google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re একটা আবেগের নাম বাংলাভাষা ।। সুদীপ ঘোষাল - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

একটা আবেগের নাম বাংলাভাষা ।। সুদীপ ঘোষাল



বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে যেসব শহীদরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তাদের স্মরণে কিছুকথা লেখার আগে আবেগে ভরে যায় মন। কলঙ্কিত অত্যাচারে গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল কত শহীদের।  কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে এই নিষ্ঠুরতা ইতিহাসে চিরকলঙ্কিত হয়ে থাকবে। কিন্তু শহীদের স্মৃতি জ্বলজ্বল করে জ্বলবে বাঙালির হৃদয়কাননে।তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাংলাভাষীরা উর্দুভাষীদের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তারপরও ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তান সফরে এসে রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এক সমাবেশে স্পষ্ট ঘোষণা করেছিলেন যে 'উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা'।সেই সমাবেশেই উপস্থিত অনেকেই সাথে সাথে প্রতিবাদ করে ওঠেন। এই ঘোষণাকে বলা যেতে পারে নতুন রাষ্ট্র সম্পর্কে বাঙালীর স্বপ্নভঙ্গের সূচনা। জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে শুরু থেকে অনমনীয় মনোভাব প্রকাশ করেছেন।তখন নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত,  ভাষাগত রাজ্য বিভাগীয় শাসন ব্যবস্থার অধীনে থেকে দেশের অগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সকলে ঠিকই, কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের মতো আলাদা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সেই সময় বাংলা ভাষার এ দেশীয় নাগরিকদের সরাসরি যোগদানের কতটুকুই বা অধিকার ছিল। পরবর্তীকালে মাতৃভষার স্বীকৃতি ও আত্মপ্রতিষ্ঠা কত মূল্যবান,তা বুঝতে দেরি হয় নি মানুষের।  গর্বিত বাংলাদেশবাসী এখনও স্বীকার করেন, গত শতাব্দীতে তাদের দুটি শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি  স্বাধীনতা এবং মাতৃভাষার স্বীকৃতি। আর দুটি ক্ষেত্রেই আন্দোলন হয়েছে রক্তক্ষয়ী। গুলি চালায় নির্বিচারে শাসক।   স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও ভাষাযুদ্ধে  শহিদ হন শফিউর রহমান,  রফিকউদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, আবদুল আউয়াল, আহিউল্লাহ, আবুল বরকত, আবদুস সালাম'রা।তারা আপামর বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন চিরদিন। ভাষাদিবসে তাদের প্রণাম জানাই।

===================

তথ্য - সংগৃহীত। 

 

সুদীপ ঘোষাল বড়পুরুলিয়া পূর্ববর্ধমান ৭১৩১৪০ ৮৩৯১৮৩৫৯০০.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন