
বিবর্তন
বিজয়ন্ত সরকার
একটু একটু করে সঞ্চয়
স্বাধীনতা পায় ডানা, পার্থক্য শুঁয়োপোকা-প্রজাপতি।
বিবর্তন তো বিধাতা লেখেন না।
সেদিনের ছোকরাটা যদি
সাদা দাগ ঠোঁটে গোঁজে- মাথা পকেট দুটোই হয় হালকা।
মেলোড্রামা বেপাত্তা, চারশ বিশ জাগে বুকের দেওয়ালে
খোকা হিরো কিংবা জামাই- বিবর্তন।
উচ্চ শিক্ষিত সমাজ- অসহিষ্ণুতা মুছবে বলে
সহিষ্ণুতার গায়ে আঁকে ডোরাকাটা শব্দ...
আসলে বিবর্তন তো বিধাতা লেখেন না।
সবুজ চেটে খেতে খেতে শুঁয়োপোকাটা ভাবতেই পারেনা
দেশপ্রেমী আর দেশদ্রোহী পেটে দেয় না পাতায়।
বাঙালিরা যতবার কামড়ে ধরুক বাংলা ভাষা
জায়গা বিশেষে ইংরেজি মালা না গাঁথলে
দাঁত খুবলে 'হা হা হি হি' তাদেরই মজ্জাগত।
এমন ব্রহ্মক্ষণে - বাংরেজি ব্যাপারটা উত্তর আধুনিক।
এই সময়ের জীবনানন্দ লিখে ফেলেন-
'হাজার বছর ধরে ব্রাউজ্ করছি ইন্টারনেটে,
যাবতীয় সোস্যাল সাইট্ থেকে পর্ন্ সাইটে
অনেক খুঁজেছি তোকে রাত-বিরেতে
সেখানে ছিলাম আমি, আরও গভীর সেক্স সাগরে;
আমি ক্লান্ত বখাটে এক, চারিদিকে জীবনের ঘোলা স্রোত,
আমাকে...................... '
ক্ষমা করবেন। বিবর্তন তো বিধাতা লেখেন না।
_______________
বিজয়ন্ত সরকার
মিলনপাড়া (পূর্ব), রায়গঞ্জ
উত্তর দিনাজপুর
পিন নং: ৭৩৩১৩৪
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
চলভাষ: ৭৯০৮০৬৭৮৫০
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন