Featured Post

নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য

নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে  তুষার ভট্টাচাৰ্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং  পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নববর্ষকে আবাহন বা  বরণ করা হয় জাঁকজমক  আড়ম্বর, উৎসব ও বিভিন্ন  অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তবে ইংরেজদের নববর্ষ ১জানুয়ারিই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেশে পালিত হয়। ইংল্যান্ড, আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ একদা ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রায় সবক'টি দেশেই ইংরেজি নববর্ষ পালিত হয় উৎসব, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। আমাদের দেশ ভারতেও আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় ইংরেজি নববর্ষ। তবে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক নববর্ষ রয়েছে। যেমন আমাদের বাঙালিদের নববর্ষ পালিত হয় ১বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের এই পয়লা বৈশাখ গণনার হিসেব শুরুর ব্যাপারে মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মোহাম্মদ আকবরের যথেষ্ট  অবদান রয়েছে l আগে অখণ্ড বঙ্গদেশে বছর গণনা হত চান্দ্রমাস অনুযায়ী যাকে হিজরি সন বলা হয়ে থাকে। এই হিজরি সন ২৭দিনের হিসেবে গণনা করা হয়ে থাকে। এর ফলে প্রতি বছরই হিজরি সন কয়েকদিন করে এগিয়ে আসে। এর ফলে বাংলার অধিকাংশ কৃষকই  রাজা জমিদারদের খাজনা বা কৃষিকর দিতে ভীষণ মুশকিলে পড়তেন। সম্রাট আকবর বাং...

কবিতা ।। কৈলাসে তোড়জোড় ।। শীলা সোম



কৈলাসে তোড়জোড়

 শীলা সোম


কৈলাসে তে হরপার্ব্বতী করছেন আলাপন,

এমন সময় নারদের সেথায় আগমন।


মর্ত্ত্য হতে ঘুরে এসে নারদ কহেন বিস্তারিত,

করোনার ভয়ে মর্ত্ত্যবাসী, সবাই জর্জরিত।


কোথা থেকে এক মারণরোগ দিয়েছে যে হানা,

লকডাউন উঠে গেলেও, জমায়েত যে মানা।


মুখে মাস্‌ক্‌ পড়তে হবে মা, বাপের বাড়ী গেলে,

হাতে দেবে স্যানিটাইজার, ভোগের থালা পেলে।


লক্ষী ভীষণ রেগে বলেন, কী ভয়ানক কথা,

মাস্‌ক্‌ পড়ে চলতে হবে? মোরা স্বর্গের দেবতা।


অসুর নিধন করেছেন মা, মহিষমর্দিনী,

করোনা কে তাড়িয়ে হবেন, মা করোনানাশিনী।


অসুরটা লাফিয়ে ওঠে, বলে মর্ত্ত্যেতে যাই আগে,

শরৎ এলেই করোনাকে , পাব যে আমি বাগে।


আমিই করবো সংহার, মার দরকার নাই,

মানুষেরা ভয় পায় মোরে, করোনা কোন ছাই?


দেব সেনাপতি কার্ত্তিক, রেগে বলেন তখন,

আমায় দেখে, করোনা তখন করবে পলায়ন


শুঁড় দুলিয়ে বলেন গণেশকরোনা মন্দ নয়,

দূর করেছে হিংসা দ্বেষ, লোভকে করেছে জয়।


করোনা প্রভাবে এসেছে দেশে, সচেতনতা,

হাঁচলে, কাশলে, মুখে চাপা, হাত ধোবার প্রথা।


সরস্বতী বলেন ওঠে, হচ্ছে অনলাইনে ক্লাশ,

বড় আনন্দ পাই দেখে, পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস।


নন্দী, ভৃঙ্গী বাদ সাধে, বলে, মর্ত্ত্যে কী দরকার?

করোনা থেকে কে করবে মোদের উদ্ধার?


বাহনেরা যাবে সাথে,ভয় কি তাদের নেই?

মনটা তাদের নেচে ওঠে, শরৎ আসে যেই।


সিংহ বলে, শুনেছি পশুরাও পাচ্ছে না নিস্তার,

তবে, এইবার মর্ত্ত্যে গিয়ে কাজ নেই আমার।


ষাঁড়ের পিঠে চড়েই মা, যাবেন বাবার সাথে,

গেলো শুরু হয়ে তোড়জোড়, এবার কৈলাসেতে।।

======================




মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল