শিক্ষক দিবস
বাড়ির বারান্দায় অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সুধাকান্ত বসে আছেন। ছেলে
রাধাকান্তর সাথে সাংসারিক আলোচনায় ব্যস্ত। ওদের কথার মাঝে রাধাকান্তের একমাত্র
মেয়ে ক্ষৌণী এসে বলে , বাবা দু'হাজার টাকা দাও। মাস্টারমশাইদের জন্য গিফট কিনব।
-- এত টাকার উপহার?
সুধাকান্ত বলেন, আজ শিক্ষক দিবস। শিক্ষক মশাইদের জন্য উপহার কিনবে দিদিভাই।
ওদের স্কুলে অনেক শিক্ষক্ মশাই আছেন। তাই বেশি টাকা তো লাগবে।
-- ভুলে গিয়েছিলাম। মামনি সকলের জন্য ভালো পেন কিনে নিও। উনারা খুশি হবেন।
ক্ষৌণী বলে, সকলকে খুশি করে আমার কি লাভ? আমি তো শুধু পাঁচজনের জন্য গিফট
কিনব। আমাকে পাঁচটি বিষয় পড়তে হয়। যাঁরা পড়ান তাঁদের গিফট দিলেই আমার লাভ।
সুধাকান্ত বলেন, শিক্ষক দিবসে উ্পহার দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানানর রীতি
চিরকালের। সেখানেও তোমরা লাভ খুজছো?
হেসে ক্ষৌণী বলে, এবছর উচ্চমাধ্যমিক দেব। প্রত্যেক বিষয় শিক্ষকের হাতে
ইন্টারন্যাল কুড়ি নাম্বার আছে। ওঁদের ভালো গিফট দিয়ে সন্তুষ্ট করতে হবে। তবেই
ওঁরা আমায় ইন্টারন্যালের পুরো নাম্বার দেবেন। এটাই এখন রীতি। এটা তোমাদের সময়
নয়। তোমরা শুধু দিতে, পড়ুয়ারা দু'হাত ভরে নিত। এখন গিভ এন্ড টেক পলিসির যুগ।
অবশ্য তুমি এসব বুঝবে না দাদাই। বাপি টাকা দাও ফমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
=========
দীপক কুমার মাইতি( ত্রিকোণপল্লিঃ বেলদাঃ পশ্চিম মেদিনীপুর ৭২১৪২৪;
মোঃ৮০০১২৮১৯২৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন