প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

অ ণু গ ল্প
রিক্তা রান্নাঘরে ঢুকেই চেঁচিয়ে উঠল, "এই তো তেল এনে দিলাম কদিন আগেই। এরই মধ্যে কী করে শেষ হল শুনি?"
"শেষ হয়নি গো। আদ্দেক সরিয়ে রেকিচি আরেকটা শিশিতে।" রান্নার মাসি জয়া উত্তর দিল।
এ নিত্যদিনের কড়চা। রিক্তা সকালের চা বানানোর সময় রান্নাঘরের ইন্সপেকশন সেরে নেয়। বর সুশোভনের হার্টের সমস্যাটা ধরা পড়ার পর থেকে রিক্তা তেলের ব্যাপারে একটু বেশীই সাবধানী হয়েছে।
দু'ঘরে রান্না করে জয়া। দু'ঘরেই লোকজন অসুখের ভয়ে সেদ্ধ খায়। আর নিজের ঘরে অভাব চোখ রাঙায়। তেলের যা দাম! দামের ঝাঁঝেই নাকাল। ঘরে বাইরে তাই নিত্যদিন তেল নিয়ে খ্যাচ-খ্যাচানি! নাহলে জয়ার রান্নার হাতটি ভারি সুন্দর।
এই নে। আরও এক লিটার। ভালো করে তেল দিয়ে রাঁধবি আজ। চিংড়ির মালাইকারি আর মাটন কষা।
"আজ কী সূয্যি পচ্ছিমে উঠল!" মনে মনেই বলে উঠল জয়া।
তোর দাদাবাবুর অফিস থেকে একজন আসবেন। ভালো করে রাঁধিস।
আচ্ছা। আপিসের নোকে চেটে খাবে, দ্যাখেন।
বেশ মনোযোগ দিয়ে রান্না করল সে।
ফি হপ্তায় আবার এমন রান্নার বরাত পেল জয়া। আজ আরও কয়েকজনের রান্না। সকলে চলে যাওয়ার পর অনেক খাবার তাকে দিলেন দিদি। ভারি খুশি সে।
সুশোভন হাসি হাসি মুখে বলে উঠল, "রিক্তা, তোমার দেওয়া তেলেই আমার প্রমোশনটা হল কিন্তু।"
"ধূর! আমি কোথায় তেল দিলাম? তেল তো দিল জয়া।"
"আপনেই যে ত্যাল দিতি বললেন?"
জয়ার কথায় দুজনেই হেসে উঠল।
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন