কিছু বৃষ্টি ও প্রেম উৎস
রাজেশ্বর গোপাল
আকাশ-বাড়ি
আকাশের কোল ঘেঁষে তোমাদের বাড়ি,
নক্ষত্রে সাজানো বাগান
আমি তো অনভ্যস্ত!
বেশি উঁচু থেকে খুব ভয় করে
মাথা তুলে তাকাতেই
ঝাপসা পড়ে যায় দৃষ্টি
নেমে যাবো সিঁড়ি ভেঙে নিচে
এক পা, দু-পা নামতে নামতে
আরও অনেক নিচে....
পিছু ডাক
গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই
অস্পষ্ট পিছু ডাক
সে কি? মায়ার ভিতরে স্বপ্ন
না স্বপ্নের ভিতর মায়া!
কিছু বোঝার আগেই মাঝপথে
থেমে যায় পথ
যেখানে কৈশোরের আলোয়
ফুটে ছিল প্রথম চোখ
সরলতার মুখে ধরেছিল আফোটা হাসি
সেখানেই আজ আ-সবুজ দিগন্ত;
থ্যাপসা রৌদ্র পোড়া মুখে
ঝরে পড়ে না নীল কাঞ্চন
ছুঁয়ে যায় না মৌন বাতাস
হে ধূসর নীহারিকা
সুদূর ছায়াপথে বিলীন তোমার পথ।
যতই তাকিয়ে থাকো
এ বুক থেকে মুছে দেবো
বর্ষার বিকেলে অকালে বেজে উঠা
পোড়া, মোটা সুর-বাঁশি.....
বিদায় অনুষ্ঠান
নতুন ট্যাক্সিতে চেপে রাখা দমধরা বাতাস
কার্ণিশের কোণায় বিষন্ন ভায়োলিনের সুর
এবার বোধহয় বিদায় অংশের অনুষ্ঠান সূচী--
কোথায় যাবে তুমি
আঙিনায় ফুটে উঠা ফুল, বাবুই পাখির বাঁসা ছেড়ে
ইঁট- পাথরের বাড়ি?
ভীতু প্রমিকের রূপ চেহারায় প্রকটিত আন্ত্রিক জ্বর
পোড়া চামড়ার মত বিপন্নতা
অথচ ক্ষয়িষ্ণু আঙুলে নড়েচড়ে শেষ ইচ্ছা
অতি অল্প উত্তাপেই লেখা হবে
পরিক্রমণের ইতিহাস
আমার গ্রহণ চাঁদের দিব্যি দিয়ে বলছি
একবারও ফিরে দেখো না,
গতকাল বর্ষার এক হাঁটু কাদাজলে
ডুবিয়ে রেখেছি কান্নার কন্ঠস্বর....
অনর্থক দৌড়
প্রবাহিত জীবন এঁকেবেঁকে
খুঁজে নেবে গঙ্গার ফাটল
তারপর যা কিছু আছে সব অজানা---
রহস্যধারী উপন্যাসগুলিতে
মৃত্যুর ব্যাখ্যা খুব সংক্ষিপ্ত
কবিতার সারমর্ম বোঝাও দায়
কারোর শরীরে ঘুণ ধরা কাশি
কারোর শরীরে প্রাণধারণ ক্ষমতা কম
আগাছার জঙ্গলে, অক্ষম নিঃশ্বাসে
যেভাবে ফুটে ওঠে দু-একটি তরুলতা
ঠিকানা হারায় পথ.....
*****************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন