দেবতা তুমি কোথায় আছ?
দেবতা তুমি কোথায় আছ ?
পৃথিবীর মানুষ তোমায় খুঁজে বেড়ায় মন্দির-মসজিদ-গির্জায়, পূজা-প্রার্থনায়,
কর্মে, স্বপনে – মনের গভীরে ।
মানুষ আজ বড় বিপন্ন
অদৃশ্য দানবের আক্রমণে !
তাই তো তোমায় বড় দরকার।
এ মহাবিপদে দেখাও তোমার শক্তি
বাঁচাও তোমার ভক্তজনে।
পুথিপত্র,ধর্মগ্রন্থ থেকে তোমার কাহিনি জেনেছি,
অনেক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী তুমি,
সেসব চোখে দেখিনি কোনোদিন,
ধর্মান্ধদের কাছে শোনা গল্প মাত্র।
তোমার প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারাবার আগে
জেনে যেতে চাই তুমি মিথ্যা নও
তুমি পাথর নও
তুমি নিরাকার নও,
তুমি মৃন্ময়ী নও
তুমি পিতল-কাঁসা বা সোনা-রূপার নও।
তোমার আছে অসীম শক্তি !
তাই তো দেখতে চাই
তোমার সেই ক্ষমতা।
জাগ্রত হও, হে মহাশক্তিমান,
দেখাও তোমার শক্তি,
আকাশে বাতাসে চারিদিকে
ছড়িয়ে রয়েছে ভীষণ আতঙ্ক,
মনে হয় নানান দিকে লুকিয়ে রয়েছে
সেই নিরাকার রাক্ষস!
সে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে
তুলে নিচ্ছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ,
দেবতা তুমি কোথায় আছ ?
হও মুর্তিমান !
অদৃশ্য দানবের আক্রমণে
বন্ধ হয়েছে তোমার উপাসনালয়,
মন্দির-মসজিদ-গির্জায়
নেই মানুষের ভিড়,
বন্ধ ঘরে সবাই তোমার আশায় বসে আছে।
এখনো থাকবে ঘুমিয়ে!
করবে না ভক্তের ত্রাণ ?
নাকি সবই মিথ্যা!
কেবল লেখনী – গল্প মাত্র ,
নাকি বড়বড় উপাসনালয়ের ঐশ্বর্যের প্রাচুর্যে
ধুপ-ধুনার গন্ধে
চন্দনমিশ্রিত পুস্পের সৌন্দর্যে,
অর্থান্বেষী পূজারীর সেবায়
তোমার শরীরে ধরেছে
অলসতার কামড়?
তাই ভাঙছে না অনন্তকালের ধ্যান !
অসংখ্য মানুষের করুণ আর্তনাদে
টলছে না তোমার আসন !
দেবতা তুমি কোথায় আছ ?
জাগ্রত হও, হে কালেশ্বর !
মানুষের বিপদে দেখাও
তোমার আত্মশক্তি,
ধংস কর ওই নিরাকার দানবের !
আজ বিশ্ববাসী মহাসংকটে
এখন দাঁড়াও আমাদের পাশে,
জ্বালাও তোমার অগ্নিচক্ষু
তার তেজে ঝলসে যাক
যত কীট জীবাণু !
মুক্তি পাক তোমার সৃষ্টি ।
স্নিগ্ধ বাতাসে ভেসে আসুক
তোমার আরাধনার গন্ধ ,
প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিক
পৃথিবীর মানুষ।
শুনেছি তুমি ভক্তের ভগবান,
ভক্তের জন্য তোমার হৃদয় কাঁদে।
কিন্তু কই ?
""""""
খোকন বৈদ্য
গ্রাম ও ডাক – গোকর্ণী
থানা – মগরাহাট
জেলা – দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন