Featured Post

কবিতা ।। অন্তরঙ্গ ।। বন্দনা পাত্র

ছবি
 অন্তরঙ্গ   বন্দনা পাত্র  দেখেছি আমি চৈত মাসের থমকে যাওয়া চোখ   এসো আমার অন্তরঙ্গ সাতমহলী বৈশাখ.... যন্ত্রণারা বিবর্তনে নতুন করে বৈশাখে ঘনিষ্ঠ সেই মুহূর্তগুলো আমের শাখে শাখে  বসে আমি প্রতিকূল বাতাসের ডাকে..., বৈশাখী মহলে ভীড় করে আমার রবীন্দ্রনাথ  যন্ত্রণা উপশমে বসায় প্রকৃতি চাঁদের হাট... যত কথা বলে যায় ঈশ্বরী কলস কাঁখে.... সৃজনে আমি ধ্রুপদী বেলা 'পঁচিশে বৈশাখে' , পরবাসী বাতাস এসে বৈশাখের ঘরে  অনন্ত স্মৃতি জাগায় হৃদয়ের অভ্যন্তরে,  স্বতন্ত্র চোরাবালি দোর খোলে চিরতরে  এই হৃদয়ে, বৈশাখী চাঁদে দেখি ভীড়  কত কবি এঁকেছেন ছবি প্রতিটি সত্যের।।

দুটি কবিতা ।। সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়


 

দেহাতি সন্ধা তারা


তারপর। তারও পর। তারও অনেক পরে
কাঠের বোঝার মতো গোধূলি মাথায় নিয়ে
খাদান ফেরা মেয়েটি যেন সন্ধা তারা।
চলতি রূপের ছটা নেই। আছে ভরা শরীরী দমক,
কয়লারস্তরের মতো কুঁদে রেখেছ দেহজ বিন্যাস,
যেন কৃষ্ণকায় মেঘের আস্তরণ ঢেকে রেখেছে
ঝরণার গূঢ় শুভ্র উদ্দামতা।
একদম মুখোমুখি হাঁটুমুড়ে বসে আছে সম্মোহন
চোখের পলক পড়ে না। মুখে হড়িয়ার গন্ধ।
চোখে না বলা কথাসাগর। রক্তে ইশারা।

রাস্তার নির্জনতা ও লোলুপ চোখ টপকে
দেহাতি সন্ধ্যা তারাটি,
জোনাকি আলো আঁচলে বাঁধতে বাঁধতে
পৌঁছে যায় কুলি বস্তিতে।
খিস্তি খেউড় আর খিদের ভজনারতির মধ্যে
বিচিত্র পোকার মতো সে একটু একটু করে 
সেঁধিয়ে যায়।

জীবনের এই তথ্যচিত্র 
প্রতিদিনই রাত্রি এসে ঢাকা দিয়ে যায়,
জেগে থাকে শন ছাওয়া কুঁড়ের মাথা
গুমরে মরা কৃষ্ণকায়া  বিরহ ও যাতনা,
কুঁড়ের ভিতর থাকে খাদানের প্রস্তর ভাঙা 
হীরের মতো উজ্জ্বল দেহাতি সন্ধা তারা!!

                     /*\
 

কবিতা পাঠের আসর



এই প্রথম আমার তীর্থের কাক দর্শন
ছড়ানো বেঞ্চের ওপারে একটি টেবিল দুটি চেয়ার ,তিন জন অতিথি,একজন ওয়েটিং-য়ে
একজন  চলে গেলেই ওয়েটিং অতিথির উসখুস
চেয়ারের বাসনা উইপোকার মতো ফরফরে!

কবিতার পর কবিতা পড়া চলছে
বিরামহীন কবিতা পাঠের মহাযজ্ঞ।এ যেন পৃথিবীর দীর্ঘতম কবিতাটি আজই লেখা হবে!
কেউ কারো কবিতা মনে দিয়ে শুনছে না
অথচ সবাই নিজের কবিতা শোনাবেই।

ওয়েটিং কবি
    আর এ সি কবি
                  থ্রি টায়ার
                        টু টায়ার
                             সেকেণ্ড ক্লাস
                                   ফার্স্ট ক্লাস কবি
                                       এসি চেয়ারকার কবি
এখানে যেন গিজগিজ করছে স্টেশন চত্বরে কবিরা, সবাই তীর্থের কাক!
এই বুঝি ডাক আসে
এই বুঝি ডাক আসে
এ দাও ফস্কালে ভাই শেষ ট্রেন ছেড়ে চলে যাবে
কবিতার বোঝা নিয়ে বল কবি দাঁড়াবে কোথায়!

কবিতা লিখি বলে,
অপরাজিতা!আমাকেও কি তীর্থের কাক ভেবে নিলে!

                        =========
 
সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
৭পি/১, রাম রোড,সরসুনা,
কলকাতা-৭০০ ০৬১
ফোন-৯৪৩২২২২৪৬৩
********************

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল