প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

( কবিবন্ধু জয় গোস্বামী-কে ভালোবেসে )
ফাঁদ পেতেছে চাঁদ
সে-ই অতিরিক্ত আকাশে; অন্য এক অজ্ঞাত শূন্যে নিছক ডাবলবেডে, – লালন প্রহর হয়তো কিছু রাত জল বিলাসি অপূর্ব দর্পণ, গান গাওয়া ফেরিওয়ালা নির্জনে একক সমারোহে নাবালক বাতাস নিয়ে যাচে!
ওধারে মেতেছে স্বপ্নবিরোধী কথাহীন অপটু সময়; নষ্ট নিঃশ্বাস থেকে ক্লোরিয়াস ঢেউ, – কেউ কেউ সারস্বত সৃজনে সিড়ি বেয়ে উঠে নিঃশব্দে একক চলে যায় সমবেত তারাদের পাসে!
চেহারা লুকিয়ে অভ্যন্তরে আত্মহারা জিন্দা লাশেরা! নীচে আরও তলায় বাইপাস দিয়ে হেঁটে চলে আসে কনফুসিয়াস প্রজাতির কিছু প্রাচীন শয়তান, – শহরের শেষ সীমান্তে ভবঘুরে এক মাতাল "ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর এখনি অন্ধ বন্ধ" – বলে চিৎকার করে ২৫ শে বৈশাখের স্তবগান করে! এই ভাবে জ্বলছে সময়; তবু ভষ্ম হয়ে ঝরে যায় মান-অভিমান, প্রীতি-সম্প্রীতি, অথবা অন্য পৃথিবীর নিহত ইতিহাস! চোখেরে ভেতর থেকে ডেকে ওঠে ব্যর্থ কিছু পথ; বিবর্ণ বৃষ্টিরা দিনরাত দলছুট হলে স্বরচিত স্বপ্নের মধ্যে ফেরার আমিও একজন! অপ্রমেও অদ্ভূত ...
সেই; সেই যে কালনিসিন্দা গাছের নিচে নিখোঁজ হয়ে ধ্যান সমাধিতে কতকালের জীবন ছেড়ে যাওয়া আমার কঙ্কাল; সেও চিরনিদ্রায় এভাবেই সাধক গম্ভীর!
রোজ এভাবেই আঁকি কতশত নারীর শরীর, – রোজ এই অতলান্তে ডুবে যেতে যেতে রাতটাকে মাখাই পীড়ণের জ্বালা!
হঠাৎ দুয়ার খুলে দেখি ঘুম হারানো আমার সর্বনাশ , – এইটুকু যদি ছুঁয়ে বেঁচে ওঠে; অন্যভুবনর স্মৃতি, .... শেষবারের মতো বৃষ্টিবিন্দুদের সাথে কথা বলি; প্রেমে ও সোহাগে !
এই ঘুম মৃত্যুর দরজায় জেগে বসে আছে; কিছু কিছু সুখ সমৃতিসঙ্গী , তবুও কবিতার আলো ঢেলে চাঁদ ভাসে অন্য বিছানায়!
এভাবেই পুণ্যবান হব; এভাবেই নিজের শরীর থেকে ছায়া সরিয়ে রেখে সাদা পৃষ্ঠায় আঁকবো অন্তরীক্ষ্য! কথা শেষ হলে চোখের পাতায় ভরে ছিঁড়ে যাওয়া প্রেমের স্মৃতি সোহাগ, –
গর্ভের ভেতর থেকে অন্য এক আমির ভবিষ্যৎ উকি মারে .....!
শেষের কবিতা পড়ে কতশত ভূত-প্রেত; কতশত রাতের মধ্যে বিছানায় নগ্ন হয়ে বসে থাকে বঙ্কিমের কপাল কুণ্ডলা!
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন