সে যখন ঘরে এলো
সে যখন নভেম্বরে চীনে এলো
রাষ্ট্র পাত্তা দিলো না
চুটিয়ে চালিয়ে গেলাম আন্তর্জাতিক
বিমান, রাজনৈতিক সমাবেশ
ধর্মীয় জামায়েত, নমস্তে নমস্তে
বিমান চড়ে যারা এলো
খসখস করে লেখা হলো
চৌদ্দদিনের হোম করেন্টাইন
তারা তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
রেস্ট্রুরেন্ট শপিংমলে ঘুরে বেড়াল
তারপর সে যেদিন কেরালা আক্রমণ
করলো ভাবলাম বেশ হয়েছে
শালার চীনের দালাল
আমাদের কিছু হবে না
তারপর সরকার গুরুত্ব বিবেচনা করে
সিগারেট প্যাকেটের মোড়কের মতো
শুরু হলো বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
মুখোশের উপর মুখোশ চাপলো
সামাজিক দূরত্ব থুড়ি শারীরিক দূরত্ব বাড়লো
লকডাউন শুরু হলে
আমরা রাষ্ট্রের সাথে চোর পুলিশ খেললাম
সে তখন হাজার হাজার গোলাম বানিয়েছে
অবাধ্যদের নিষ্ঠুর ভাবে মেরে ফেলছে
আমরা প্রয়োজনের নামে দোকান বাজারে
জটলা করছি, মজুদ করছি, কালোবাজারি করছি, জুতো মেরে গারুদানের মতো
ত্রাণ বিলি করছি আর ফেইসবুকে পেস্টাছি
মোসাহেবরা ধন্যধন্য করছে
জামাতি আর এন আর আই দের
মুণ্ডুপাত করছি
ওদিকে পরিযায়ী শ্রমিক দিনের পর দিন
হেঁটেই চলেছে
ওদের দায় কেউ নিতে চায় না
না রাষ্ট্র, না রাজ্য এমনকি নিজের গ্রাম
এর পর সে রাজধানী ছেড়ে জেলা শহর
আক্রমণ করলো তারপর জেলা থেকে
পাশের ব্লক আমরা নির্বিকার
তারপর যখন বাড়ির হাঁড়িতে ঢুকলো
তখন মৃত্যুকে উপভোগ করা ছাড়া
আর কোনো পথ খোলা নেই
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন