# বইঃ মুসলমানের দুর্গাপুজো।।
# লেখকঃ চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য।।
# প্রকাশকঃ জনস্বার্থ বার্তা।
আলোক সন্ধানী বই
সুদীপ্ত মণ্ডল
প্রকৃত অর্থে কিছু কিছু ধর্মীয় প্রথা সর্বাঙ্গীণ ভাবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল
মানুষের মিলন স্থল হয়ে ওঠে। তা নিছক নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রথা
থাকে না। তাতে ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতির সাক্ষরও থাকে। আর আমাদের দেশ,বাংলা
হিন্দু মুসলমানের যুক্ত সংস্কৃতির ফসল।লেখক চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য গোটা
বইটিতে এই কথাই বলার চেষ্টা করেছেন।আজ যখন সারা দেশ উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষ,
জাতি সম্প্রাদয়গত বিদ্বেশে মেতে উঠেছে তখন এই বইটি আমাদের আলোকের সন্ধান
দেয়।
এই বইটি পড়ে জানতে পারি, রাজস্থানের একটি দুর্গাপুজোয় ৬০০ বছর ধরে
মুসলমান পুরোহিত পুজো করে আসছেন।এই সেই রাজস্থান যেখানে পদ্মাবতী
সিনেমাকে কেন্দ্র করে বিভাজনের রাজনীতি আমদানী করার চেষ্টা হয়েছে,সেখানে
ওখানকার বাগোরিয়ায় দুর্গা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মুসলমান হবেন। তাতে
হিন্দু মুসলমান কারোর সমস্যা হয় না।
হুগলী জেলার পান্ডুয়ার কাছে বর্ধিষ্ণু গ্রাম জামগ্রাম। সেখানে মাজারে
সিন্নি চড়িয়ে তবেই ওখানকার লক্ষী জনার্দন ঠাকুরের পুজো শেষ হয়।এখানে
উল্লেখ্য, যে উগ্র হিন্দ্বত্ববাদীরা প্রায়শই বিবেকানন্দকে হীন স্বার্থে
ব্যাবহার করেন স্বয়ং স্বামীজির কুমারী পুজোয় একজন মুসলমান মাঝির
মেয়ে কে পুজো করেছিলেন।এমনকী বেশ কিছু দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা মুসলমান।
আসলে দুই সম্প্রাদায়ের সকল মানুষ তারা মিলেমিশে থাকতে চান।তারা পরস্পরের
নানা প্রথায় অংশগ্রহণ করেন। হিন্দুরা যেমন ইদ, মুসলমানরা
হিন্দুদের নানা পুজোয়। ওদের কাছে মহরম যেমন বেদনার তেমন হিন্দুদের বিজয়াও
বেদনার।
যাইহোক চন্দ্রশেখর এর এই বইটি সংগ্রহযোগ্য।
বইঃ মুসলমানের দুর্গাপুজো।। লেখকঃ চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য।। প্রকাশকঃ
জনস্বার্থ বার্তা।
SUDIPTA MONDAL
27,shakespear sarani
kolkata -700017
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন