্রুনদী  দুকূল ভাঙে স্রোতে ভিটে মাটি দোর কেড়েছে গোটা পরিবার কাঁধে। আকাশটা আজ ছাদ হয়েছে মাটির স্নেহ ঘর পরিচয়হীন মানুষের দল সবার একই স্বর। বছর শেষে নতুন বছর দিচ্ছে হাতছানি  ক্ষোভের বাষ্প বিষাদ কষ্ট  উবে যাবে কী জানি? অসম্মানের বিষফলা তীর বিঁধেছে ওদের বুকে এমন মলম কোথায় আছে স্বস্তি দেবে প্রাণে। হারিয়ে সবই খড়কুটো দেহ বইছে সময় নীরে নতুন বছর নতুন বাতাস আনুক ফিরে তীরে।  ************* বিপ্লব নসিপুরী  গ্রাম পোস্ট শীতলগ্রাম জেলা বীরভূম  পিন-৭৩১২৩৭ 

গুচ্ছকবিতা ।। সুশান্ত সেন

গুচ্ছকবিতা ।। সুশান্ত সেন


চুপ

জানি চুপ করে থাকা উচিত নয়
চুপ করে থাকলে অন্যরা উৎসাহিত ।

তবু চুপ করে থাকি
ফুলের মত ফলের মত
কৃষ্ণচূড়ার ডালের মত
নদীর মত ডোবার মত
ঝোরার মত 
এবং 
চুপ করে থাকতে থাকতে 
ক্রমে বোবা হয়ে যাই।

তখন ঝড় এসে ছুড়ে ফেলে দেয়
গাছ তলায়।

হা হা হি হি করে করা সব হেসে ওঠে।


বাঙালির যীশু

বাংলা মায়ের বুকের ওপরে অনেক প্রেরণা এসে
মিলে মিশে সব এক হয়ে যায় সবাই কে ভালবেসে,
সৃষ্টিকর্তা বড় উদাসীন সবাই তাহার কাছে
প্রার্থনা করে চেয়ে নিতে চায় যার যা পাওনা আছে ।
মনের ভেতর মঙ্গলদীপ সতত জ্বালাও যদি
সকাল ধর্ম প্রেমেতে মেশাবে বহতা হবে যে নদী।
বাঙালির যীশু তাই বেধে দিল যত মত তত পথ
মিলন গঙ্গা মর্তে আনলো অমর সে ভগীরথ।
বাঙালির বুকে সদা জাগ্রত ভারত মহিমা খানি
প্রভাত আলোর ঝলকানি নিয়ে স্বর্গ আনবে টানি।


ক্ষমা

ক্ষমা ত চাইতেই হবে
এই পূবের আলো লাগা বাতাসের কাছে
তাকে ত আঘাতে আঘাতে
কালিমালিপ্ত করে ফেলেছি।

ক্ষমা ত চাইতেই হবে
এই আলো ঠিকরে ওঠা হিমবাহের কাছে
তাকে ত গলিয়ে গলিয়ে
ক্ষুদ্রতর করে চলেছি।

ক্ষমা ত চাইতেই হবে
উত্তর মেরুর হিম বাতাসে ভেঙে ভেঙে যাওয়া শৈল শিখরের কাছে,
নীল তিমিদেরও কাছে,
তাদের ত বরফ কাটা জাহাজ চালিয়ে চালিয়ে ছিন্ন ভিন্ন করে
হারপুনে গেঁথে গেঁথে
নির্বংশ করে আনলাম।

ক্ষমা চাইতেই হবে 
তোমার কাছে প্রকৃতি কোন এক দিন। 


নিশ্চয়তা

নিশ্চয়তা নেই তাই গোপনে গোপনে
অভিসার
নিশ্চয়তা নেই তাই জীবনটা বেশ ঝকমারি
হাজার হাজার দাবি আর তার চাপ সাঁড়াশির
এই প্রশ্ন ধেয়ে আসা 
এবং তা উত্তর সাপেক্ষ।

তাই সেকি চলে যায় মোহনা পেরিয়ে
দূর দেশে
দূর দেশে একক জীবন।



স্বরযন্ত্র

স্বরযন্ত্র না থাকলে ত কথা বলা যেত না
তাই গরিলার মুখের হাড়ের 
একটু অদল বদল করে নিয়ান্ডারথালদের গলায় কথা ফোটানো হলো।

সেই থেকে কত ভাষা যে তৈরি হতে থাকল
তার আর হিসেব থাকলো না।

মানুষের জুড়ি নেই 
কত বকবক সে করতে পারে !

এই যেমন এখন চলছে
ছাই পাশ লেখা
লাইনের পর লাইন।


অতীত


যত কাণ্ডই হোক কাঠমান্ডুতে আর ফেরা যাবে না,
যেমন যাবে না বেলেঘাটার সেই ঠিকানায়।

যত বৃষ্টিই পড়ুক
ওরা বৃষ্টিতে আর ভিজবে না।

যত চেষ্টাই হোক 
কেউ আর মধ্যরাত্রে বলে উঠবে না -
অবনী বাড়ি আছো !

অবনী রা আর যে যার বাড়িতে থাকে না।


===================
সুশান্ত সেন
৩২বি , শরৎ বসু রোড
কলিকাতা ৭০০০২০




মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল