জীবনের তরী বহে চলেছে প্রতিনিয়ত ,
চরম প্রতিকূলতা ঘাত প্রতিঘাত অবিরত।
লড়াই সংস্কার মতবিরোধ দ্বন্দ্বে বাঁধা কথকতা,
এভাবেই সত্যি হয়ে ওঠা নারী জীবনের গভীর নীরবতা।
নকসীকাঁথায় গল্প লেখা নারীর জীবনের অবয়ব,
মৃত্যুর মুখোমুখি সংঘর্ষ আক্ষেপ প্রতিবাদের রব...।
কলুষিত হয়েছে হরেক বিধি নিয়ম মোতাবেক,
সাবলীলতা বাঁচে নারীর চোখে ফোটে পুরুষের শত ভেক।
শাঁখা, সিঁন্দুর পড়া মেয়েটিও স্বপ্নবোনে একরাশ আশায়,
স্বপ্নের বাসর সাজায় হৃদয়ে অনুরাগের ছোঁয়ায়!
পুরুষত্ব লালসায় পুড়ে দংশিত যখন রূপ রস যৌবন ,
মেয়েটি ধুয়ে দেয় ক্লান্তি বিহ্বলতা নিঃস্ব রিক্ত হওয়া মিলন।
নিয়মিত ছুঁতে চাওয়া গোপন আঁতাত নারীকে করে ম্লান,
দগ্ধ শরীর আগুন হয়ে জ্বলে সমাজ কুঁড়ে খায় সব সম্মান ।
ঘর পুড়ে যায় কালো মেঘে আলো জ্বলে অন্ধকারে মশাল ....।
ধর্ম ছিনিয়ে নেয় বাঁচার অস্তিত্ব, নারী পরিগনিত হয় বাজারের দরদামে,
কখনো দামাল হুঙ্কার!
প্রতিদিন হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিকণায় ওঠে সূর্য নতুন আশায় ,
জলের কণার মতো শীতল আবেগ আছড়ায় মনের কোণায় ।
দিনের শেষে আশার আলোয় দিগভ্রষ্ট নষ্ট নারী!
নারীরাও জানে ছুটতে জোরে পুরুষের কেবল শাসন জারি ।