প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

আমাদের মৃত্তিকা সংলগ্ন শূন্যতার মৌন যাপনে
কখনো কখনো নাম ধরে ডেকে ওঠে কেউ।
অথচ বন্দর ও শস্যবাড়ির বিষাদ ফুল জানে, আজীবন জিরো পয়েন্টে তাক করা আছে
নিজস্ব হাড়ের বন্দুক।
সকালের সূর্য স্নানে, আহত কালশিটে দাগে নেমে আসে আদর কালীন খসড়া।
আমার কোন বিগ্রহ নেই আরাধ্য দেবতার। অন্তিম স্নান শেষে ঘাটময় জোনাকির আলো
ফিরে আসার বাদলাপুরে যখন একা চেয়ে থাকে কানাইদিঘী,
আমাদের নাকছাবি রঙের মনখারাপে নাম ধরে ডেকে ওঠে কেউ।
কে তুমি ডেকে ওঠো বারবার, চাবুকে, প্রহারে, প্রিয় ভ্রম!
স্মৃতিচারনের প্রতিটি বাঁকে জিরানকাটের দাগ ও মারাত্মক ভাঙন।
টালমাটাল মায়াজালে প্রহরে জড়ালে, সেতুময় ছলছল শঙ্খ নিনাদ
বহুকাল আমার কোন নদী নেই।
উতলা ঢেউ নিয়ে অনর্গল ছুঁয়ে যাবে দেহ
যে আমাকে ভাসিয়ে নেবে ডুব জলে অথৈ প্রমাদ। পুনরায় ফিরিয়ে দেবে তটময় দোপাটির ফুল।
ওমুখ চেয়েছি আমি, রাধিকার শ্রীচরনে মেঘ আঁকি, টলমল পুণ্যিপুকুর।
নিমখুনে চেয়ে থাকে দুটি চোখ, তারা খসে, সাঁই মোর কৃষ্ণ ভ্রমর
সব হারিয়ে ফিরে আসে, নতজানু, ভাঙচুর ঘাট ও রাত্রিকালীন দুর্যোগ।
শুধুমাত্র আদর পেলেই সব পুরুষ নদী হয়ে যায়। আদর হারিয়ে গেলে নদীপৃষ্ঠে জেগে ওঠে ঢেউ
একটি পাতাখসা বিকেলে বিচ্ছেদের শরীরে যখন চলকে ওঠে ঢেউ,
আমাদের মনখারাপের তারায় তারায় ছড়িয়ে পড়ে মৃত আতরের ঘ্রাণ।
আজন্ম শরীর থেকে ঝরে পড়ে মাটি ও মেদহীন মুশাফির আলো
মৃত কথাদের নীলে মেঘ গাঢ় হলে, মাটির আরও কাছাকাছি ভেঙে পড়ে পরাবাস্তব মায়া।
আমি নিবিষ্ট শিল্পীর মতো এঁকে ফেলি মাঝরাতের ভাসান ও মহাশূন্যতা
নিভৃতে যে আলো জেগে থাকে অনন্তকাল শীতল ঘুমের মতো,
আমি তার শব্দরঙে মেপে রাখি বিষন্ন জ্বরের তাপ ও মাঙ্গলিক হোম।
আমাদের গন্তব্যে কাটাছেঁড়া দাগের মতো জমে থাকে আধপোড়া শ্মশানের কাঠ
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন