একটা নয় , দুটো নয় , সাত সাতটা রঙ নিয়ে খেলা করে ঈশ্বর ;সাত সাতটা রঙ …
আর , তারই সৃষ্টি মানুষ , এক একটা রঙ নিয়ে করে ফেলছে রক্তারক্তি ;
বসন্ত এলে শ্রীকৃষ্ণ আবির রাঙিয়ে দিতে পারে শ্রীরাধিকার গালে ;
সখিরাও রেঙে ওঠে ;
রেঙে ওঠে পুরুষ ও প্রকৃতি ;
বসন্ত আসে …
অথচ , মানুষের মনে বসন্ত-রঙ বিবর্ণ হয়ে গেছে ;
চারিদিকে কেবল মৌনতা বিরাজ করে ;
পুরুষ প্রকৃতি হতে ভুলে গেছে ,
প্রকৃতি পুরুষ হতে …
পড়ে আছে একটা শূন্যতা নিয়ে পূর্বপুরুষের নাটমন্দির ;
খসেখসে পড়ে পলেস্তরা ;
ঠিক যেনো মানব সভ্যতার মতো ;
গঙ্গা পাড়ে এখন অন্ধকার ;
যমুনা পাড়ে , পদ্মা পাড়েও …
তবুও তো নদীতে নৌকা ভাসে ,
ভাসে মাঝি-মল্লারের গান ;
জ্বলে লণ্ঠনের আলো ;
শ্রীরাধিকা যমুনায় ভাসিয়ে দিতে পারে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি ;
তা বলে আবির রাঙা হবে না হয় !
যে মানুষের কানে ভেসে আসে মাঝি-মল্লারের গান ,
যে মানুষের চোখে ভাসে নদীর বুকের আলো ,
সে মানুষ যে , রেঙে উঠবে আবিরে আবিরে ,
বসন্ত রঙে ;
আর ঈশ্বর মাখে বসন্তের সাত সাতটা রঙ ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন