প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

অ ণু গ ল্প
সঙ্গীতা কেশবকে কথা দিয়েছিল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও সে তাকে ছেড়ে যাবে না। বাবা-মা তাকে না মানলেও সে সকলকে অস্বীকার করবে। কিন্তু কথা রাখেনি সঙ্গীতা। কেশব কাজের জন্য ব্যাঙ্গালোর গেলে কলেজের এক প্রফেসরের সঙ্গে তার বাবা সঙ্গীতাকে বিয়ে দিয়ে দেন। কথায় বলে মেয়েরা সবসময় উত্তম কিছু খোঁজে। কথাটা শতভাগ সত্যি।কেশব তার বোনের কাছ থেকে সঙ্গীতার বিয়ের খবর পেয়ে খুবই কষ্ট পেয়েছিল। মনে মনে সংকল্প করে, নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে আর ভুল পথে পা বাড়াবে না। কেশব যে কোম্পানির হয়ে ব্যাঙ্গালোরে কাজ করতে গিয়েছিল সেখানে নিজের সততা ও কঠোর পরিশ্রমের পরিচয় দিয়ে এক বছরের মধ্যে সেই কোম্পানির ম্যানেজার হয়ে যায়। মাসে এক লক্ষ টাকা সহ গাড়ি ও বাড়ি পায় সে। এমন সুদিনে কেশবের সঙ্গীতার প্রতারণার কথা বারবার মনে পড়ে।
অন্যদিকে বিয়ের পর সঙ্গীতা জানতে পারে অধ্যাপক নপুংসক। তার সঙ্গে থাকলে তার জীবনের সমস্ত চাহিদা ও সুখ বিসর্জন দিতে হবে। অর্থই সবসময় জীবন নয়। বাবা-মাকে পুরো বিষয়টা জানায় সে। কুড়ি লক্ষ টাকা বোঝাপড়ায় অধ্যাপক-এর সঙ্গে সঙ্গীতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। বাবা-মার লোভ ও যথাযথ খোঁজের অভাবে সঙ্গীতার জীবনটা নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে ব্যাঙ্গালোর থেকে বদলি নিয়ে কেশব কলকাতায় চলে আসে। প্রথমে সে ভেবেছিল বিয়ে কখনো করবে না। কিন্তু সঙ্গীতার বাবা-মা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে কেশব তা অস্বীকার করে। সুমনা নামের একজন গ্রাম্য নারীকে বিয়ে করে কেশব সঙ্গীতাকে বুঝিয়ে দেয় -- 'ছেলেরা একেবারে ফেল না নয়। যখন চাইলাম সম্পর্ক গড়লাম, যখন চাইলাম উত্তমের লোভে ছেড়ে দিলাম।' নিজে গিয়ে কেশব সঙ্গীতা ও তার বাবা-মাকে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র দিয়ে এসেছিল। সঙ্গীতা বুঝতে পারে সে কত বড় ভুল করেছে। বাবা-মার উপর রাগ দেখিয়ে কেশবের বিয়ের দুদিন পর বাড়ি ছেড়ে অজানা পথে পা বাড়ায় সে।
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন