
দলছুটের দলেরা
বিয়ের আগে আমি ছিলাম একান্নবর্তী পরিবারে-
বাবা চাকরি করে ফিরতেন হপ্তা অন্তে শনিবারে।
পরিবারের সবার তরেই আনতেন নানা জিনিস কিনে-
আজকে হঠাৎ ফিরে গেলাম মেয়েবেলার রঙিন দিনে।
একই রঙে ছিট কিনে পুজোয় সবার একই জামা-
আর একটি দিয়ে যেতেন খুড়তুতো ভায়ের ফুলমামা।
হাতে-গোনা দুটি জামার ভাঁজে ভাঁজে ভীষণ মজা।
মুড়কি-মোয়া, নিমকি-নাড়ু, হলুদ চাল-ছোলা ভাজা।
বাড়ির পুজোয় জড়ো হতেন গ্রামের স্বজন, প্রতিবেশী
আত্মীয়, অনাত্মীয় দেদার খুশি, হাসির রাশি।
জম-জমাট জলসা হত, আর হত যাত্রাপালা-
অর্কেস্টার ছিল না হিড়িক, ছিল না মাইক ঝালাপালা।
বিয়ের পরে দূর শহরে এলাম ছোট্ট পরিবারে-
স্মৃতির ভারে বারে বারে মন ছুটতো তেপান্তরে।
ফ্ল্যাটে কাটে বন্দী জীবন, শাশুড়ি-মাতা, চাকুরে স্বামী।
হঠাৎ মাতা হলেন গতা, একার বোঝায় ক্লান্ত আমি।
পড়াশোনায় মগ্ন হলাম, ইস্কুলে পেলাম চাকরি-
উড়ে গেলাম শিলিগুড়ি, দু'জনের তাই ছাড়াছাড়ি।
পতি আসেন প্রতি পক্ষে তৃষা-কাতর বক্ষে
ভাগ্যি কন্যে দিয়া ছিল তাই আমার রক্ষে।
দল পাকিয়ে যে মেয়েটা খেলতো পুতুল পড়ার ফাঁকে-
দলছুট তার মেয়ে আজ একা বসে ছবি আঁকে।
সকাল যায় বিকেল আসে দিয়ার সাথি কাজের মাসি-
হারিয়ে গেছে পরিবারের সেই একসাথে থাকার হাসি।
---------------------------
বৈঁচী, বিবেকানন্দপল্লী, জেলা হুগলী, পিন712134
মোঃ 7003550595
হোয়াটস এপ 9474462590
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন