অলীক বাস্তব
আলোআঁধারির নিত্যখেলা বিশ্ব চরাচরে,
নানা রঙের দৃশ্যপট ভাঙে আর গড়ে৷
অলীক আর বাস্তবেতে ঘন সন্নিবেশ,
মানসপটে স্থান করে নেয়, রয়ে যায় আবেশ!
অতলান্ত গহীন মনের নিভৃত অন্ধকারে,
অব্যক্ত অনুভবেরা নিত্য উঁকি মারে৷
নিত্য আর অনিত্যের দ্বন্দ্ব দোলায় দুলে,
বহুমাত্রিক জীবন-খেয়া সদাই ভেসে চলে৷
প্রবাস শেষে ভেসে আসে ঘরে ফেরার গান,
শাশ্বত এক আশ্রয়েতে, চিরকালীন স্থান৷
পরিশেষে
নিশ্ছিদ্র অমানিশায় শ্মশানভূমি জাগে,
জেগে উঠেই পিশাচেরা সব উষ্ণ শোণিত মাগে৷
মূর্তিমান বিভীষিকাদের জিঘাংসাময় দৃষ্টি,
স্পন্দন আজি থমকে দাঁড়ায়, মূর্ছিত হয় সৃষ্টি৷
ঘনীভূত হয়ে শরীরী রূপে ঘোর অমঙ্গল,
ধেয়ে আসে ঐ করতে খালি কোন্ সে মায়ের কোল!
নরক-সম অশূচি গন্ধ বাতাসে ঐ ভাসে,
নারকীয় সেই ছায়া বিস্তার বিকৃত উল্লাসে!
শয়তানের উপাসক যত ঘোর অনিষ্টকারী,
অমঙ্গলের আবাহন করে ডেকে আনে মহামারী৷
এত সত্ত্বেও বন্ধু শোনো গো, রেখো না মনেতে ভয়,
শুভ-অশুভের দ্বন্দ্বে শেষেতে শুভ চেতনার-ই জয়৷
কল্যাণময় পরমচেতনা কোন এক বেশে এসে,
শুভ শক্তির জয় ধ্বজা সে যে ওড়াবেই ঠিক শেষে৷
অনন্তের পূর্বে
স্মৃতি চারণার বিহ্বলতা,
জীবন ব্যপিয়া কত কথা
উদিবে বুঝিবা একান্ত নির্জনতায়,
নিজের সাথে স্মৃতির কথায়৷
সাগর মাঝারে যেমন তরঙ্গ,
জীবন-পাথারে কতই না রঙ্গ;
আবার যেমতি সর্বগ্রাসী ঢেউ—
কতই না বেদনা, বলিতে পারে কি কেউ?
অতলস্পর্শী চিন্তাচেতনার
প্রবল ঘূর্ণিঝড়—
তবু অম্লান, চির উজ্জ্বল স্থাপত্য মর্মর৷
অব্যক্ত ভাবাবেগের ঘনঘটায় হায়!
বুঝি বা স্মৃতির সারণী স্বচ্ছতা হারায়৷
আলোআঁধারির অবাধ ক্রীড়া দিচ্ছে প্রলেপ-
নাকি, কেবল বাড়াচ্ছে পীড়া?
অবাঞ্ছিত কর্তব্যের কী বা অভিপ্রায়?
হয়তো তাকে নিয়ত ভাবায়৷
তারপর?
তারপর অনন্ত সাগরে অনন্তের আহ্বান;
অনন্তেই দেয়া পাড়ি,
স্হান-কালের মাত্রা ছাড়ি...!
নাম — উৎস ভট্টাচার্য
ঠিকানা — ১৬/৫৮৭ ৩নং ফিঙ্গাপাড়া(অরুণাচল), জেলা— উত্তর চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, পিন নং— ৭৪৩১২৯; চলভাষ নম্বর/ Whatzapp নম্বর- ৯৫৯১০১৩৭৩৮; বৈদ্যুতিন ডাক-
utsobhattacharyya@gmail.com