বিশ্বাস
এখনো আছিস তুই এখনো আছিস
হয়ে অন্ধকার এ মিশে
যে কালে যে দেশে
মন্দির এ মসজিদ এ কাশী বা মক্কায
মরেনি মানুষ
সে কাল সে দেশ থেকে ছেঁড়েনি ছেঁড়েনি
বন্ধন
যত খুন যত মৃত্যু যত অহংকার
আকাশ বাতাস ভরা যত হাহাকার
যত রক্ত লাল
শিরায় শিরায় নাচে
তারও চেয়ে শক্তিময়ী
এক বিন্দু বিশ্বাস
ধরেছে নিশ্বাস
ঘৃনা তাকে পারবেনা ছুঁতে ..
ঘৃণার প্রাচীর
হিংসা আর ঘৃণার প্রাচীর
এত উঁচু তোমার ভিতর
প্রান্ত-রেখা বা রক্ষীর
প্রয়োজন কোথায় ?
আমার একটি রক্ষী যদি
তোমার একটি চোর মারে –
নৃশংস নির্বিকারে
নীচতার সীমা-হীনতায় !
তোমার সহস্র হিংস্র পদাঘাত
আমার সমস্ত জাতির
লখ্যে ছঁড়ে দাও
কি ভয়ানক উন্মত্ততায় ।
একবারটিও ভাবনা তুমি
একটি-দুটি হিংস্র রক্ষী নিয়ে
হয়নি সমগ্র এপার বাংলা ।
মনে হয় তুমি যেন বসেছিলে
পথ চেয়ে কবে কোন ক্ষণে
ঘৃণিত এপার-বাসী
করে অপরাধ –
খুলে দিতে
তোমাদের মনের ভিতরে
বসে থাকা হিংসার বাঁধ ।
ভুলতে পেরেছ পরিপূর্ণ ভাবে –
একদিন সাহায্যের হাত
আমরাই দিয়েছি বাড়িয়ে ।
সেই হাত আজ যাও সজোরে মাড়িয়ে ,
জানিনা সে কোন অদৃশ্য ঘৃণায় ।
এবার-ওপার ঘিরে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন
কেন আজ গেল হারিয়ে ।।
----------------