প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

শীতের সকাল মেঘলা দিন
কুয়াশার চাদর গায়ে,
গুটিকতক কচিকাঁচা
হাঁটছে পায়ে পায়ে।
লক্ষ্য তাদের দিঘির পাড়ে
বনভোজনের পালা,
সঙ্গে আছে গ্যাসের উনুন
হাঁড়ি ডেকচি থালা।
কেউ নিয়েছে বসার আসন
হাতা-খুন্তি বঁটি,
মাংস আলু পেঁয়াজ রসুন
টমেটো বরবটি।
কেহ ঘোরে চরকি মত
যেন পাখির দল,
কেহ করে কাড়াকাড়ি
পায়ে নিয়ে ফুটবল।
কেহ সাজে পাকা গিন্নি
ব্যস্ত থাকে রান্নায়,
কেহ আবার ক্ষিধের জ্বালায়
ভেঙে পড়ে কান্নায়।
কবজি ডুবিয়ে খাচ্ছে কেহ
কেহ আঙুল চেটে,
কারও আবার অরুচি ভাব
গ্যাস হয়েছে পেটে।
হেসে খেলে দিনের শেষে
সূর্য গেল পাটে,
মাতলো সবাই জলপরীতে
ইঞ্জিনওলা বোটে।
ঝিলিক দিচ্ছে দিঘির জলে
বালি হাঁসের মেলা,
এটা ওড়ে, ওটা বসে
লুকোচুরি খেলা।
সূর্য গেল অস্তাচলে
বলছে এখন হাই
কচিকাঁচা দুঃখ মনে
বাড়ির পথে যায়।
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন