Featured Post

কবিতা ।। ঘরে ফেরা ।। বিপ্লব নসিপুরী

ঘরে ফেরা বিপ্লব নসিপুরী  বাতাসের গায়ে তাপের ছোঁয়া  রঙের তুলি শাখে বিষাদ মনে বিবাগী ঢেউ আছড়ে পড়ে ক্ষোভে।  নয়ন তীরে অশ্রুনদী  দুকূল ভাঙে স্রোতে ভিটে মাটি দোর কেড়েছে গোটা পরিবার কাঁধে। আকাশটা আজ ছাদ হয়েছে মাটির স্নেহ ঘর পরিচয়হীন মানুষের দল সবার একই স্বর। বছর শেষে নতুন বছর দিচ্ছে হাতছানি  ক্ষোভের বাষ্প বিষাদ কষ্ট  উবে যাবে কী জানি? অসম্মানের বিষফলা তীর বিঁধেছে ওদের বুকে এমন মলম কোথায় আছে স্বস্তি দেবে প্রাণে। হারিয়ে সবই খড়কুটো দেহ বইছে সময় নীরে নতুন বছর নতুন বাতাস আনুক ফিরে তীরে।  ************* বিপ্লব নসিপুরী  গ্রাম পোস্ট শীতলগ্রাম জেলা বীরভূম  পিন-৭৩১২৩৭ 

কবিতা ।। চোর সিরিজ ।। দেবাশীষ সরখেল

চোর সিরিজ  

দেবাশীষ সরখেল


চুরি হয়ে গেছে রাজ কোষে । 
যদিও কী চুরি কেমন চুরি কোন সময়  --- এসব প্রশ্ন অবান্তর ।
    চুরি হয়ে গেছে সেইটাই বড় কথা।
       তাছাড়া রাজার কোষাগারে বিবেক রয়েছে , বুদ্ধি রয়েছে জ্ঞান আছে , স্বাস্থ্যের সারথী রয়েছে , আছে রাশি রাশি খাদ্য পশুর ও মানুষের ।আছে রত্নোদধী রত্নসাগর
রত্ন কুট ।
       সব চুরি হয়ে গেছে রাজকোষে ।
  মন্ত্রী সান্ত্রী সিপাই বরকন্দাজ সকলে ছুটলেন ।
            বিলম্ব দেখে অবশেষে বেরিয়ে পড়লেন রাজা ।
        সাত ঘোড়ার গাড়ি হাঁকিয়ে চলল তস্করের অনুসন্ধান ।
    খোঁজ খোঁজ খোঁজ । অনুসন্ধানের দাপটে কেঁপে উঠল নদী পাহাড় গ্রামগঞ্জ ।
             অবশেষে রাজাকেই ধরে নিয়ে আসলেন এক চন্ডালমার্কা কবি ।
      সকলে হই হই করে উঠলো ।
এ আবার কী তামাশা ? যার ঘরে চুরি হলো, সেই হয়ে গেল চোর ?
          রাজার বশংবদ কেউ মানতে চাইলেন না । প্রায় সকলে বললেন, এই চালচুলোহীন,ক্ষ্যাপাটে মতলববাজ কবিকে অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করা হোক  ?
       কবি ও মৃদু হেসে প্রস্তুত ।
  অকস্মাৎ গোল বাঁধলো চারিদিকে।
         আকাশে উঠল ঘন কৃষ্ণ মেঘ, গাছেরা মাথা দোলাতে লাগলো ।হাজার হাজার পাখি রাজপ্রাসাদ ঘিরে  ফেলল ।
     জন্তু হিংস্র সর্পকুল ঘন ঘন  হুংকার ছাড়তে লাগলো,ফণা নারতে লাগলো ।
      কবি স্মিত হেসে বললেন, দেখলে তো আমাকে বন্দী করা যায় না ?
                যেদিকে স্রোত সেদিকে মানুষ ।
ভোল পাল্টাতে সময় লাগলো না ।
         রাজা নিক্ষিপ্ত হলেন কারাগারে । কেউ আর চুরির স্বরূপ জানতে চাইল না ।
         যে কবিকে চোর সাব্যস্ত করার চক্রান্ত চলছিল দেশে , অবশেষে পর্দা ফাঁস । তিনি হয়ে গেলেন রাজা ।
          এই গাঁজাখুরি নোটে গাছটির এখানেই মুড়নোর কথা ছিল কিন্তু তা হবার নয়।
        কবি বললেন ,আমি যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি আকাশও আনন্দে থাকে , পাখিদের কলকাকলি নদীর স্রোতকে স্বাভাবিক করে ।আমার কাজ ওইসব।
     তবে আমার ছবি সিংহাসনে রাখতে পারো ।
         সেই নাঙ্গা ভুখা কবিও যে রাজনীতিবিদ জনতা বুঝলেন । মুদ্রায় ছাপা হতে থাকলো তার ছবি ।সিংহাসনে আসীন হলেন কবি ।
    না কবি নয় , শুধুই তার একটি প্রতিকৃতি ।
      সেই থেকে ধন্য রাজা ।
            প্রতিবছর মাঘে মেঘে কর্ষণ শুরু হয় । প্রতিবছর নিয়ম মেনে বর্ষা নামে ।
      ময়ূরেরা অরণ্যে কলাপ মেলে  সুসংবাদ তুলে ধরে।
     ধরায় ধ্বনিত হতে থাকলো, ধন্য চোর ধন্য দেশ , ধন্য প্রকৃতি ।

--------+----------

দেবাশীষ সরখেল
রঘুনাথপুর 
পুরুলিয়া
সূচক ৭২৩১৩৩

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল